তালিবান বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির ভারত সফর ঘিরে কূটনৈতিক চাঞ্চল্য
তালিবান বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির ভারত সফর ঘিরে কূটনৈতিক চাঞ্চল্য
অপারেশন সিঁদুরের সময় কাবুল সফরে গিয়েছিলেন ভারতের প্রতিনিধি আনন্দ প্রকাশ। এবার পাকিস্তানের চাপ বাড়িয়ে ভারতে আসতে চলেছেন আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি।
সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসেই ভারতে আসছেন তালিবান বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। তাঁর এই সফরকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক চাপানউতোর। আন্তর্জাতিক মহলে জোর জল্পনা, এই সফরেই হয়তো ভারত তালিবান সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে পারে।
জাতিসংঘের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে এতদিন মুত্তাকির বিদেশ ভ্রমণ সম্ভব ছিল না। সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘ সেই আংশিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় পথ খুলেছে। আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, আগামী ৭ অক্টোবর মস্কো সামিটে যোগ দেবেন মুত্তাকি, যেখানে ভারত, চিন, ইরান ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলির প্রতিনিধিরাও থাকবেন। সেই বৈঠক শেষে তিনি নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন বলে নিশ্চিত সূত্রে জানা গিয়েছে। অনুমান, ৯ থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি ভারতে অবস্থান করবেন।
২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালিবান পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম কোনও তালিবান মন্ত্রী ভারতের মাটিতে পা রাখতে চলেছেন। এখন পর্যন্ত রাশিয়াই একমাত্র দেশ যারা আনুষ্ঠানিকভাবে তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
ভারত এখনো তালিবানকে স্বীকৃতি না দিলেও, দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ বজায় রয়েছে। ভারত আফগানিস্তানে মানবিক সাহায্য ও খাদ্য সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পরিবর্তিত ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নয়াদিল্লি হয়তো নতুন কৌশলে তালিবানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের পথে এগোচ্ছে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাকিস্তান বর্তমানে আমেরিকা ও চিনের দ্বৈত সমর্থনে ভারতের উপর চাপ বাড়াতে চাইছে। এই অবস্থায় ইসলামাবাদের প্রতিদ্বন্দ্বী তালিবানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা ভারতের জন্য কৌশলগত সুবিধা এনে দিতে পারে। বিশেষত, সাম্প্রতিক পহেলগাঁও সন্ত্রাসের ঘটনায় ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে তালিবান সরকার যে অবস্থান নিয়েছিল, সেটিই এই সম্ভাবনাকে জোরদার করছে।
সূত্রের খবর, আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সফরে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে। সেই বৈঠকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, মানবিক সহায়তা এবং কূটনৈতিক স্বীকৃতির প্রশ্নে আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মুত্তাকির ভারত সফর শুধু প্রতীকী নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক ভারসাম্যে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করছে। এবার নজর থাকবে—ভারত কি সত্যিই তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয় কি না।
📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন
📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।
👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে
No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন