অসম-নাগাল্যান্ড সীমান্তে উত্তেজনা: জালাল বস্তিতে ৯৩টি পরিবারের বাড়ি পুড়ল

অসম-নাগাল্যান্ড সীমান্তে উত্তেজনা: জালাল বস্তিতে ৯৩টি পরিবারের বাড়ি পুড়ল

অসম-নাগাল্যান্ড সীমান্তে উত্তেজনা: জালাল বস্তিতে ৯৩টি পরিবারের বাড়ি পুড়ল

🗓️ প্রকাশিত: ৫ অক্টোবর ২০২৫ | ✍️ ডিজিটাল ডেস্ক, Y বাংলা

অসম-নাগাল্যান্ড সীমান্তে অগ্নিসংযোগ

অসম-নাগাল্যান্ড সীমান্তে ফের একবার অশান্তি। বৃহস্পতিবার রাতে সীমান্তবর্তী জালাল বস্তি এলাকায় ব্যাপক অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বহু ঘরবাড়ি পুড়ে গিয়েছে, আতঙ্কে রাতভর পালিয়ে বেড়িয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

অসম সরকারের দাবি, নাগা দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়ে গ্রামে হানা দেয় এবং ইন্ধন জোগায় আগুনে। কিন্তু নাগাল্যান্ড সরকার জানাল, জালাল বস্তি আসলে তাদেরই নিউল্যান্ড জেলার অন্তর্গত। নাগাল্যান্ড প্রশাসনের বক্তব্য, “অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের হামলায় ১০৫টি পরিবারের মধ্যে ৯৩টি পরিবারের ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে।”

স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, ১৯৮৪ সালে জালাল নামে এক ব্যক্তি অসম সরকারের সহায়তায় কৃষিকাজের জন্য এই এলাকায় বসতি স্থাপন করেন। ১৯৮৭ সালের দিকে তিনি ওই জমির মালিকানা দাবি করেন, যা নিয়েই আজও দুই রাজ্যের মধ্যে বিরোধ চলছে।

স্থানীয় মানুষদের অভিযোগ, সম্প্রতি অসম সরকার গিলাজান ও রাজা পুখুরি এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালানোর পর অনেক বাস্তুচ্যুত পরিবার জালাল বস্তিতে আশ্রয় নেয়। উচ্ছেদের আগে যেখানে মাত্র ৩০-৪০টি পরিবার ছিল, সেখানে এখন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০৫টি।

প্রশাসনের বক্তব্য:

জালাল বস্তির বিরোধ বহু পুরনো। সীমান্ত নির্ধারণ ও জমি মালিকানা নিয়ে দুই রাজ্যের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। নাগাল্যান্ড প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

অসমের তরফে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকার শান্তি ও স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চেয়েছে। অন্যদিকে নাগাল্যান্ডের দাবি, তাদের প্রশাসনিক এলাকায় অসমের বাহিনী ঢুকে পরিস্থিতি জটিল করে তুলছে।

উত্তর-পূর্ব ভারতের দুই প্রতিবেশী রাজ্যের এই পুরনো সীমান্ত বিরোধ আবারও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

No comments:

আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন

Featured post

দুর্গাপুর গণধর্ষণ: সিবিআই তদন্ত দাবি পরিবারের, পুনর্নির্মাণে পুলিশের নজর দুর্গাপুর গণধর...

Search This Blog

Powered by Blogger.