“ভোটের আগে বড়সড় ঝড়— সীমান্তবর্তী জেলার হাজারো ভোটার বিপাকে! 🗳️”


Y বাংলা নিউজ ডিজিটাল ডেস্ক | বিউরো রিপোর্ট :-

বিহারের ভোটার তালিকা ঘিরে নতুন বিতর্ক। এসআইআর (Special Intensive Revision) প্রক্রিয়ার পরও ঝড় থামছে না। এবার খসড়া ভোটার তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও প্রায় ৩ লক্ষ ভোটারকে নোটিস পাঠাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। অভিযোগ— জমা দেওয়া নথিতে গরমিল রয়েছে।

কমিশন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ৯৮.২ শতাংশ ভোটার ফর্ম জমা দিয়েছেন। কিন্তু তাতেই সমস্যার সমাধান হয়নি। প্রাথমিকভাবে ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে ২২ লক্ষকে মৃত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

৩৬ লক্ষ ভোটার স্থানান্তরিত বা ঠিকানায় পাওয়া যায়নি।

৭ লক্ষ ভোটারের নাম একাধিক জায়গায় পাওয়া গেছে।


👉 এবার নতুন জটিলতা— যাঁরা ফর্ম জমা দিয়েছেন, তাঁদের অনেকের নথিতে অসঙ্গতি ধরা পড়ছে। কারও বৈধ কাগজ নেই, আবার কারও দেওয়া তথ্য যাচাইয়ে গরমিল ধরা পড়ছে। ফলে প্রথম দফায় প্রায় ৩ লক্ষ ভোটারকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে বৈধ নথি-সহ হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট ইআরও (Electoral Registration Officer)-র কাছে।

যদি কেউ হাজিরা না দেন বা সন্তোষজনক কাগজ দেখাতে না পারেন, তবে তাঁদের নামও চূড়ান্ত তালিকা থেকে কেটে দেওয়া হবে। অর্থাৎ, আগামী বিধানসভা ভোটে তাঁরাও ভোটাধিকার হারাবেন।

বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো— যাঁরা নোটিস পেয়েছেন তাঁদের বড় অংশই সীমান্তবর্তী জেলা যেমন কিষানগঞ্জ, পূর্ণিয়া, আরারিয়া, মধুবনী ও পশ্চিম চম্পারণের বাসিন্দা। উল্লেখযোগ্যভাবে এই অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের।

⚠️ বিরোধী শিবিরের অভিযোগ— অনেক বৈধ ভোটার নথির অভাবে তালিকা থেকে ছিটকে যাচ্ছেন। কমিশনের দাবি অনুযায়ী বাদ যাওয়া প্রায় ২ লক্ষ মানুষ আবার নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করেছেন। এর মধ্যেই নতুন করে আরও ৩ লক্ষ ভোটারকে নোটিস পাঠানোয় বিতর্ক আরও জোরদার হচ্ছে।

No comments:

আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন

Featured post

দুর্গাপুর গণধর্ষণ: সিবিআই তদন্ত দাবি পরিবারের, পুনর্নির্মাণে পুলিশের নজর দুর্গাপুর গণধর...

Search This Blog

Powered by Blogger.