জইশ-ই-মহম্মদের নতুন চাল: মহিলা জঙ্গি বাহিনী ‘জামাত-উল-মোমিনত’ গঠনের ঘোষণা

জইশ-ই-মহম্মদের নতুন চাল: মহিলা জঙ্গি বাহিনী ‘জামাত-উল-মোমিনত’ গঠনের ঘোষণা

জইশ-ই-মহম্মদের নতুন চাল: মহিলা জঙ্গি বাহিনী ‘জামাত-উল-মোমিনত’ গঠনের ঘোষণা

জামাত-উল-মোমিনত মহিলা জঙ্গি বাহিনী
পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে শুরু হয়েছে জইশ-ই-মহম্মদের মহিলা জঙ্গি বাহিনীর নিয়োগ প্রক্রিয়া। নেতৃত্বে মাসুদ আজহারের বোন সাদিয়া আজহার।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, Y বাংলা ডিজিটাল ব্যুরো: দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন করে সন্ত্রাসের হাওয়া বইছে। কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ এবার এক অভূতপূর্ব পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা গঠন করেছে একটি বিশেষ মহিলা জঙ্গি বাহিনী, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘জামাত-উল-মোমিনত’। এই নতুন উইংয়ের নেতৃত্বে রয়েছেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহারের বোন সাদিয়া আজহার

পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে এই বাহিনীর সদস্য সংগ্রহ ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। সংগঠনের প্রোপাগান্ডা প্ল্যাটফর্ম আল-কালাম মিডিয়া জানিয়েছে, ৮ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া। জানা গেছে, মহিলা সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে গুপ্ত হামলা, বিস্ফোরক তৈরি এবং আত্মঘাতী মিশন পরিচালনার জন্য।

সূত্র মারফত খবর, ‘জামাত-উল-মোমিনত’-এর সদস্যদের মধ্যে অনেকেই নিহত জইশ কমান্ডারদের স্ত্রী বা পরিবার থেকে নেওয়া হচ্ছে। বাহাওয়ালপুর, করাচি, মুজফফরাবাদ, কোটলি, হরিপুর এবং মানশেরা অঞ্চলের আর্থিকভাবে দুর্বল মহিলাদেরও টার্গেট করা হচ্ছে। এদের মধ্যে কিছুজনকে “শহীদ পরিবারের উত্তরাধিকারী” হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে, যাতে সমাজে তাদের জনপ্রিয়তা তৈরি হয় এবং নতুন সদস্য সংগ্রহ সহজ হয়।

তথ্যবক্স:
🔸 বাহিনীর নাম: জামাত-উল-মোমিনত
🔸 সংগঠন: জইশ-ই-মহম্মদ
🔸 নেতৃত্বে: সাদিয়া আজহার
🔸 শুরু: ৮ অক্টোবর, বাহাওয়ালপুর
🔸 লক্ষ্য: আত্মঘাতী ও গোপন হামলার কৌশল প্রয়োগ
🔸 প্রচারমাধ্যম: আল-কালাম মিডিয়া

উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এত দিন পর্যন্ত জইশ-ই-মহম্মদ সংগঠনের ভেতরে মহিলাদের কোনও ভূমিকা ছিল না। তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়াও সংগঠনের নীতি অনুযায়ী নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু ২০২৫ সালের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ভারতীয় সেনার অভিযানে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে জইশ। তাদের বহু শীর্ষ কমান্ডার নিহত হয়। এরপরই সংগঠনের নেতৃত্ব নতুন কৌশল গ্রহণ করে, যেখানে মহিলাদেরও জিহাদি প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়।

জঙ্গি মহলের মতে, জইশ-ই-মহম্মদের এই পদক্ষেপ চরম উদ্বেগের কারণ। কারণ, মহিলা জঙ্গিরা সাধারণত সহজে জনতার মধ্যে মিশে যেতে পারে, যা নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষে চিহ্নিত করা কঠিন। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই এই নতুন হুমকির বিষয়ে সতর্ক হয়েছে এবং পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে নজরদারি জোরদার করেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, জইশ-ই-মহম্মদের এই পদক্ষেপ বিশ্বের অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠন যেমন আইএসআইএস, বোকো হারাম, হামাস এবং এলটিটিই-এর পথ অনুসরণ করছে। এই সংগঠনগুলিও অতীতে মহিলা আত্মঘাতী যোদ্ধা তৈরি করেছিল। এখন দক্ষিণ এশিয়ার জঙ্গি রাজনীতিতেও সেই প্রবণতা প্রবল হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এটি শুধু পাকিস্তান নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য একটি নতুন সংকেত। ভারতীয় গোয়েন্দারা বলছেন, “এই নতুন মহিলা জঙ্গি ইউনিট ভবিষ্যতে সীমান্ত অতিক্রম করে বড়সড় হামলা চালানোর সম্ভাবনা তৈরি করছে।”

প্রকাশক: ফারিয়া ইসলাম | সম্পাদনা: Y বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক

📅 সর্বশেষ আপডেট: ৯ অক্টোবর, ২০২৫

© ২০২৫ Y বাংলা ডিজিটাল ব্যুরো | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন

📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।

👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে

No comments:

আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন

Featured post

দুর্গাপুর গণধর্ষণ: সিবিআই তদন্ত দাবি পরিবারের, পুনর্নির্মাণে পুলিশের নজর দুর্গাপুর গণধর...

Search This Blog

Powered by Blogger.