পশ্চিম বঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিক দের নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক পদক্ষেপ
🚨 সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক পদক্ষেপ 🚨
🌐 ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট
নয়াদিল্লি:
পশ্চিমবঙ্গ থেকে কাজের তাগিদে ভিনরাজ্যে যাওয়া বহু বাঙালি মুসলিম শ্রমিককে অবৈধভাবে “বাংলাদেশি” বলে চিহ্নিত করে আটক রাখার অভিযোগে বড়সড় আইনি পদক্ষেপ নিল দেশের শীর্ষ আদালত। জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্র সরকার সহ ৯টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে নোটিশ পাঠিয়েছে এবং এ বিষয়ে বিস্তারিত জবাব চেয়েছে।
🔎 অভিযোগ কী?
ভিনরাজ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকদের কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও তাদের বিদেশি নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরে ডিটেনশন সেন্টারে আটকে রাখা হচ্ছে অনেককে।
এতে শুধু তাদের স্বাধীনতাই নয়, পরিবার-পরিজন, রুজি-রুটি ও সামাজিক মর্যাদাও চরম ক্ষতির মুখে পড়ছে।
⚖️ আদালতের পর্যবেক্ষণ
শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ স্পষ্ট প্রশ্ন তোলে –
👉 “ভারতের নাগরিকদের সঙ্গে এমন বৈষম্যমূলক আচরণ কেন করা হচ্ছে?”
👉 “শ্রমজীবী মানুষদের পরিচয় নিয়ে রাজনীতি বা প্রাতিষ্ঠানিক অবিচার কতটা ন্যায্য?”
আদালত কেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে যে, আগামী শুনানিতে নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা, আটক শ্রমিকদের অবস্থা ও নেওয়া পদক্ষেপ নিয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
📌 নোটিশ পাঠানো হয়েছে যেসব রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে
অসম, ত্রিপুরা, কেরল, কর্ণাটক, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, গুজরাট ও জম্মু-কাশ্মীর সহ ৯টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে।
🗣️ সামাজিক প্রতিক্রিয়া
মানবাধিকার সংগঠনগুলি বলছে, এই রায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ শ্রমিকদের উপর “বাংলাদেশি” তকমা দিয়ে বছরের পর বছর অন্যায়ভাবে আটক রাখার অভিযোগ বহুদিনের। আদালতের এই পদক্ষেপ ভিনরাজ্যে কাজ করা বাঙালি শ্রমিকদের জন্য নতুন আশার আলো।
✒️
ভারতের শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীর জন্য এটি নিঃসন্দেহে এক ঐতিহাসিক আইনি হস্তক্ষেপ। আদালতের পরবর্তী পদক্ষেপে আটক শ্রমিকদের মুক্তি ও ভবিষ্যতে এমন অন্যায় রুখতে একটি সুস্পষ্ট নীতি আসতে পারে বলে আশা করছেন আইনজ্ঞরা।
No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন