উত্তরবঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয়: মমতা মিরিকে ত্রাণ শিবির পরিদর্শন

উত্তরবঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয়: মমতা মিরিকে ত্রাণ শিবির পরিদর্শন

প্রকাশক : ফারিয়া ইসলাম | Y বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক | আপডেট: ৭ অক্টোবর ২০২৫

মমতা মিরিকে ত্রাণশিবির পরিদর্শনে — ভাঙা দুধিয়া ব্রিজ মেরামত ও পথ পুনরুদ্ধারে ১৫ দিন সময়

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিরিকে ত্রাণশিবির পরিদর্শন
মিরিকের দুধিয়া ত্রাণশিবিরে অবস্থানরত দুর্গতদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী। (ফাইল ছবি/প্রতীকী)

উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি অংশ গত কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণ ও ভূমিধসে ভয়াবহ আঘাত পেয়েছে। সড়কপথ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর তাৎপর্যপূর্ণ ধাক্কা লাগায় একাধিক গ্রাম-গঞ্জ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সোমবার নাগরকাটা পরিদর্শন শেষে মঙ্গলবার মিরিকের দুধিয়া ত্রাণশিবিরে পৌঁছান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সরেজমিনে দুর্গতদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতির ত্বরিত নিপটারে নির্দেশনা দেন।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশনা (সংক্ষিপ্ত):
  • ধসে ভেঙে যাওয়া রাস্তাগুলির মেরামত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হবে — সময়সীমা: ১৫ দিন।
  • দুধিয়া ব্রিজ দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যাতে পাহাড়ের জনসাধারণ পুনরায় সংযুক্ত হতে পারে।
  • ত্রাণশিবিরে থাকা লোকদের জন্য কমিউনিটি কিচেন এক মাস পর্যন্ত চালুর নির্দেশ।
  • শোকাহত পরিবারগুলিকে আর্থিক ও মানবিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি।

মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, "মানুষের নিরাপত্তা ও জীবিকার ব্যাপারে এখানে কোনও আপস করা যাবে না। আমাদের প্রথম কাজ হবে দুর্গতদের নিরাপদ আশ্রয়, খাবার ও চিকিৎসা নিশ্চিত করা।" তিনি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ধসে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো দ্রুত মেরামত করার জন্য ১৫ দিন সময় বেঁধে দিয়েছেন এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

দুধিয়া ব্রিজ ভেঙে পড়ায় মিরিক-দার্জিলিং সংযোগে বিঘ্ন ঘটেছে। সরকারি অভ্যন্তরীণ সূত্র বলছে, অস্থায়ী বিপণন ও জরুরি পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য মডিউলার বা অস্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য। পাশাপাশি, তাঁরা স্থানীয়ভাবে কাজের ব্যবস্থা করে দ্রুত পথ মেরামতের উদ্যোগ গ্রহন করবে।

ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নেওয়া বহু মানুষের সঙ্গে কথা বলে মুখ্যমন্ত্রী তাদের আর্থ-সামাজিক সমস্যাগুলোও শোনেন এবং মৃতদের পরিবারকে সান্ত্বনার কথা বলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যক্তিগতভাবে কিছু পরিবারকে ত্রাণসামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা সাময়িকভাবে তুলে দেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে, চিকিৎসা ও খাদ্যসামগ্রীর বানিজ্যিক সরবরাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে এবং ভূমিধসের আশঙ্কা περιοক্ষণের জন্য জরুরি নদী-নালার দিকে নজর রাখা হচ্ছে। ভবিষ্যতে পুনর্বাসন ও পুনর্গঠনের জন্য একটি বিস্তৃত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে।

উত্তরবঙ্গে এ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে দ্রুত সহায়তা এবং অবকাঠামো পুনরুদ্ধার না হলে জনজীবনে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়তে পারে — এমনটাই আশঙ্কা স্থানীয়দের। সরকারের তৎপরতা এখনই প্রয়োজন যেন দ্রুত সাধারণ জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করা যায়।

📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন

📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।

👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে

No comments:

আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন

Featured post

দুর্গাপুর গণধর্ষণ: সিবিআই তদন্ত দাবি পরিবারের, পুনর্নির্মাণে পুলিশের নজর দুর্গাপুর গণধর...

Search This Blog

Powered by Blogger.