সিপিএমের মাল্টিট্যালেন্ট নেতৃত্বের দাবি ও সাংগঠনিক চ্যালেঞ্জ
বঙ্গ সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব মনে করছে, শুধুমাত্র হাতে সিগারেট ধরিয়ে মার্কসবাদ-লেনিনবাদ বোঝানো বা বক্তৃতার মধ্যেই নেতাদের সীমাবদ্ধ থাকলে সংগঠন শক্তিশালী করা সম্ভব নয়। তাই দলের প্রধান লক্ষ্য এখন ‘মাল্টিট্যালেন্ট’ নেতৃত্ব গড়ে তোলা। দলীয় সূত্রে জানা যায়, এমন নেতৃত্বের অন্তর্ভুক্ত হতে হবে যিনি বক্তৃতায় পারদর্শী, সংগঠন চালানোর দক্ষ, সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় এবং কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে গ্রহণযোগ্য।
রাজ্যের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমানে সিপিএমের মধ্যে অনেক নেতা এক বা দুই ক্ষেত্রে পারদর্শী হলেও সবদিক থেকে দক্ষতা নেই। কেউ ভালো বক্তা, কিন্তু দলের কার্যক্রম পরিচালনায় দুর্বল। আবার কেউ দক্ষ সংগঠক হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপস্থিতি কম। এ ধরনের সীমাবদ্ধতার কারণে দল সামগ্রিকভাবে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে।
সিপিএমের অভ্যন্তরীণ চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রতিটি নেতা এবং সদস্যকে বহু দিক থেকে দক্ষ হতে হবে। ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পার্টি চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, দলের প্রতিটি স্তরে নেতা উদাহরণ স্থাপন করবেন এবং একসঙ্গে বহু কাজ করার যোগ্যতা অর্জন করবেন।
"সর্বস্তরের নেতৃত্বকেই নেতৃত্ব দানের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। পার্টির সদস্যদের মধ্যে বহু কাজ একসঙ্গে করার যোগ্যতা এবং মানোন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে।"
তবে শুধু নেতৃত্ব গড়ে তোলা নয়, পার্টির শাখা সংগঠনও এখন চ্যালেঞ্জের মুখে। শক্তিশালী শাখা এখন আর নেই। শাখার সদস্যরা থাকলেও বড় কোনও কর্মসূচিতে দেখা যায় না। দক্ষ শাখা সম্পাদকও নেই বলেই স্বীকার করেছে পার্টি। এই ঘাটতি পূরণ করাই এখন প্রধান লক্ষ্য।
আলিমুদ্দিনে জেলাভিত্তিক সাংগঠনিক রিপোর্ট আসছে, যেখানে চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাব্য নেতাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তবে পার্টির অভ্যন্তরে কিছু নেতার আচরণ নিয়ে সমস্যা রয়েছে। সুশান্ত ঘোষ ও বংশগোপাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে মহিলা সম্পর্কিত অভিযোগ জমা পড়েছে। এছাড়া এসএফআইয়ের রাজ্য কমিটির এক সদস্যের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগও এসেছে। সব এই বিষয় পার্টি মনিটর করছে এবং ব্যবস্থা নিচ্ছে।
রাজ্য সিপিএম এই সময়ে দলের সার্বিক মানোন্নয়নে মনোযোগী হচ্ছে। ছাব্বিশের ভোটের আগে পার্টি চায়, নেতৃত্ব এবং সাধারণ সদস্যরা একসঙ্গে বহু দক্ষতা অর্জন করবে এবং নির্বাচনের সময় পার্টিকে শক্তিশালীভাবে উপস্থাপন করতে পারবে।
পুনরায় পার্টির চিঠিতে বলা হয়েছে, ৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও শাখা ও সদস্যদের দক্ষতায় ঘাটতি আছে। তাই রাজ্য নেতৃত্ব কার্যত স্বীকার করছে, সমন্বিত এবং বহু দিকের দক্ষ নেতৃত্ব ছাড়া পার্টি শক্তিশালী হবে না। প্রতিটি নেতা এবং শাখার কর্মীদের সার্বিক মানোন্নয়নই এখন মূল লক্ষ্য।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই উদ্যোগ শুধুমাত্র নির্বাচনী প্রস্তুতি নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদে পার্টির পুনর্গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ। মাল্টিট্যালেন্ট নেতৃত্ব গড়ে তুলতে পারলে, সিপিএমের রাজনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধি পাবে এবং সমর্থকরা পার্টির সাথে আরও নিবদ্ধভাবে সংযুক্ত থাকবেন।
#সিপিএম #মাল্টিট্যালেন্টনেতৃত্ব #শাখাসংগঠন #রাজ্যরাজনীতি #পার্টিমানেজমেন্ট
📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন
📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।
👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে
No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন