উত্তরবঙ্গের বন্যা মোকাবিলায় জীবনদূত হিসেবে দাঁড়ালেন ডাঃ ইরফান মোল্লা
উত্তরবঙ্গের বন্যা মোকাবিলায় জীবনদূত হিসেবে দাঁড়ালেন ডাঃ ইরফান মোল্লা

ডিজিটাল ডেস্ক: জল ঢুকছে গ্রাম-গঞ্জে, ভেসে যাচ্ছে একের পর এক মানুষ। বিপর্যস্ত এলাকার মানুষদের জীবন বাঁচাতে, নাগরাকাটা সহ জলপাইগুড়ির একাধিক অঞ্চলে তৎপর হয়েছেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং আশাকর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে সামাজিক মাধ্যমে আলোচিত হয়েছে উত্তরবঙ্গের ডাক্তার ডাঃ ইরফান মোল্লার সাহসিকতা।
ডাঃ ইরফান মোল্লা, যিনি নাগরাকাটা ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক (BMOH), জিপ লাইনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছে জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছেন। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি সকাল থেকে রাত অবধি প্রাথমিক চিকিৎসা ও জরুরি সহায়তা প্রদান করছেন। বর্ধমানের মেধাবী এই ছেলে নিয়ে নেটদুনিয়া প্রশংসায় পঞ্চমুখ। অনেকেই তাঁকে ঈশ্বরের সঙ্গে তুলনা করছেন।
ডাঃ ইরফান মোল্লার বক্তব্য: “৫ অক্টোবর রাত থেকে জল ঢোকার খবর পাওয়া যায়। বিভিন্ন এলাকার অবস্থা ভয়াবহ। প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করি এবং নিজেও দুর্গত মানুষের কাছে পৌঁছাই। জিপ লাইনের মাধ্যমে বামনডাঙা পেরিয়েছি। ভয় ছিল না, লক্ষ্য একটাই— মানুষ বাঁচানো।”
ডাক্তার ইরফান বলেন, “এলাকায় পৌঁছে দেখি ছোট বাচ্চা জলের মধ্যে ভেসে গেছে। মা নিজে কিছু করতে পারেননি। অনেক প্রসূতির চিকিৎসা এবং জরুরি মেডিকেল সেবা নিশ্চিত করতে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। আমরা যতটা সম্ভব চেষ্টা করছি। এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে।”
ডাঃ ইরফান মোল্লা ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সেই থেকে তিনি নিয়মিতভাবে দুর্গত এলাকায় চিকিৎসা সেবা ও জরুরি সাহায্য পৌঁছে দিচ্ছেন। বন্যার সময় তাঁর সাহসিকতা এবং তৎপরতা মানুষের জীবন বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
ডাক্তার হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়ানো তাঁর মূল লক্ষ্য। নিজের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে কাজ করার এই অভিজ্ঞতা ডাঃ ইরফানকে আরও শক্তিশালী এবং সমাজের জন্য উদাহরণ স্থাপন করেছে।
পরিবারও তাঁর এই সাহসিক কাজে গর্বিত। ডাঃ ইরফান জানান, “বাবা-মা প্রথমে কিছুটা চিন্তিত ছিলেন। কিন্তু পরে তাঁরা বললেন, ভালোভাবে কাজ করো, মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। এই সমর্থন আমাকে আরও সাহস যোগিয়েছে।
ডাঃ ইরফানের তৎপরতায় বহু মানুষের জীবন বেঁচেছে। তিনি শুধু চিকিৎসক নন, বরং বিপর্যস্ত এলাকায় জীবনদূতের ভূমিকায় দাঁড়িয়েছেন। এই ঘটনা আরও প্রমাণ করে যে, মানুষের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং বিপদকালীন পরিস্থিতিতেও সাহসিকতা ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি অপরিহার্য।
📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন
📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।
👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে
No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন