👉 উত্তরবঙ্গের বিপর্যয়কে ঢাকতে রাজনৈতিক আক্রমণ, অভিযোগ সিপিএম ও কংগ্রেসের। বিজেপির কটাক্ষ— “নিজের ঘর সামলাতে পারেন না, দেশকে পরামর্শ দিচ্ছেন!”
কলকাতা, ৮ অক্টোবর: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা—"অমিত শাহতেই সাবধান"

বুধবার দুপুরে উত্তরবঙ্গ পরিদর্শনের পরে ফেরার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে সতর্ক করে বলেন, "আমি দুঃখিত, এই কথা বলতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীকে বলব, অমিত শাহতেই সাবধান থাকুন। সব বিষয়ে ওঁকে ভরসা করবেন না। উনিই সবচেয়ে বড় মীরজাফর।" এই মন্তব্যের পর সঠিক রাজনৈতিক শহরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। 0
“এই মন্তব্য শুধু ব্যক্তি-সম্বোধন নয়—এটি রাজনৈতিক হুঁশিয়ারি, যা কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক এবং পার্টি-রাজনীতিতে নতুন উত্তাপ সৃষ্টি করেছে,”—রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মূল্যায়ন।
মমতার এই অবস্থান প্রকাশের পর সিপিএম, কংগ্রেস ও অন্যান্য রাজনৈতিক খামগুলোর তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। সিপিএম নেতা রবীন দেব সরাসরি প্রশ্ন তোলে যে, “উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ বিপর্যয়কে আড়াল করতেই মমতা এই ধরণের কেন্দ্র-নির্ভর বক্তব্য দিচ্ছেন।” তিনি অভিযোগ করেন—রাজ্যের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বহীনতা রয়েছে এবং টার্গেট ইস্যু থেকে নজর ঘোরানোর উদ্দেশ্য রয়েছে। (রবীন দেবের উদ্ধৃতি—প্রদত্ত বক্তব্য অনুসারে)।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারও তৃণমূল এবং বিজেপিকে সমধিক সমালোচনার শিকার করেন; তিনি বলেন যে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ও দুর্যোগ মোকাবেলায় সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গির অভাব রয়েছে এবং “বাইনারি পলিটিক্স” তৈরি করে সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলো আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। শুভঙ্কর সরকারের দাবি—জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা এবং দ্রুত আর্থিক—মানবিক সহায়তা চালুর দাবি উঠছে। (উল্লেখ্য: এই বক্তব্যগুলি প্রতিবেদকের কাছে প্রাপ্ত সরকারী ও রাজনৈতিক সূত্র অনুযায়ী উপস্থাপিত)।
প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে, বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, মমতা যে কাউকে বিশ্বাস করেন বা না করেন—সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার; কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কে এমন বক্তব্য “অপমানজনক” এবং “ছোট মনের পরিচয়” বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, মমতার ওপর জাতীয় স্তরে আস্থা নেই—এমন আক্রমণাত্মক রাজনৈতিক ব্যাখ্যাও উঠে এসেছে। 1
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মমতার এই মন্তব্য কোনো একক ঘটনা নয়—এটি দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্র ও রাজ্য পর্যায়ের রাজনৈতিক টানাপোড়েনের আরেকটি প্রকাশ। গত কয়েক দফায় কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারণ ও স্থানীয় বাস্তবতার মধ্যে বিরোধ ও আর্থিক—প্রশাসনিক সম্পৃক্ততা নিয়েই এই উত্তেজনা গোনা যায়। অপরদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর দলে অনেকে মনে করেন, এমন বক্তব্য শক্তভাবে কেন্দ্রে তৎপরতা ও নজর আকর্ষণ করতে সক্ষম।
নাগরিক-সমাজ ও গণমাধ্যমেও এই মন্তব্যকে বড় আকারে বিবেচনা করা হচ্ছে। অনেকে জানিয়েছেন, দুর্যোগ-প্রশাসন ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ নিয়ে রাজনৈতিক বিবাদ সাধারণ মানুষের সমস্যা থেকে নজর সরিয়ে দেয়—এমনটাই তাদের সমালোচনা। অন্যদিকে কিছু সমর্থক এই মন্তব্যকে ন্যায়-প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন—তাদের মতে, কেন্দ্রে ঘনিষ্ঠ শক্তিগুলোর অপ্রাসঙ্গিক কর্তৃত্ব সম্পর্কে থাকা উচিত সতর্কতা।
যা স্পষ্ট—এই পরস্পর-অভিযোগ রাজনীতিকে আরও তীব্রতর করেছে। রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে সমঝোতা ও স্বচ্ছ সমন্বয় না হলে বাস্তব দুর্যোগ মোকাবেলার কাজ কষ্টকর হবে—বিশ্লেষকরা এমনই সতর্ক করছেন। দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ, সর্বদলীয় সমন্বয় ও সত্যিকার ভূমিকা নিয়েই উত্তরবঙ্গের দুর্যোগ থেকে পুনরুদ্ধারের পথ খুঁজে নিতে হবে, তা তাদের মত।
আগামী দিনগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলোর উত্তর প্রতিক্রিয়া ও কেন্দ্র-রাজ্য মধ্যকার কথাবার্তা কিভাবে গঠিত হয়—সে দিকে দেশজুড়ে নজর থাকবে। মিডিয়া রিপোর্ট ও দলীয় বিবৃতি অনুসারে পরিস্থিতির পুরোদমে প্রতিফলন ও সংশ্লিষ্ট পদক্ষেপ পর্যবেক্ষণ করা হবে। 3
📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন
📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।
👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে
No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন