নাগরাকাটায় হামলার পর ত্রিপুরায় তৃণমূল দফতরে আক্রমণ, তদন্তে যাচ্ছেন ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল

নাগরাকাটায় হামলার পর ত্রিপুরায় তৃণমূল দফতরে আক্রমণ, তদন্তে যাচ্ছেন ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল
Y বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরবঙ্গের দুর্যোগের পর থেকেই রাজনৈতিক অস্থিরতা চরমে। বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে চলতে থাকা বাকবিতণ্ডা নাগরাকাটায় গিয়ে রূপ নেয় সহিংসতায়। সেখানে গিয়ে আক্রান্ত হন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। অভিযোগ, এই হামলার পেছনে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই রয়েছে।
যখন এই ঘটনায় গোটা বঙ্গ রাজনীতি তোলপাড়, ঠিক তখনই নতুন অভিযোগ উঠেছে ত্রিপুরা থেকে। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের সদর দফতরে হামলা চালিয়েছে বিজেপি কর্মীরা—এমনই দাবি তৃণমূলের। ঘটনায় তৎপর হয়েছে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব।
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আগরতলায় যাচ্ছেন ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল—কুণাল ঘোষ, প্রতিমা মণ্ডল, সায়নী ঘোষ, বীরবাহা হাঁসদা, সুস্মিতা দেব ও সুদীপ রাহা।
কুণাল ঘোষের বক্তব্য
যাত্রার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “আমরা আগরতলা যাচ্ছি। নাগরাকাটার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী নিন্দা জানিয়েছেন। তৃণমূলের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু বিজেপিকে ভাবতে হবে, কেন মানুষ ক্ষেপে উঠছে! ১০০ দিনের টাকা, আবাস যোজনার টাকা—কিছুই দেয়নি। জনপ্রতিনিধিরা এলাকায় যাননি, শুধু ফটোশ্যুট করতে গেছেন। এবার তার ফল পাচ্ছেন।”
তিনি আরও বলেন, “ত্রিপুরায় অতীতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলা হয়েছিল, সায়নী ঘোষের ওপর থানায় হামলা হয়েছিল। এখন আবার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা যাচ্ছি মানুষের সঙ্গে কথা বলতে, তবে ভয়ও পাচ্ছি—ত্রিপুরাকে সন্ত্রাসের রাজ্যে পরিণত করেছে বিজেপি।”
সায়নী ঘোষের প্রতিক্রিয়া
অভিনেত্রী তথা তৃণমূল যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ বলেন, “ত্রিপুরায় এর আগেও আমাদের দলের ওপর হামলা হয়েছে। এখন আবার হুমকি চলছে। তবুও আমরা যাচ্ছি, কারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে সত্যি চাপা রাখা যায় না।”
দুর্যোগ থেকে রাজনীতির সংঘাতে
উত্তরবঙ্গে টানা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। নদী উপচে পড়ে গ্রাম গঞ্জ ভাসিয়ে দেয়। ২৪ জনের মৃত্যু হয়, অসংখ্য পরিবার গৃহহারা হয়। এমন পরিস্থিতিতে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ নাগরাকাটায় ত্রাণ বিতরণে যান। অভিযোগ, সেই সময় একদল দুষ্কৃতী তাদের উপর হামলা চালায়।
ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা যায়, জনতার ভিড় ঠেলে পালাচ্ছেন শঙ্কর ঘোষ, আর রক্তাক্ত অবস্থায় গাড়ির মধ্যে বসে আছেন সাংসদ খগেন মুর্মু। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএম একযোগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ঘটনার নিন্দা করেন।
মমতা বনাম মোদী টুইটযুদ্ধ
এই হামলার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে লেখেন—“মানবিকতার সময় রাজনীতি নয়।” মঙ্গলবার তিনি নিজে হাসপাতালে গিয়ে খগেন মুর্মুর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। তবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন তোলেন, “এটা কি সমবেদনা না রাজনৈতিক নাটক?”
ত্রিপুরায় নতুন বিতর্ক
বাংলায় বিজেপি নেতাদের উপর হামলার প্রতিবাদে ত্রিপুরায় উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূল দফতরে হামলার অভিযোগে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয় তৃণমূল নেতৃত্ব। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ও তথ্য সংগ্রহে আজই আগরতলায় যাচ্ছেন দলের প্রতিনিধি দল।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, “উত্তরবঙ্গের দুর্যোগ পরবর্তী রাজনীতি এখন সীমান্ত পেরিয়ে ত্রিপুরাতেও ছড়িয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতি সামলানো উভয় রাজ্যের প্রশাসনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।”
📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন
📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।
👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে
No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন