প্রাথমিকে নতুন চাকরির দিগন্ত
Primary Teacher Recruitment মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের সাম্প্রতিক রায়ে আরও একদফা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের রাস্তা খুলে গেল। ২০০৯ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হাওড়া জেলার বেশ কয়েকজন প্রার্থী দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে চাকরি পাওয়ার পথে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে এই মামলার শুনানি হয় এবং আদালত তাঁদের পক্ষেই রায় দেয়।
🔎 মামলার প্রেক্ষাপট
আবেদনকারীরা ২০০৯ সালে হাওড়া জেলায় প্রাথমিক শিক্ষক পদে আবেদন করেছিলেন।
তাঁরা লিখিত পরীক্ষা ও অ্যাপটিটিউড টেস্টে অংশগ্রহণ করেন।
হাওড়া ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিল (DPSC) তাঁদের জানায়, কাট-অফ মার্কসের নিচে থাকার কারণে তাঁরা অযোগ্য।
প্রার্থীরা দাবি করেন, তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর আসলে কাট-অফের উপরে ছিল।
এর পরেই তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হন (রিট পিটিশন নং 2609/2023)।
⚖️ আদালতের নির্দেশ
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা পর্যবেক্ষণে জানান—
যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ: ৩১শে মার্চ, ২০২৪-এর নির্ধারিত কাট-অফ তারিখের আগে রিট পিটিশন দাখিলকারীদের আবেদন বিবেচনা করতে হবে।
পর্ষদের দায়িত্ব: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে এই প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
নিয়োগের নিশ্চয়তা: যেহেতু মামলার পিটিশনাররা আইনত যোগ্য, তাই পর্ষদ তাঁদের নিয়োগপত্র প্রদান করতে বাধ্য।
📊 রায়ের প্রভাব
কেবলমাত্র এই মামলার তিনজন পিটিশনারই নন, একই অবস্থায় থাকা অন্যান্য প্রার্থীরাও চাকরির আশার আলো দেখছেন।
এই রায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।
আদালতের অবস্থান স্পষ্ট—যোগ্য প্রার্থীরা যাতে বঞ্চিত না হন তা নিশ্চিত করা হবে।
🗣️ বিশেষজ্ঞ মত
শিক্ষা আন্দোলনের কর্মীরা বলছেন, এই রায় শিক্ষক নিয়োগে চলা দীর্ঘ অনিশ্চয়তার মাঝেও এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। এখন দেখার বিষয়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কত দ্রুত আদালতের নির্দেশ কার্যকর করে এবং প্রার্থীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেয়।
No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন