ভাঙড়ে পুলিশ আক্রান্ত — অবৈধ নির্মাণ রুখতে গিয়ে হামলা, এক কনস্টেবল আহত; তিনজন গ্রেফতার

সংবাদ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:০০স্থান: ভাঙড় — উত্তর কাশীপুর থানার দক্ষিণ বামুনিয়া এলাকা

ভাঙড়ে (উত্তর কাশীপুর থানা এলাকার দক্ষিণ বামুনিয়া) শুক্রবার পুলিশ অবৈধ নির্মাণ বন্ধ করতে গেলে স্থানীয়দের ষড়যন্ত্রে পড়ে; কনস্টেবল ও এসআই-সহ কয়েকজন পুলিশকর্মী মারধরের শিকার হয়েছেন। অভিযোগ, এক কনস্টেবলকে কামড়ে তাঁর হাতের মাংস পর্যন্ত ফুটিয়ে নেওয়া হয়েছে — পরবর্তীতে ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও পিকেট বসানো হয়েছে।

ভাঙড়ে গ্রেপ্তারকৃতরা ও ঘটনার ছবি (প্রতীকী)
ঘটনাস্থল ও অভিযুক্তদের পুলিশের সূত্রে গ্রেপ্তার— স্থানীয় সংবাদ সূত্র।

ঘটনা সম্পর্কে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন ধরে দক্ষিণ বামুনিয়ায় একটি বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই নির্মাণ কাজটি সরকারি জমি দখল করে এগোচ্ছে। থানায় অভিযোগের পরে ঘটনাস্থলে যান উত্তর কাশীপুর থানার এসআই মনজুর আলম মণ্ডল ও কনস্টেবল রবি রায় এবং আরও কয়েকজন পুলিশকর্মী। পরে নির্মাণ বন্ধের কথা বলার এক পর্যায়ে স্থানীয়দের সঙ্গে তর্ক শুরু হয় যা দ্রুত হাতাহাতিতে রূপ নেয়।

সংক্ষিপ্ত ফ্যাক্টশিট
  • ঘটনাস্থল: ভাঙড় — উত্তর কাশীপুর থানা, দক্ষিণ বামুনিয়া।
  • আহত: কনস্টেবল সহ কয়েকজন পুলিশকর্মী (কনস্টেবলের হাতে কামড় লাগার অভিযোগ)।
  • গ্রেফতার: পুলিশ জানিয়েছে, তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
  • বর্তমান পরিস্থিতি: এলাকায় উত্তেজনা; অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও পিকেট বসানো হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ ও পুলিশের তালিকাভুক্ত বিবরণ থেকে দেখা গেছে— প্রথমে উত্তেজক ভাষা-প্রবণতা, পরে বাঁশ-লাঠি ও ইট দিয়ে অতর্কিতভাবে পুলিশ সদস্যদের উপর চড়াও হওয়া হয়। একাধিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, সহকর্মীকে বাঁচাতে গিয়ে আরও কিছু পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন এবং পরবর্তীতে আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

ঘটনা কালে (ট্রায়াল টাইমলাইন)
  1. স্থানীয় অভিযোগ ও থানায় জানানো → পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
  2. নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ → স্থানীয়দের সঙ্গে বচসা ও তর্ক।
  3. হতাহতের পর্যায়ে হিংসাত্মক সংঘর্ষ; কনস্টেবলের কাছে কামড়ের অভিযোগ।
  4. আহতদের উদ্ধার ও হাসপাতাল পাঠানো; তিনজনকে গ্রেফতার।
  5. অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।

উত্তর কাশীপুর থানার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে— অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুরো ঘটনার নেপথ্য পরিচয় ও আর যারা এই অবৈধ নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত আছে তাদের শনাক্ত করা হবে। একই সঙ্গে, অনলাইন ও সামাজিক মাধ্যমে বিতর্ক ও উত্তেজনা ছড়ানোর দিকে লক্ষ্য রেখে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

সাক্ষী ও স্থানীয়দের বক্তব্য

ঘটনাস্থলের কয়েকজন স্থানীয়ের বিবরণ অনুযায়ী, জায়গা-দখলের জটিলতা ও তাঁদের মধ্যে থাকা উত্তেজনাই সংঘর্ষকে বাড়িয়েছে। অপরদিকে পুলিশ জানিয়েছে তাদের কর্মীরা কেবল দায়িত্ব পালন করছিলেন এবং আকস্মিকভাবে হামলার মুখে পড়েছেন।

পুলিশ ও প্রশাসনের পদক্ষেপ

— ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত জওয়ান মোতায়েন।
— আহত পুলিশকর্মীদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত।
— অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ।
— আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এলাকায় পিকেট ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

অর্থে ও সামাজিক প্রভাব

এমন ধরনের সংঘর্ষ ও পুলিশ-জন সংঘর্ষ স্থানীয় সঙ্কটকে তীব্র করে, আইনি অনিশ্চয়তা বাড়ায় এবং আশপাশের নিরাপত্তা স্তর নড়বড়ে করে। স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুত, স্বচ্ছ এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে ঘটনার তদন্ত করে টেকসই সমাধান দিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের সংঘাত পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

রিপোর্ট: আপনাদের নিউজ ডেস্ক • সম্পাদনা: রিপোর্টিং টিম

আপডেট নোট: ঘটনাসংক্রান্ত তথ্য পুলিশ সূত্র এবং স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। কোনো নতুন তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিবন্ধটি আপডেট করা হবে।