বঙ্গ বামের ৪ প্রজেক্ট: টিম 'এবি, বিবি, এসএম ও পিডিজি'—কী পরিকল্পনা?
বঙ্গ বামের ৪ প্রজেক্ট: টিম 'এবি, বিবি, এসএম ও পিডিজি'—কী পরিকল্পনা?

পশ্চিমবঙ্গে কার্যরত বামপন্থী সংগঠন 'বঙ্গ বাম' সম্প্রতি চারটি পৃথক প্রজেক্ট ঘোষণা করেছে—যেগুলোর কোডনেম রাখা হয়েছে টিম এবি (অনিল বিশ্বাস), টিম বিবি (বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য), টিম এসএম (সরোজ মুখোপাধ্যায়) এবং টিম পিডিজি (প্রমোদ দাশগুপ্ত)। সংগঠনের অভ্যন্তরীণ সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, এসব টিম মূলত স্থানীয় ইস্যু চিহ্নিত করা, সংগঠন মজবুত করা এবং বিভিন্ন স্থানে কাজের রূপরেখা তৈরিতে ইনপুট দেবে।
টিমগুলোর ভূমিকাঃ সংগঠন ও নীতিগত ইনপুট
সরকারি রেকর্ড বা প্রকাশ্য বিবৃতিতে টিমগুলোর বিস্তারিত কর্মঘটনার তালিকা পাওয়া যায়নি; তবে সংগঠনের শীর্ষকক্ষের নয়— বরং স্থানীয় স্তরের কয়েকজন কর্মী ও পরিচিত সুপ্রতিষ্ঠিত সদস্যরা জানিয়েছেন যে টিমগুলো মূলত নীতিনির্ধারণী ও স্ট্র্যাটেজিক পরামর্শদাতার ভূমিকা পালন করবে।
- স্থানীয় ইস্যু চিহ্নিতকরণ ও অগ্রাধিকার নির্ধারণে ইনপুট প্রদান।
- সংগঠনগত কাঠামো শক্তিশালী করার জন্য প্রশিক্ষণ ও নীতিমালা প্রণয়ন।
- স্থিতিশীল ও নিয়মিত জনসম্পর্ক তৈরিতে সহায়তা।
- স্থানীয় শাখা ও কর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় করে কর্মসূচি সাজানো।
সূত্র বলেছে, "কোনও কাজকর্মই আলিমুদ্দিন স্ট্রিট থেকে সরাসরি করা হচ্ছে না"—এখানে ইঙ্গিত করা হচ্ছে দলের কেন্দ্রীয় অফিসের চেয়ে গোপন-ডেরা বা স্থানীয় ভিত্তির কর্মসূচি বেশি সক্রিয়। স্থানীয় পর্যায়ে পেশাদার যারা নিয়োজিত, তারা অঞ্চলভিত্তিক ইস্যু ও জনজীবনের সমস্যার ওপর ভিত্তি করে কর্মসূচি সাজাচ্ছে বলে সংগঠনের অভ্যন্তরীণ বক্তব্যে উল্লেখ আছে।
টিম-নেম ও ঐতিহাসিক ইঙ্গিত
টিমের কোডনেমগুলো—এবি, বিবি, এসএম ও পিডিজি—বাম রাজনীতির পরিচিত পুরনো নেতৃবাহিনীর নামের সঙ্গে সংযুক্ত। অনিল বিশ্বাস, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সরোজ মুখোপাধ্যায় ও প্রমোদ দাশগুপ্ত—এসব ব্যক্তিত্বের নাম রাজ্যের বাম রাজনীতিতে দীর্ঘকালীন প্রভাবশালী। টিমনামের ব্যবহার শোনায় যে, ঐতিহ্য ও অভিজ্ঞতার ওপর ভর করে নতুন বিন্যাস করা হচ্ছে। যদিও বর্তমান বাস্তবে ঐ চারজনের সক্রিয়তা বা নেতৃত্বে সরাসরি যুক্ত থাকার তথ্য নেই; নামগুলো কেবল ঐতিহাসিক সঙ্গতিপূর্ণ প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভ্যন্তরীণ ধারনাও রয়েছে।
কাজকর্ম কোথায় ও কিভাবে হচ্ছে?
সংগঠনের অভ্যন্তরীণ সূত্রে বলা হয়েছে—গোপন ডেরায় পেশাদার লোকজন কাজটি করছেন; অর্থাৎ কেন্দ্রীয় শুন্য থেকে পরিচালিত হওয়া নয়, বরঞ্চ বিভিন্ন জেলায় ছোট দল গঠন করে স্থানীয় অবস্থান অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। স্থানীয় গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠার ন্যায়ভিত্তিক প্রচারণা, জনপরিসেবা, সামাজিক ইস্যুতে সচেতনতা এবং কমিউনিটি অ্যাপোস্টলেসি—এসব কার্যক্রম লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।
বিশ্লেষণ ও সম্ভাব্য প্রভাব
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন—যদি সত্যিই স্থানীয়ভাবে সুসংগঠিত ছোট টিমরা সক্রিয় হয়, তা গঠনগত অভ্যুত্থানে ভূমিকা রাখতে পারে; তবে রাজনৈতিক প্রভাব নির্ভর করবে টিমগুলোর কার্যকারিতা, জনসম্পৃক্ততা এবং স্থানীয় সমস্যার প্রতি তাদের সমাধান-চেষ্টার উপর। অনেকে মনে করছেন—নামী নেতৃবর্গের স্মৃতিকথা ব্যবহার করে নতুন টিম গঠন করলে সংগঠন তাত্ত্বিক ও নৈতিকভাবে শক্ত হলেও বাস্তবে তা কেমন ফল দেবে, তা সময়ই বলতে পারবে।
স্থানীয় কর্মীরা জানতে দিয়েছেন যে টিমগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত কিছু কর্মীরা ইতিমধ্যেই শিক্ষা, কৃষি, শ্রমিক অধিকার ও নগর সেবা—এই চারটি খাতে প্রাথমিকভাবে নজর দিচ্ছেন; তবে ওই তথ্যগুলো এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।
📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন
📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।
👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে
No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন