টেট তথ্য ফাঁস কাণ্ডে ফের সরগরম রাজ্য-রাজনীতি
টেট তথ্য ফাঁস কাণ্ডে ফের সরগরম রাজ্য-রাজনীতি
নিজস্ব সংবাদদাতা
রাজ্যের শিক্ষা দুর্নীতি মামলার আঁচ এখনও থামেনি। তার মধ্যেই ফের নতুন করে বিতর্কের ঝড় উঠল। এবার অভিযোগ, ২০২২ সালের প্রাইমারি টেট পরীক্ষার গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, লক্ষাধিক পরীক্ষার্থীর তথ্য ও সার্টিফিকেট এক অজ্ঞাতপরিচয় তৃতীয় ব্যক্তির ওয়েবসাইটে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই চাকরিপ্রার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা অভিযোগ তুলেছেন—এটি নিছক কারিগরি ত্রুটি নয়, এর সঙ্গে জালিয়াতি ও দুর্নীতির যোগ থাকতে পারে।
📌 কী অভিযোগ উঠছে?
চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, যেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই বিপুল পরিমাণ তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে, সেটি কোনোভাবেই অফিসিয়াল নয়। অথচ সেখানে ঢুকলেই দেখা যাচ্ছে ২০২২ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের বিস্তারিত তথ্য ও সার্টিফিকেট ডাউনলোডের অপশন।
একজন চাকরিপ্রার্থী জানিয়েছেন—
> "আমরা সেই ওয়েবসাইটে ঘেঁটে **১ লক্ষ ৫০ হাজার ৪০৬ জন উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর তথ্য কপি করতে সক্ষম হয়েছি। যাচাই করেও দেখেছি তথ্যগুলো একেবারেই আসল। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এত গুরুত্বপূর্ণ ডেটা বাইরে কীভাবে চলে গেল? এর পেছনে দুর্নীতি আছে কি না তদন্ত করা প্রয়োজন।"
তিনি আরও জানান,
> "২০২২ সালে টেট পরীক্ষায় মোট ৬ লক্ষ ১৯ হাজার ১০২ জন বসেছিলেন। তার মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৪৯১ জন। আর আশ্চর্যের বিষয়, সেই সংখ্যার প্রায় পুরোটাই ওই ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে আপলোড হয়ে গেছে।"
📌 পর্ষদের ভূমিকা
ঘটনার গুরুত্ব বুঝে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল আশ্বাস দিয়েছেন যথাযথ পদক্ষেপের। তবে তাতেও আশ্বস্ত নন চাকরিপ্রার্থীরা। তাদের দাবি, এই ফাঁসের পিছনে প্রশাসনিক গাফিলতি বা দুর্নীতির যোগ রয়েছে, এবং বিষয়টি নিয়ে স্বাধীন তদন্ত প্রয়োজন।
📌 কেন বাড়ছে আশঙ্কা?
কিছুদিন আগেই টেট উত্তীর্ণরা চাকরির দাবিতে রাস্তায় নেমেছিলেন। আর তার পরপরই এই ডেটা ফাঁসের ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় রাজনৈতিক মহলে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি মামলার আবহে এই ফাঁস যে রাজ্য রাজনীতিকে ফের সরগরম করে তুলবে, তা নিয়ে কারও সন্দেহ নেই।
No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন