সল্টলেকে সুজিত বসুর অফিসে ED-র তল্লাশি: পুর নিয়োগ কেলেঙ্কারির ছোঁয়া

সল্টলেকে সুজিত বসুর অফিসে ED-র তল্লাশি: পুর নিয়োগ কেলেঙ্কারির ছোঁয়া

শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা Enforcement Directorate (ED) কলকাতার বিভিন্ন ঠিকানায় তল্লাশি চালায়—যাতে অন্যতম ছিল রাজ্যের মন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা সুজিত বসুর সল্টলেকের অফিস। তদন্তকারীরা বলে থাকেন, এই অভিযান পুরসভা নিয়োগ সংক্রান্ত সম্ভাব্য অনিয়ম ও অর্থলেনদেনের তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে।

ED সূত্রে জানা গেছে যে একাধিক দলে পৃথকভাবে দলাকা পাঠিয়ে সকাল থেকেই সল্টলেক, নাগেরবাজার, লেক টাউন, শরৎ বোস রোড ও নিউ আলিপুরসহ অন্তত ছ’/দশটি ঠিকানায় অনুসন্ধান চলছে। তল্লাশির সময় নথি, ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও অন্যান্য প্রমাণ সন্ধানে অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও তদন্তকারীরা জানান।

একের পর এক জায়গায় তল্লাশি হওয়ার পটভূমিতে ED বর্তমানে পুর নিয়োগ কেলেঙ্কারি ও সংশ্লিষ্ট আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে জোরালো তদন্ত চালাচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, দক্ষিণ দমদম পৌরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার অনুসন্ধানেই এই অভিযান তৎপর করা হয়েছে; সেই সাথে একটি আলাদা ব্যাঙ্ক/জালিয়াতি সংক্রান্ত কেস থেকেও সম্পর্ক গড়ে ওঠার কথাও বলা হচ্ছে।

এ ঘটনার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, "ED তো আগেও এসেছে, কিছু তো পায়নি। আসলে এটা রাজনৈতিক ভাবে আক্রমণের চেষ্টা। ওদের কাজ ওরা করুক, আমাদের কাজ আমরা করি।" তিনি আরও দাবি করেন, "দুর্নীতি কে করেছে মানুষ তা জানে; মানুষ আমায় সার্টিফিকেট দিয়েছে।" মন্ত্রীর এই বক্তব্য তল্লাশির মধ্যেই পাওয়া যায়। (মন্ত্রী এবং তার প্রতিনিধিদের দেওয়া বক্তব্যটি রিপোর্টে সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে)।

উল্লেখ্য, গতকালকের তল্লাশির সূত্রই বলছে যে এ বিষয়ে পূর্বেও ছাপা ও অনুসন্ধান ছিল—২০২৪ সালের জানুয়ারিতেও ED সুজিত বসুর বাড়িতে তল্লাশি চালায় এবং দীর্ঘ ঘণ্টা তিনি জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হন। সেই সময় মন্ত্রী বলেছিলেন, যদি প্রমাণ পাওয়া যায় যে তিনি চাকরির বিনিময়ে অর্থ নিয়েছেন, তবে তিনি পদত্যাগ করবেন। বর্তমান অনুসন্ধান সেই পুরনো কেসের সূত্র ধরে ব্যাপক হয়েছে বলে তদন্তকারীরা মনে করছেন।

তল্লাশির লক্ষ্য তালিকায় শুধুই মন্ত্রী নয়—দক্ষিণ দমদম পুরসভার উপ-প্রধান নিতাই দত্তের বাড়িতেও অভিযান চালানো হচ্ছে। নিতাইয়ের বাড়ি ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বাসা থেকে পূর্বে সংরক্ষিত নথি ও ডিজিটাল রেকর্ড উদ্ধার করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা উল্লেখ করেন; সেই নথির সূত্রেই বর্তমান তল্লাশির করণীয় বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সংবাদের সূত্রে জানা যায়।

এই অভিযানকে কেন্দ্র করে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। শাসক ও বিরোধী পক্ষ একে নিয়ে তাদের-নিজস্ব ব্যাখ্যা ও সমালোচনা চলছে। প্রশাসনিক ও আইনি প্রক্রিয়ার স্বীকৃতির পাশাপাশি, তদন্তকারীরা এখনো কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি ও আরও প্রমাণ সংগ্রহের জন্য কাজ করছে।

কী পরবর্তী ধাপ হতে পারে? – তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে জানা যায়, তল্লাশির পরে যদি প্রয়োজনীয় প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা, অধিক জিজ্ঞাসাবাদ ও কাগজপত্র বিশ্লেষণের মাধ্যমে মামলাটি বাড়তে পারে। অন্যদিকে মন্ত্রী ও তাঁর সমর্থকরা রাজনৈতিকভাবে এই উত্তেজনাকে ব্যাখ্যা করলেও আইন অনুযায়ী তদন্তকে এগোতে দিতে হবে—এই অবস্থান যুগপৎ উভয় দিকেই মান্য হবে বলে আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

রিপোর্ট: Y বাংলা ব্যুরো।

সূত্র: স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদমাধ্যমের সরাসরি প্রতিবেদন ও ED-সূত্র। (Anandabazar, Hindustan Times, Livemint, ABP Ananda, Business Standard)।

📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন

📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।

👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে

No comments:

আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন

Featured post

দুর্গাপুর গণধর্ষণ: সিবিআই তদন্ত দাবি পরিবারের, পুনর্নির্মাণে পুলিশের নজর দুর্গাপুর গণধর...

Search This Blog

Powered by Blogger.