তিন লিঙ্কম্যান গ্রেফতার, বিপুল চিকিৎসা সামগ্রী জব্দ
অরুণাচলপ্রদেশে নামপং অভিযানে তিন লিঙ্কম্যান গ্রেফতার, বিপুল চিকিৎসা সামগ্রী জব্দ
অরুণাচলপ্রদেশের চাংলাং জেলার নামপং এলাকায় শুক্রবার (২৫ অক্টোবর ২০২৫) সকাল থেকে বিশেষ আভিযান চালিয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এক মহিলা-সহ আলফা স্বাধীনের তিন লিঙ্কম্যানকে গ্রেফতার করেছে। সরকারি সূত্র এবং গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারের সময় বিপুল পরিমাণ চিকিৎসা সামগ্রী ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
গোয়েন্দা তথ্যে দাবি করা হয়েছে যে আলফা স্বাধীনের ‘স্বঘোষিত মেজর জেনারেল’ অরুণোদয় দহোতিয়া অসমের তিনসুকিয়া অঞ্চলের এক ব্যক্তির মাধ্যমে নামপং-সহ অরুণাচলের আলফা শিবিরে নিয়মিতভাবে ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানোর নির্দেশ দিত। ওই সূত্র ধরেই গত কয়েক দিনে নজরদারি বাড়ানো হয় এবং শেষমেষ নামপং এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে জব্দ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে — প্রাথমিকভাবে বলা হচ্ছে বড় সংখ্যক ওষুধের প্যাকেট, ব্যান্ডেজ ও বেসিক সার্জিকাল সরঞ্জাম, ইনট্রাভেনাস কিট, অ্যান্টিসেপটিক পণ্য এবং কমিউনিকেশনের জন্য ব্যবহৃত কিছু ডিভাইস। নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে এগুলো সংগঠিতভাবে শিবিরে পাঠানোর জন্য ব্যবহার হত।
গ্রেফতারদের পরিচয় ও অভিযোগ
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার অভিযুক্ত জিতু, জুলি ও দীপক। গোয়েন্দা সূত্র বলছে, তারা আলফা নেটওয়ার্কের স্থানীয় লিঙ্কম্যান হিসেবে কাজ করত—কখন কোথায় সরবরাহ পৌঁছবে, কোন পথে পাঠানো হবে ইত্যাদি সমন্বয় করত। এছাড়া পাচারের সঙ্গে সাহায্যকারী হিসেবে মায়ানমারের একজনকে গ্রেফতার করেছে বাহিনী; তাঁর নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি এবং যাচাই করা হচ্ছে।
আটক হওয়া মেয়ে এবং তাঁর ভূমিকা
অভিযানে একজন মহিলাকেও আটক করা হয়েছে; প্রাথমিক বিবরণ অনুযায়ী তিনি পার্শ্ববর্তী এলাকায় যোগাযোগে সহায়তা করত এবং সাময়িকভাবে সামগ্রীর সংরক্ষণে জড়িত ছিলেন। তদন্তকারীরা তার কাসিন ও মোবাইল ডেটা বিশ্লেষণ করে আরও তথ্য বের করার চেষ্টা করছেন।
গোয়েন্দা সূত্র ও আলফা স্বাধীন নেটওয়ার্ক
গোয়েন্দা সূত্রের উদ্ধৃতিতে বলা হয়েছে, স্বঘোষিত মেজর জেনারেল অরুণোদয় দহোতিয়ার নির্দেশে তিনসুকিয়ার এক ব্যক্তি মাঝে মধ্যেই মেডিক্যাল ও সরবরাহ-সম্পর্কিত জিনিসপত্র পাঠিয়ে থাকত অরুণাচলের আলফা শিবিরে। নিরাপত্তা বাহিনী গবেষণা করছে ওই তিনসুকিয়া-নামপং কনেকশনের উৎস, রুট ও আর্থিক লেনদেনের সিলসিলা।
উদ্ধার তালিকা — প্রাথমিক (বিবরণী)
- বৃহৎ পরিমাণ প্যাকেট বাধ্যতামূলক ওষুধ (অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যথানাশক ইত্যাদি) — প্রাথমিক গণনা চলছে।
- বেসিক সার্জিক্যাল কিট ও ব্যান্ডেজ
- ইনট্রাভেনাস ও ড্রিপ কিট
- কমিউনিকেশন ডিভাইস (মোবাইল, সিম, কিছু রেডিও/ট্রান্সসিভার)
- লজিস্টিক সরঞ্জাম (ব্যাগ, প্যাকিং উপকরণ ইত্যাদি)
নিরাপত্তা বাহিনী জানায়, উদ্ধারের পর সামগ্রী পরিচ্ছন্নভাবে গোনা ও তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আরও ফরেনসিক পরীক্ষা করা হবে যাতে জড়িত নেটওয়ার্ক ও সরবরাহ চেইন চিহ্নিত করা যায়।
কোন ধারা প্রযোজ্য হতে পারে
পুলিশের প্রথমিক বক্তব্য অনুযায়ী গ্রেফতারের বিরুদ্ধে অস্ত্র-নিষিদ্ধ সংগঠনের শরিক হওয়ার অভিযোগ এবং পাচার/অবৈধ সরবরাহ সংক্রান্ত ধারায় মামলা হতে পারে; তবে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (প্রথম তথ্য প্রকাশ) এখনও সরকারি নোটিসে জারি করা হয়নি।
- গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও মোবাইল/ডিভাইস বিশ্লেষণ।
- উদ্ধারকৃত সামগ্রীর ফরেনসিক/ল্যাব টেস্ট।
- সীমান্ত-আধারিত যোগাযোগ রূট চিহ্নিত করে টেইক-ডাউন অপারেশন পরিকল্পনা।
- সম্ভাব্য সিন্ডিকেট সদস্যদের বিরুদ্ধে চেইন-রুট অনুসরণ করে মামলা দায়ের।
সূত্র: স্থানীয় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর পত্রিকাগত বিবরণ ও গোয়েন্দা সূত্র (প্রাথমিক)। অনুলিপি/বিবরণীতে জনিত যে কোনও তথ্য অফিসিয়াল বিবৃতি দ্বারা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।



No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন