“দিল্লির টিকিট কেটে ফেলুন, ব্যাগ গুছিয়ে রাখুন”— DGP রাজীব কুমারকে সরাসরি হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
হাসপাতালে খগেন মুর্মু: মমতার দেখাসাক্ষাৎ, শুভেন্দুর তোপ — রাজনীতির ছোঁয়া মানবিকতা ঘিরে তীব্র বিতর্ক
জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা এলাকায় বন্যা–ভূমিধস পরবর্তী ত্রাণ কাজে গেলে বর্ণিত ঘটনায় আক্রান্ত হন বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত এমপি খগেন মুর্মু ও স্থানীয় বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। আহত খগেন মুর্মুকে হাসপাতালে নেওয়ার পর বিকেলে তাকে দেখতে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালের ডাক্তারি রিপোর্ট দেখে জানান যে মুর্মুর অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল ও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তিনি স্পষ্ট করেন, হাসপাতালে ডাক্তারদের সঙ্গে কথা হয়েছে এবং মুর্মুর ডায়াবেটিস রয়েছে — তাই সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত সুস্থতা কামনা করে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসেন এবং স্থানীয় পরিস্থিতির সার্বিক ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি মনযোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন।
“আর এমনি ঠিক আছে। আমি ডাক্তারের রিপোর্ট এবং সবকিছু দেখেছি… আপাতত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে,” — মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (হাসপাতাল থেকে)।
বিকেলে হাসপাতাল পরিদর্শনের পরে সেখানে হাজির হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এমপি খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় অভিযোগ করেন এবং ডিজিপি রাজীব কুমারকে লক্ষ্য করে তোপ দাগেন। শুভেন্দু বলেন, “জলপাইগুড়ির এসপি, ডিজিপি রাজীব কুমার দিল্লি যাওয়ার জন্য ব্যাগ গুছিয়ে রাখুন — স্পিকারের ডাক আসবে,” এবং ওই ঘটনার বিরুদ্ধে রক্তের বদলা নেয়ার হোল্লা দেন।
শুভেন্দু আরও বলেন, তিনি এই হামলার বিরুদ্ধে তীব্র ব্যবস্থা চান এবং দাবি করেন যে বর্ণিত ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার প্রয়োজন। তিনি উল্লেখ করেন যে বিষয়টি কেন্দ্রীয় পর্যায়েও পৌঁছেছে এবং নানা তদন্তকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ চলছে বলে জানানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় রাজনীতিতেও ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া আসে: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ঘটনাকে ‘মর্মান্তিক এবং নিন্দনীয়’ বলে অভিহিত করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র ঐক্যবদ্ধ শাস্তির দাবি জানান। মোদী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবায় যাওয়া সরকারি ও রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের ওপর এই আক্রমণ দয়া অনুপম ও উদ্বেগজনক।
“বন্যা ও ধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আমাদের দলের বিধায়ক, সাংসদরা যে নৃশংস আক্রমণের শিকার হয়েছে, তা মর্মান্তিক এবং নিন্দনীয়। ” — প্রধানমন্ত্রী (এক প্রতিক্রিয়ায়)।
প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগড়ে দেন। তিনি বলেন, প্রমাণ-ভিত্তিক তদন্ত কিংবা প্রশাসনিক রিপোর্ট ছাড়া দলের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তোলা অযৌক্তিক ও রাজনীতিক। মমতা প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানান, রাজ্যের তদন্ত ও পরিস্থিতি খতিয়ে না দেখে রাজনীতি করা উচিত নয়।
ঘটনাটি তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, কেন্দ্র ও রাজ্য প্রশাসন—সবই বিভিন্ন স্তরে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং স্থানীয় শৃঙ্খলা ও পুনরুদ্ধার কাজে স্বচ্ছতা বজায় রাখার অঙ্গীকার করেছে। এখনও প্রত্যক্ষ অভিযুক্ত ও ঘটনার সূচনাকারী সম্পর্কে তদন্ত চলমান; সুতরাং চূড়ান্ত রিপোর্ট ছাড়া কিছুর উপর পুরোপুরি শেষ সিদ্ধান্ত নেয়া যাচ্ছে না।
এই ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত সকল পক্ষকে সংযত থাকতে এবং শান্তিপূর্ণভাবে তদন্ত-প্রক্রিয়াকে সম্মান জানাতে সংবাদমাধ্যম ও নাগরিকদেরও আহ্বান জানানো হয়েছে। তদন্ত-রিপোর্ট প্রকাশের পরেই ঘটনা নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।
📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন
📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।
👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে
No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন