বিহারের বিধানসভা ভোটের পূর্বাভাস: আরজেডি শিবিরে ভাঙনের ছায়া
বিধানসভা ভোটের আগে আরজেডি শিবিরে ভাঙনের ছায়া

বিহারের আগাম বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে আরজেডি শিবিরে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ভাঙনের আভাস দেখা যাচ্ছে। দল থেকে পৃথক হয়ে বিধায়ক পদে ইস্তফা দিচ্ছেন বহু নেতাই; রবিবার বিধায়ক বিভা দেবী ও প্রকাশ বীর ইস্তফার ঘোষণায় পরিস্থিতি আরও জটিল রূপ নিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উভয়েই বিধানসভার স্পিকার নন্দকিশোর যাদবের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ইস্তফা জমা করেছেন এবং তা গ্রহণ করা হয়েছে। ইস্তফার পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন চলছে যে তাঁরা শীঘ্রই নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত জনতা দল (জেডিইউ) কিংবা বিজেপির সঙ্গে আঁতাত ঘটাতে পারেন।
সংক্ষিপ্ত পরিসংখ্যান
- ইস্তফা দিয়েছে: বিভা দেবী (নওদা), প্রকাশ বীর (রাজৌলি) এবং সাম্প্রতিককালে চেতন আনন্দ, সঙ্গীতা কুমারি ইত্যাদি।
- সম্ভাব্য গন্তব্য: জেডিইউ/বিজেপি (গুঞ্জনজনক)
- নির্বাচন ক্যালেন্ডার: আগামী মাসে বিধানসভা ভোট।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য— আরজেডি-র অভ্যন্তরীণ অনমনীয়তা ও লোকসভা নির্বাচনের সময় কিছু এলাকায় পরিবারভিত্তিক সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হওয়া অসম্মানীর ফলেই নেতাদের মনে অসন্তোষ বাড়ছে। বিশেষ করে নওদা অঞ্চল থেকে উঠে আসা অন্দোলনের ছোঁয়া, দলীয় সিদ্ধান্তে অংশ না পাওয়া, এবং প্রার্থিতা বিতর্ক—এসব মিলিয়ে ভাঙনের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
আরজেডি শিবিরের একাংশের ধারণা, নির্বাচনের আগে যদি নির্দিষ্ট সংখ্যক নেতাই দল ছেড়ে চলে যায়, তা হলে প্রভাবশালী আসন এবং ভোটের বিন্যাসে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। নিয়মিত শুভানুধ্যায়ীদের আশঙ্কা— এই ধারা অব্যাহত থাকলে জোট রাজনীতি এবং স্থানীয় সমীকরণ বদলে যেতে নেবেই।
অন্যদিকে এনডিএ তৎপর— আসন সমঝোতা ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত হওয়ায় বিজেপি ও জেডিইউ সমানভাবে ১০১টি আসনে লড়াই করার প্রস্তুতি নেবে; আর ছোট দলগুলোর অংশগ্রহণও নির্বাচনী মানচিত্রে জটিলতা আনবে। এ শ্রমশক্তি-ভিত্তিক রাজনীতি ও ভৌগোলিক রাজনীতিতে আগামী কয়েক সপ্তাহ মাহেন্দ্রক্ষণ হয়ে উঠতে পারে।
দলীয় নেতৃত্ব দু’পক্ষেই এখন কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র সাজাচ্ছে— নেতাদের টানার চেষ্টা, স্থানীয় শাসন-প্রশাসনিক সমর্থন জোগাড় এবং পাবলিক মুড মেপে কিভাবে নিজেদের প্রার্থীদের লড়াইয়ে জোরদার করা যায়, সেটাই এখন মূল ফোকাস। নির্বাচন-প্রসঙ্গে পাশাপাশিই দরকারীয় ব্যাপার হল— দলের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধান ও গণভোটে পাঠানো বার্তা কতটুকু কার্যকর থাকবে।
সংক্ষিপ্তভাবে বলা যায়, বিহারের রাজনৈতিক বতাহ এখন অনিশ্চয়তার সুরে বাজছে— আরজেডি থেকে শুরু হওয়া বিচ্ছিন্ন ইস্তফা ও সম্ভাব্য দলবদল পুরো রাজ্যের নির্বাচনী কৌশল ও ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে। ভোটযুদ্ধে কোন পথটি সর্বাধিক প্রভাব ফেলবে, তা নির্ভর করবে আগামী কয়েক সপ্তাহে নেতাদের সিদ্ধান্ত ও স্থানীয় জনমতের গতি নিয়ে।
📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন
📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।
👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে
No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন