বিহারে বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা
বিহারে বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন
লেখক: মৃদুল কান্তি দাস
নির্বাচন কমিশন সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করল বিহারে বিধানসভা ভোটের দিন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার জানালেন, এইবার বিধানসভা নির্বাচন শুরু হবে ৬ নভেম্বর থেকে। নির্বাচনের প্রক্রিয়া দুই দফায় সম্পন্ন হবে; প্রথম দফা ৬ নভেম্বর এবং দ্বিতীয় দফা ১১ নভেম্বর। ফলাফল ঘোষণার তারিখ নির্ধারিত হয়েছে ১৪ নভেম্বর। সব নির্বাচনী প্রক্রিয়া ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত সম্পূর্ণ হবে। নির্বাচন কমিশন একইসঙ্গে বিহারে চলমান বিশেষ নিবিড় সংশোধনী বা এসআইআর প্রক্রিয়ার ভূয়সী প্রশংসা করেছে।
বিহারে মোট ২৪৩ আসনের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ১২১টি আসনে প্রথম দফার ভোট অনুষ্ঠিত হবে। বাকি ১২২টি আসনে ভোট নেওয়া হবে দ্বিতীয় দফায়। প্রথম দফার মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা শুরু হচ্ছে ১০ অক্টোবর থেকে, শেষ হচ্ছে ১৭ অক্টোবর। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২০ অক্টোবর। দ্বিতীয় দফার জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে ১৩ অক্টোবর থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত এবং মনোনয়ন প্রত্যাহারের চূড়ান্ত সময়সীমা ২৩ অক্টোবর।
নির্বাচনের নিরাপত্তা এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন এইবার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। সব বুথ পর্যায়ের এজেন্টদের দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বুথের কর্মকর্তাদের জন্য ফটো আইডি কার্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ভোটারদের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে নিজের মোবাইল ফোন জমা রাখতে হবে।
এইবার বিহারে মোট ভোটারের সংখ্যা ৭.৪৩ কোটি। মোট বুথ সংখ্যা ৯০,৭১২। নির্বাচনের সময় কোন ধরনের অশান্তি রুখতে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। সমস্ত নির্বাচনী অ্যাপকে এক ছাতার নিচে নিয়ে আসা হয়েছে এবং নতুন অ্যাপের নাম রাখা হয়েছে ‘ECI Net’। যেকোনো সমস্যা হলে ভোটাররা সরাসরি ১৯৫০ নম্বরে কল করতে পারবেন।
বিহারে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে ৩০ সেপ্টেম্বর। এই তালিকা থেকে অন্তত ৬৫ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। যদিও কমিশনার জানিয়েছেন, যাঁদের নাম বাদ পড়েছে তারা যোগ্য ভোটার হলে মনোনয়নের সময়সীমার ১০ দিন আগে ফর্ম ৬ বা ফর্ম ৭ পূরণ করে জমা দিতে পারবেন।
নির্বাচনের প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ ও নিরাপদ করার জন্য কমিশন সব ধরনের তদারকি ও নজরদারি কৌশল গ্রহণ করেছে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্র পর্যবেক্ষক ও আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হবে। এছাড়া নির্বাচনের সময় বিশেষ মনিটরিং সিস্টেম এবং মোবাইল নজরদারি ব্যবহার করা হবে। কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, ভোটারদের নিরাপত্তা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং কোন ধরনের রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়াতে দেওয়া হবে না।
📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন
📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।
👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে
No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন