পশ্চিমবঙ্গে ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে SIR (Special Intensive Revision) — পুরো নির্দেশনা

আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৫ · সংবাদ: নির্বাচন কমিশন প্রেস কনফারেন্স ও অফিসিয়াল সার্কুলার অনুসারে
Election Commission - SIR
ছবি: নির্বাচন কমিশন/প্রতীকী — SIR (Special Intensive Revision) কার্যক্রমের আভাস।
সংক্ষেপে — কী হচ্ছে?

নির্বাচন কমিশন দ্বিতীয় দফায় মোট ১২টি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে Special Intensive Revision (SIR) শুরু করেছে। পশ্চিমবঙ্গ এই দ্বিতীয় দফায় রয়েছে। লক্ষ্য: ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণ, অপ্রযোজ্য/ডুপ্লিকেট এন্ট্রি সরানো, নতুন যোগ করবেন যোগ্য ভোটারদের তালিকায় আনয়ন।

কোন কোন রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এই দফায় আচ্ছাদিত?

এই দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন কমিশন যে ১২টি স্থান উল্লেখ করেছে তা হলো — আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপপুঞ্জ, ছত্তিসগড়, গোয়া, গুজরাত, কেরালা, লাক্ষাদ্বীপ, মধ্যপ্রদেশ, পুদুচেরি, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ।

সময়সূচি — কোন প্রক্রিয়া কখন হবে?

  • প্রিন্টিং/প্রশিক্ষণ: ২৮ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর। (BLO ও অন্যান্য স্টাফদের প্রশিক্ষণসহ ফর্ম প্রিন্টিং হবে)
  • হাউস টু হাউস এনুমেরেশন (BLO-এর মাঠপর্ব): ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
  • খসড়া তালিকা প্রকাশ: ৯ ডিসেম্বর।
  • দাবি-অভিযোগ সময়সীমা: ৯ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি, ২০২৬ পর্যন্ত।
  • অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে (scrutiny): চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
  • চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ: ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬।

উপরের সময়সূচি ও ধাপগুলি নির্বাচন কমিশনের প্রেস কনফারেন্স ও অফিসিয়াল নির্দেশিকার ভিত্তিতে ঘোষণা করা হয়েছে।

ভোটারদের করণীয় — কীভাবে সহযোগিতা করবেন?

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে যে প্রতিটি ভোটারের বাড়িতে BLO তিনবার করে যাবে এবং তাঁদের হাতে এনুমেরেশন ফর্ম তুলে দেবে। নতুন যোগ হওয়া ভোটারদের ফর্মপূরণে সাহায্য করবেন ERO/AERO। যারা বয়স্ক, অসুস্থ, অশিক্ষিত বা প্রতিবন্ধী — তাদের জন্য বাড়ি বসেই বিশেষ সহায়তা নিশ্চিত করা হবে।

কে ভোটার হবে — যোগ্যতার শর্তাবলী?

  • ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।
  • ভোটার হওয়ার সময় বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে।
  • নির্দিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় বসবাস করতে হবে (স্থায়ী/অস্থায়ী রেসিডেন্স প্রমাণ দরকার হতে পারে)।

SIR-এর জন্য কোন নথি লাগবে?

নির্বাচন কমিশন কয়েকটি নির্দিষ্ট নথি স্বীকৃত করেছে। প্রধান নথিগুলো —

  • ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে ব্যাংক/পোস্ট অফিস/LIC/স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া যে কোনও নথি (যদি প্রযোজ্য)।
  • পাসপোর্ট (বৈধ) ।
  • মাধ্যমিক বা তার উচ্চতর শিক্ষাগত শংসাপত্র।
  • কেন্দ্র/রাজ্য সরকারের কর্মচারী বা পেনশনপ্রাপ্তদের পরিচয়পত্র।
  • ফরেস্ট রাইট সার্টিফিকেট (যদি প্রযোজ্য)।
  • জাতিগত শংসাপত্র (Caste certificate) — যেখানে প্রয়োজন।
  • স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া পারিবারিক রেজিস্ট্রার।
  • রাজ্য সরকারের দেওয়া বাসস্থানের শংসাপত্র।
  • জমি বা বাড়ির দলিল।

নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছে — শুধুমাত্র অনুমোদিত ডকুমেন্টগুলি গ্রহণ করা হবে; রাজ্য-স্তরের অনন্য নথি ব্যবহার বিষয়ে EC-এর সীমাবদ্ধতা আছে।

BLO, ERO ও স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্ব

BLO-রা মাঠের প্রধান ঠিকাদার — তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম দেবে, তথ্য নেবে ও সাহায্য করবে। ERO/AERO নতুন ভোটারদের ফর্ম পূরণে সহায়তা করবেন এবং প্রয়োজনীয় যাচাইপত্র সংগ্রহ করবেন। কমিশন দাবি করেছে যে এই দফায় পরিপাটি ও শান্তিপূর্ণভাবে কাজ হবে এবং প্রয়োজনের ক্ষেত্রে নতুন পোলিং স্টেশনও খোলা হবে।

নোট: যদি ভোটার নিজের নাম না পায় বা ডুপ্লিকেট সমস্যা হয়, খসড়া তালিকা প্রকাশের পর নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে (দাবি-অভিযোগ পর্বে) অভিযোগ জানানো যাবে এবং কমিশন তা পর্যালোচনা করবে।

রিপোর্ট: Y বাংলা ডিজিটাল ব্যুরো · তথ্যসূত্র: নির্বাচন কমিশন প্রেস কনফারেন্স ও জাতীয় সংবাদ সম্মেলন রিপোর্ট। বিস্তারিত তথ্য ও অফিসিয়াল নোটিফিকেশন দেখতে নির্বাচন কমিশনের স্থানীয় অফিস/ওয়েবসাইট দেখুন।