পাকিস্তান ভারতের দিকে অভিযোগ দিচ্ছে — আফগানিস্তান প্রসঙ্গে সাম্প্রতিক বিবৃতি
পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাড়াল — আফগানিস্তানকে কেন্দ্র করে নতুন উত্তাপ

পাকিস্তানের সামরিক কূটনীতির শীর্ষ ঘাঁটিস্বত্বারা সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন—আফগানিস্তানে কিছু সংগঠন গড়ে উঠে পাকিস্তানের ওপর হামলা চালাচ্ছে এবং তারা ভারতের সহায়তা পাচ্ছে। অভিযোগটি তীব্র কূটনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
পেশোয়ারে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসম্পর্ক দফতরের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা ভারতের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ উত্থাপন করেছেন — দাবি করা হয়েছে আফগানিস্তানে জঙ্গিদের ঘাঁটি গড়ে তাদের মাধ্যমে পাকিস্তানে হামলা পরিচালিত হচ্ছে এবং এর সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আছে।
এই অভিযোগটি আসে এমন এক সময়ে যখন আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সম্পর্ক ইতিমধ্যেই তলানিতে নামতে শুরু করেছে। দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভেদ দীর্ঘদিনের, এবং চলমান ঘটনাবলিই সেই অস্থিরতাকে আরও জটিল করে তুলছে।
- পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—আফগান ভূখণ্ডে জঙ্গি সংগঠন সক্রিয়, আর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
- আফগানিস্তান অভিযোগগুলোর একটি অংশ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং সকল দাবি উড়িয়ে দিয়েছে।
- কূটনৈতিক পর্যায়ে ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তানের সম্পর্ক শক্তিশালী হওয়ায় পাকিস্তানে অস্বস্তি লুকানো নয়।
আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী সাম্প্রতিককালেই প্রথমবারের মতো ভারতে সফর করেছেন—এই পরিদর্শন দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের ইঙ্গিত দেয়। একই সময়ে পাকিস্তান থেকে ভারত ও আফগানিস্তানকে একযোগে তিরস্কার করা আরেক মাত্রা যোগ করেছে। সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরণের কূটনৈতিক আক্রমণ সাধারণত ঘরের রাজনৈতিক চাপ মোচনে ব্যবহৃত হয়।
তবে সরকারি পর্যায়ে ভারতের তরফ থেকে এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি। অভিজ্ঞ কূটনীতিবিদদের মতে, পাকিস্তানের এই তৎপরতা স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামরিক ব্যর্থতার কভারেজ হিসেবেই দেখা হচ্ছে—এগুলো নীতি নির্ধারণ ও অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা ঢাকতে ব্যবহৃত কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে।
সামরিক বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন যে, এক দিকে আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক চাপ এবং অন্য দিকে সীমান্তভিত্তিক অভিযোগ—এসব মিলিয়ে অঞ্চলীয় স্থিতিশীলতায় প্রভাব পড়তে পারে। তাই কূটনৈতিক চ্যানেলে স্বচ্ছ যোগাযোগ ও নিরপেক্ষ তদন্তের প্রস্তাবকে প্রাধান্য দেওয়াই উত্তম বলেই দেখা উচিত।
সবশেষে বলা যায়—পশ্চিম কম্পজিশনে বদল না আনা পর্যন্ত এই ধরনের অভিযোগ-প্রত্যাহারের পালা চলতেই থাকবে, এবং এতে বড় পরিসরে কূটনৈতিক বদল দেখা না গেলেও আঞ্চলিক উত্তেজনা বজায় থাকবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন
📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।
👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে
No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন