উত্তরবঙ্গের বন্যা-ধস: কেন্দ্রের সাহায্য না পেয়ে তৃণমূলের তীব্র অভিযোগ
প্রবল বর্ষণ ও ভুটান থেকে ধেয়ে আসা জলে উত্তরবঙ্গ বিপর্যস্ত — কেন্দ্রের সহায়তা না পেয়ে তৃণমূলের তীব্র অভিযোগ
প্রবল বর্ষণ ও ভুটান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ি ঢলে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশ বন্যা ও ভূমিধসের কবলে পড়ে। সড়ক-সংযোগ বিচ্ছিন্ন, বহু গ্রামতলা প্লাবিত এবং বাড়িঘর, ফসল ও জীবিকা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং স্থানীয় মানুষদের তৎপরতার ফলে উদ্ধার ও পুনর্বাসন শুরু হলেও তৎপর কেন্দ্রীয় তহবিলের অভাবে রাজ্যের দাবি অনূত্তর থেকে যাচ্ছে বলে তৃণমূল কংগ্রেস তীব্রভাবে অভিযোগ করেছে।
- উত্তরবঙ্গের জন্য কেন্দ্র থেকে একটাও টাকা বরাদ্দ করা হয়নি।
- মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকে দ্রুত ১,৯৫০.৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও বাংলার নাম তালিকায় নেই।
- ২০২১ সালের ঘটনাবলীর প্রতিশোধমূলক মনোভাব থেকে বাংলার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অবহেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
তৃণমূলের শাসকদল সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ট্যাগ করে অভিযোগ তুলেছে যে, 'ভয়ঙ্কর বন্যা এবং ভূমিধসের কবলে উত্তরবঙ্গ — জীবন, ঘরবাড়ি এবং জীবিকা সম্পূর্ণ ধূলিস্যাৎ; সেই সময়ও কেন্দ্র একেবারে নীরব। এক টাকাও রাজ্যের জন্য বরাদ্দ করা হয়নি।' তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকে দ্রুত তহবিল দেওয়া হলেও বাংলাকে চুকানো হয়েছে তালিকা থেকে।
শাসকদলের দাবি অনুযায়ী, কেন্দ্র এসডিআরএফ (SDRF) ও এনডিআরএফ (NDRF) থেকে বিভিন্ন রাজ্যে লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে — ১৩,৬০৩.২০ কোটি SDRF-ভিত্তিক বরাদ্দ ও ২,১৮৯.২৮ কোটি এনডিআরএফ-ভিত্তিক বরাদ্দ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের জন্য — কিন্তু বাংলার নাম উল্লেখ করা হয়নি বলে তৃণমূল বলছে।
শাসকদল আরও দাবি করেছে যে, এটি একটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার প্রকাশ — বিশেষত ২০২১ সালকে কেন্দ্র করে পূর্ববর্তী রাজনৈতিক বিবাদকে কেন্দ্র করে বাংলা লক্ষ্যভিত্তিকভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তৃণমূলের ট্যুইট ও পোস্টে কেন্দ্রকে 'বাংলা বঞ্চক' আখ্যা দেন এবং মন্তব্য করা হয়েছে যে, 'বাংলার মানুষ আগামী ভোটে ভোট বাক্সের মাধ্যমে এর প্রতিক্রিয়া দেখাবে।'
কেন্দ্রের প্রতিক্রিয়া ও সরকারি বিবৃতি
কেন্দ্রীয় সরকার থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্র সরকার বন্যা, ভূমিধস ও মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলিকে সর্বাত্মক সাহায্য করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একই সঙ্গে তারা উল্লেখ করেছে যে নির্দিষ্ট বরাদ্দের ক্ষেত্রে রাজ্য প্রতিনিধিদের প্রাতিষ্ঠানিক প্রস্তাব এবং ক্ষতির প্রকৃত মূল্যায়ন বিবেচনায় নেওয়া হয়। (নোট: সঠিক আলোকপাতের জন্য সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞপ্তি বা রিলিজ দেখুন — এখানে অনুলিপি করা হয়নি)।
স্থানীয় পর্যায়ে কাজ চলছিলেও পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দুর্বল পরিবারগুলোর মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। কৃষকদের ফসলের ক্ষতি, পথ-সংযোগ বিচ্ছিন্নতার ফলে বাজার অপ্রাপ্যতা—এসব পরিস্থিতি দ্রুত সমাধান না হলে এলাকায় মানবিক চাহিদা বেড়ে যাবে বলে স্থানীয় বিবেচনা।
স্থানীয় প্রতিক্রিয়া ও পরবর্তী দাবি
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিপূর্বে এই বিষয়ে সরব হয়েছেন এবং রাজ্য প্রশাসনকে দ্রুত উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। তৃণমূলের তরফ থেকে কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় কটাক্ষ করা হয়েছে এবং পুনরায় দাবি করা হয়েছে — কেন্দ্রকে সরাসরি বরাদ্দ কার্যকর করতে হবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের জরুরি ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
সম্পূর্ণ অন্বেষণ ও যাচাইয়ের সুপারিশ: এই অভিযোগের প্রকৃততা ও বরাদ্দের বিশদ যাচাই করতে সরকারি নথি/নোটিশ, কেন্দ্রীয় RELIEF-রিলিজ, এবং রাজ্য প্রশাসনের দাবির কাগজপত্র দেখাসাপেক্ষ। পাঠকরা স্থানীয় প্রশাসন বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের ওয়েবসাইট থেকে অফিসিয়াল নোটিশ দেখে নিশ্চিত হোন।



No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন