অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারা অনুপ্রাণিত শোভন চট্টোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে স্বীকৃতি

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারা অনুপ্রাণিত শোভন চট্টোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে স্বীকৃতি

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারা অনুপ্রাণিত শোভন চট্টোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে স্বীকৃতি

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায় সাক্ষাৎ

Y বাংলা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন জল্পনা শুরু করেছেন প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে স্বীকৃতি পেয়ে এনকেডিএ (NKDA) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পর এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিন্তাধারাই তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছে।

তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমি দু’দিন আগেও দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছি। সেখানে এসব প্রসঙ্গ আসেনি।” তারপরই অভিষেকের সঙ্গে নিজের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গ টেনে আনেন শোভন। তাঁর কথায়, “অভিষেকের সঙ্গে পুজোর আগে যখন ২৫ তারিখে বসেছিলাম, যে দৃষ্টিভঙ্গি আমি অভিষেকের দেখেছিলাম, যে পরিণত অভিষেককে আমি দেখেছিলাম, এটা শেখার জিনিস। আমি বয়সে বড় মানে, আমি সবটাই জানি, তা নয়। একজন যুবক যে বাস্তবিক দৃষ্টি ও জ্ঞানবোধ নিয়ে চলে, সেটা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে।”

তথ্যবক্স:
🔹 পদ: এনকেডিএ চেয়ারম্যান
🔹 প্রেরণার উৎস: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
🔹 রাজনৈতিক অবস্থান: তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ, তবে ‘ফ্ল্যাগহীন’ রাজনীতি
🔹 মন্তব্য: “বিজেপিতে যাওয়া ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল।”
🔹 সাক্ষাৎ: দার্জিলিঙে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাম্প্রতিক বৈঠক

প্রসঙ্গত, শোভন পুজোর আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। অভিষেকও সেই বৈঠকে সম্মতি দেন। তবে ঘটনাচক্রে, শোভন-অভিষেকের বৈঠকের মাত্র ৪৮ ঘণ্টা আগে কলকাতা জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল রেকর্ড বৃষ্টিতে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন একাধিক মানুষ। তখন মেয়রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীরা।

এই সময়েই শোভন-অভিষেক বৈঠক রাজনৈতিক মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই বৈঠক ছিল রাজনৈতিকভাবে ‘ইঙ্গিতবাহী’। এতে মেয়রের ওপর চাপও বেড়েছিল বলে দাবি করেন অনেকে।

২০২৩ সালের একুশে জুলাইয়ের তৃণমূলের সভায় মঞ্চে শোভনের উপস্থিতি নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছিল। এরপর ২০২৪ সালের একুশের মঞ্চেও দেখা মেলে তাঁর। এমনকি ভাইফোঁটার সময় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও হাজির হন তিনি। তৃণমূল মহলে তখন থেকেই প্রশ্ন ওঠে— তাহলে কি শোভনের কামব্যাক ঘনিয়ে আসছে?

সম্প্রতি দার্জিলিঙে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ বৈঠক এবং এনকেডিএ চেয়ারম্যান হিসেবে পদপ্রাপ্তি ফের সেই জল্পনাকে উস্কে দিয়েছে।

এই প্রসঙ্গে তাঁকে সরাসরি প্রশ্ন করা হলে শোভন বলেন, “আমার হাতে এখন কোনও ফ্ল্যাগ নেই। রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও আমাকে সক্রিয়ভাবে দেখেননি কেউ। তাই সক্রিয়-নিষ্ক্রিয় প্রসঙ্গ তোলা হচ্ছে। কিন্তু আমি জানি, রাজনীতিতে আমি কতটা সক্রিয় ছিলাম। বিজেপিতে যাওয়া ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ব্লান্ডার।”

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, শোভনের প্রশাসনিক পদে প্রত্যাবর্তন আসলে তাঁর রাজনৈতিক পুনর্বাসনের সূচনা মাত্র। দলীয় সূত্র বলছে, শোভন যদি ভবিষ্যতে ফের সক্রিয় রাজনীতিতে নামেন, তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।

📅 সর্বশেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৫

No comments:

আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন

Featured post

দ্রৌপদী মুর্মুর হেলিকপ্টারকে ঘিরে দুর্যোগ এড়ালো — প্রামাদমে হেলিপ্যাডের অংশ বসে যাওয়ার ঘটনা ...

Search This Blog

Powered by Blogger.