উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টি ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯
উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টি ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯
লেখক: সালমা মন্ডল | আপডেট: ৬ অক্টোবর ২০২৫
উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টির জেরে তোর্ষা, জলঢাকা, কালজানি-সহ একাধিক নদী প্লাবিত হয়ে ভয়াবহ ধস ও বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটায় সোমবার আরও চারটি মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯। বামনডাঙ্গা এলাকায় নিস্তব্ধ শ্মশানসদৃশ পরিবেশ বিরাজ করছে, যেখানে দু’দিনে মোট ৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদের মধ্যে শকুন্তলা ওড়া (৫০), এতোয়ারি ওড়াও (৫৫), নিভৃতি নায়েক (৬) এবং মঞ্জু নায়েক (২৫) রয়েছেন।
আলিপুরদুয়ারে ২১৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা ও ডুয়ার্সের গরুমারা অভয়ারণ্যের ৭৯.৪৫ বর্গকিলোমিটার জলমগ্ন হয়েছে। সূত্রের খবর, বন্যায় গন্ডার, চিতাবাঘসহ সাতটি বন্যপ্রাণীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল ভাস্কর জেভি জানিয়েছেন, “সার্চ অপারেশনের জন্য আলাদা টিম তৈরি করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা জঙ্গলে মনিটরিং চলছে। লোকালয়েও মাইকিং করা হচ্ছে। গভীর জঙ্গলে হাতির মাধ্যমে উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হবে।”
বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা জলদাপাড়া অভয়ারণ্য পরিদর্শন করেছেন এবং বনদফতরের পদাধিকারীদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “জলদাপাড়ার একাধিক ছোট সেতু ভেঙে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পুরো চিত্র এখনও জানা সম্ভব নয়। আমরা ধাপে ধাপে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছি এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।” একইসঙ্গে তিনি নাগরাকাটা এলাকায় বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
ডুয়ার্স অঞ্চলে একটি গন্ডার, দু’টি চিতাবাঘ এবং চারটি হরিণের মৃত্যু হয়েছে। নদীগুলি প্লাবিত হওয়ায় বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল জলে ঢেকে গেছে। বনকর্মীরা বন্যপ্রাণী উদ্ধারে সক্ষম হননি। পানবাড়ি এলাকার কাছে জলঢাকা নদী ফুলে ওঠায় পাঁচটি হাতি ও হাতির শাবক আটকে রয়েছে। এছাড়া তিনটি গন্ডার নিখোঁজ থাকলেও দু’টির সন্ধান মিলেছে।
জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহাল জানিয়েছেন, নাগরাকাটা থানার বামনডাঙ্গা এলাকা থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বন্যায় ঘরবাড়ি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে, রাস্তা ও বেসামাল চালের আশ্রয়ও নেই। ধুপগুড়ি ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় জলঢাকা নদীর বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ তাদের ঘরবাড়ি, অর্থ ও মালামাল হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব ধুপগুড়ি বন্যা দুর্গত এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। তারা বন্যা বিধ্বস্তদের সঙ্গে কথা বলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করিয়েছেন। বনদফতর আশাবাদী যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নিখোঁজ বন্যপ্রাণীদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন
📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।
👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে
No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন