বিজেপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব নাকি তৃণমূলের হস্তক্ষেপ—নাগরাকাটায় রাজনৈতিক উত্তাপ তীব্র।”

নাগরাকাটায় বিজেপি সাংসদ-বিধায়কের ওপর হামলা: দুজন গ্রেফতার, তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন অব্যাহত

নাগরাকাটায় বিজেপি সাংসদ-বিধায়কের ওপর হামলা: দুজন গ্রেফতার, তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন অব্যাহত

প্রকাশক: ওয়াসীমা সুলতানা
তারিখ: ৮ অক্টোবর ২০২৫

উত্তরবঙ্গের নাগরাকাটায় ত্রাণ বিতরণের সময় হামলার শিকার হয়েছেন বিজেপির সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। সোমবারের এই হামলার ঘটনায় দুই দিন পর পুলিশ অবশেষে অভিযুক্তদের মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাকি ছয় অভিযুক্তের খোঁজেও তল্লাশি চলছে। তবে বিজেপি শিবিরের দাবি, “চাপের মুখে পড়েই ৪৮ ঘণ্টা পর গ্রেফতার দেখাতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ।”

নাগরাকাটায় বিজেপি সাংসদ-বিধায়কের ওপর হামলার স্থান
নাগরাকাটায় হামলার স্থান, যেখানে ত্রাণ বিতরণের সময় বিজেপি সাংসদ-বিধায়ক আক্রান্ত হন

হামলার সময় সাংসদ খগেন মুর্মু গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। তাঁর চোখের নীচের হাড় ভেঙে গেছে এবং বর্তমানে তিনি উত্তরবঙ্গের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিধায়ক শঙ্কর ঘোষও হামলার সময় আঘাত পেয়েছেন, যদিও তাঁর চোট ততটা গুরুতর নয়।

মঙ্গলবার হাসপাতাল পরিদর্শনে যান বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সুকান্ত মজুমদার। তিনি সরাসরি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। তাঁর বক্তব্য, “এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার না করাটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার না করা জনগণের মধ্যে সন্দেহ তৈরি করছে।”

রাজ্য রাজনীতি নতুন করে উত্তপ্ত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “চ্যারিটি বিগিনস অ্যাট হোম! ঘটনা ঘটেছে বিজেপি অধ্যুষিত এলাকায়, এমপি এবং এমএলএ—সবই বিজেপির। তাহলে দায় কার?” মুখ্যমন্ত্রী এভাবে প্রশ্ন তুলেছেন, যেন এই ঘটনার পেছনে বিজেপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল দায়ী হতে পারে।

অন্যদিকে, বিজেপি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য পুলিশের উপর আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেন, “পুলিশের উপস্থিতিতে তৃণমূলের লোকজন হামলা চালিয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে এখন দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, কিন্তু আমরা জানি পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করবে না। তাই এনআইএ তদন্ত দাবি করছি।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তাপ শুধুমাত্র স্থানীয় সীমাতেই সীমাবদ্ধ থাকবেনা। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের মধ্যেও বিতর্ক তৈরি হতে পারে। এনআইএ তদন্তের দাবি, পুলিশি দোষী অনুসন্ধান এবং রাজনৈতিক চাপ—সব মিলিয়ে নাগরাকাটার পরিস্থিতি এখন নজরকাড়া ও সংবেদনশীল হয়ে উঠেছে।

নাগরাকাটা ঘটনা প্রমাণ করছে, রাজনৈতিক সংঘাত শুধুমাত্র রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সাধারণ মানুষ, প্রশাসন, এবং রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকরা প্রত্যক্ষভাবে এতে প্রভাবিত হচ্ছেন। বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের আঘাত ও হাসপাতাল ভর্তি, পুলিশের দেরি, রাজনৈতিক নেতা ও দলগুলোর মতামত—সবকিছু মিলিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত।

রাজ্য ও কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক মহলের নজর এখন নাগরাকাটার দিকে। ৪৮ ঘণ্টা পর দুজনের গ্রেফতার হলেও, তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন থামছে না। মানুষ জানতে চায়, বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ, হামলার কারণ ও দায়ীদের শাস্তি কবে হবে।

#নাগরাকাটা #বিজেপি_হামলা #খগেনমুর্মু #শঙ্করঘোষ #উত্তরবঙ্গরাজনীতি

📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন

📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।

👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে

No comments:

আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন

Featured post

দুর্গাপুর গণধর্ষণ: সিবিআই তদন্ত দাবি পরিবারের, পুনর্নির্মাণে পুলিশের নজর দুর্গাপুর গণধর...

Search This Blog

Powered by Blogger.