মোদি সরকারের আমলে চাকরি হারিয়েছেন লক্ষাধিক সরকারি কর্মী, লোকসভায় স্বীকার কেন্দ্রের




ডেস্ক রিপোর্ট:

কেন্দ্রীয় সরকারের বেসরকারিকরণ নীতি ঘিরে ফের বিতর্ক। গত পাঁচ বছরে লক্ষাধিক সরকারি কর্মীর চাকরি গেছে বলে স্বীকার করল মোদি সরকার নিজেই। সম্প্রতি লোকসভায় এক প্রশ্নের জবাবে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেশ করেছেন সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন প্রতিমন্ত্রী।

তামিলনাড়ুর এক বিরোধী সাংসদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান—

২০১৯-’২০ সালে কেন্দ্রীয় সংস্থার নিয়মিত কর্মীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৯.২ লক্ষ।

২০২০-’২১ সালে তা নেমে দাঁড়ায় ৮.৬ লক্ষ।

২০২১-’২২ সালে কমে হয় ৮.৩৯ লক্ষ।

২০২৩-’২৪ সালে নেমে দাঁড়ায় মাত্র ৮.১২ লক্ষ।


অর্থাৎ ২০১৯-’২০ থেকে ২০২৩-’২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১.৮ লক্ষ সরকারি কর্মী চাকরি হারিয়েছেন।

কেন কমছে সরকারি চাকরি?

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, এই কর্মসংস্থান হ্রাসের জন্য মূলত দায়ী সরকারের বিলগ্নিকরণ ও বেসরকারিকরণের নীতি। রেল, বিমান, কয়লা, LIC—সব ক্ষেত্রেই ব্যাপক বেসরকারিকরণ হয়েছে। এমনকি সৈনিক স্কুলও পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (PPP) মডেলের আওতায় চলে এসেছে। ফলে সরকারি চাকরির নিরাপত্তা ভেঙে পড়েছে।

প্রভাবিত শ্রেণি

তফসিলি জাতি (SC) ও জনজাতি (ST) কর্মীর সংখ্যা এই সময়ে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।

তবে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি (OBC)-এর কর্মীর সংখ্যা সামান্য বেড়েছে।


বেকারত্বের চিত্র

পিরিওডিক লেবার ফোর্স সার্ভে (PLFS) জানাচ্ছে, গত ১৫ বছরে দেশের বেকারত্বের গড় হার ছিল ৫% এর বেশি। যদিও ২০২২-’২৩ সালে বার্ষিক বেকারত্বের হার নেমে এসেছে ৩.২%, যা এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে কম।

সমালোচনার ঝড়

বিশেষজ্ঞদের মতে, বেসরকারিকরণ নীতি সরাসরি সরকারি চাকরির ওপর কোপ নামিয়েছে। একদিকে বেকারত্বের আশঙ্কা, অন্যদিকে চাকরির নিরাপত্তাহীনতা—এই দুই কারণে সরকারি কর্মীদের মধ্যে অস্থিরতা বাড়ছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও বিষয়টিকে বড় হাতিয়ার করে তুলেছে।

No comments:

আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন

Featured post

দুর্গাপুর গণধর্ষণ: সিবিআই তদন্ত দাবি পরিবারের, পুনর্নির্মাণে পুলিশের নজর দুর্গাপুর গণধর...

Search This Blog

Powered by Blogger.