গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়: উপাচার্য ও উদ্যোক্তা নিয়ে তর্ক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিক্রিয়া

গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়: উপাচার্য ও উদ্যোক্তা নিয়ে তর্ক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিক্রিয়া

গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়: উপাচার্য ও উদ্যোক্তা নিয়ে তর্ক — বিশ্ববিদ্যালয়ের তীব্র নিন্দা ও আইনগত দাবির প্রস্তুতি

আপডেট: 12 অক্টোবর, 2025 | লেখক: Y বাংলা ডিজিটাল ব্যুরো
গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান প্রবেশদ্বার
ছবি: গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গন, যেটি বিশ্ববিদ্যালয় বিবৃতিতে উল্লিখিত প্রশাসনিক স্বচ্ছতার প্রতীক হিসেবে দেওয়া হয়েছে।

জুবিন গর্গের মৃত্যুর তদন্তে উত্তর-পূর্ব উৎসবের উদ্যোক্তা শ্যামকানু মহন্তের প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখের পর তাঁর দাদা—গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ননীগোপাল মহন্তকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। রাজ্য তৃণমূলের সহ-সভাপতি দুলু আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন, যা নিয়ে সম্প্রতি রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি বর্ণপরিপূর্ণ বিবৃতি জারি করে স্পষ্ট করেছে যে উপাচার্য এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে যে সব খবর ও দাবিসমূহ প্রচারিত হচ্ছে তা “পূর্ণতই মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর” এবং প্রতিষ্ঠানটির মর্যাদাহানিকর। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই ধরনের প্রচারণা একটি সুপরিকল্পিত এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচেষ্টা, যা বিশ্ববিদ্যালয় ও উপাচার্যের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে পরিচালিত হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্য সংক্ষেপে:
  • প্রতিষ্ঠানের সব আর্থিক লেনদেন ভারত সরকারের মহা হিসাব-নিয়ন্ত্রক (CAG) কর্তৃক নিরীক্ষিত হয়।
  • প্রতিটি খরচ ও ক্রয় সম্পূর্ণ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় এবং বহুস্তরীয় অনুমোদন পদ্ধতির মাধ্যমে গৃহীত হয়।
  • রেজিস্ট্রার ড. উৎপল শর্মার বক্তব্য অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান সততা ও আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রেখেই পরিচালিত হচ্ছে।
  • মাধ্যমে মিথ্যা প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

রাজ্য রাজনীতির পারিপার্শ্বিকতায় এই ঘটনার রাজনৈতিক ব্যঞ্জনা স্পষ্ট। অভিযোগ-প্রতিউত্তরের এই বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম ও শিক্ষাগত কর্মকাণ্ড প্রভাবিত হতে পারে—এই আশঙ্কা শিক্ষাবিদ এবং স্থানীয় নাগরিকদের মধ্যে বিদ্যমান। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, প্রশ্নবিদ্ধ কোনো নথি থাকলে তা যথাযথভাবে প্রকাশ ও পর্যালোচনা করার জন্য তারা প্রস্তুত; তবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচার ও মানহানিকর প্রচারণা তাদের সহ্যযোগ্য নয়।

এদিকে, অভিযোগকারীদের দাবি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিক্রিয়ার মধ্যে সত্য উন্মোচনের জন্য স্বচ্ছ, স্বাধীন তদন্তের দাবি ঘনীভূত হচ্ছে। স্থানীয় রাজনৈতিক দল ও বুদ্ধিজীবীদেরও অনুরোধ যে—প্রমাণভিত্তিক ও সংবিধানিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই বিষয়টি সমাধান হোক, যাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নৈতিক ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা বজায় থাকে।

প্রতিবেদনটি Y বাংলা ডিজিটাল ব্যুরো কর্তৃক সংকলিত তথ্যের ভিত্তিতে প্রস্তুত।

📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন

📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।

👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে

No comments:

আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন

Featured post

দুর্গাপুর গণধর্ষণ: সিবিআই তদন্ত দাবি পরিবারের, পুনর্নির্মাণে পুলিশের নজর দুর্গাপুর গণধর...

Search This Blog

Powered by Blogger.