ত্রিপুরার বনমালীপুরে তৃণমূল সদর দফরে হামলা: বিজেপি লুম্পেনরাজের অভিযোগ
ত্রিপুরার বনমালীপুরে তৃণমূল সদর দফরে হামলা: বিজেপি লুম্পেনরাজের অভিযোগ

ডিজিটাল ডেস্ক: ত্রিপুরার বনমালীপুরে মঙ্গলবার তৃণমূলের সদর দফরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রশ্নের মুখে। তৃণমূল অভিযোগ করেছে, হামলার নেপথ্যে বিজেপি নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা রয়েছেন। মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী এই ঘটনা উদ্ভাসিত করেছেন ছবি ও তথ্য দিয়ে। তৃণমূলের মতে, বিজেপি নিজের রাজ্যেই লুম্পেনরাজকে নিজস্বভাবে স্বীকৃতি দিচ্ছে।
ঘটনাটি বনমালীপুরে ঘটে, যা ত্রিপুরার বড় ফ্লপ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের নির্বাচনী কেন্দ্র। শশী পাঁজা জানান, ওই এলাকায় তৃণমূলের সদর দফরে হামলার সময় পুলিশ নীরব দর্শক ছিল। পুলিশ কোনও বাধা দেয়নি, যা ডবল ইঞ্জিন সরকারের স্বৈরাচারী শাসনের প্রমাণ।
তৃণমূলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তীর বক্তব্য: “বিজেপি নিজের লুম্পেনরাজকে নিজেরাই অ্যাটেস্ট করেছে। হামলার ঘটনায় উপস্থিত ছিলেন ভিকি প্রসাদ, বিশালগড় বিধানসভার বিধায়ক সুশান্ত দেব এবং আগরতলা সদর জেলা সভাপতি অসীম ভট্টাচার্য। তারা সরাসরি ভাঙচুরে অংশ নিয়েছেন। এই কার্যকলাপের মাধ্যমে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।”
অরূপ চক্রবর্তী আরও বলেন, “বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্ররোচনা চালাচ্ছে। বাংলার তৃণমূল সরকার এখনও গান্ধীবাদের পথ অনুসরণ করছে, তবে উস্কানির ধারাবাহিকতা থাকলে নেতাজির পথ গ্রহণে সময় লাগবে না। বাংলায় কোনও তৃণমূল কার্যালয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তা প্রতিহত করেন, কিন্তু ত্রিপুরায় তা ঘটে, পুলিশ নিষ্ক্রিয়।”
শশী পাঁজা এবং অরূপ চক্রবর্তী ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করে দেখিয়েছেন, কিভাবে বিজেপি নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা সরাসরি হামলায় যুক্ত। ছবিতে দেখা যায়, ভিকি প্রসাদ, সুশান্ত দেব এবং অসীম ভট্টাচার্য দফরে উপস্থিত থেকে হামলায় প্ররোচনা দিচ্ছেন। এই ঘটনা প্রমাণ করছে, বিজেপি নিজের রাজ্যেই স্ব-সার্টিফায়েড লুম্পেনরাজ প্রতিষ্ঠা করছে।
ত্রিপুরার বনমালীপুরে এই হামলার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে গেছে, ডবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্যে রাজনৈতিক সহিংসতা, আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং প্রশাসনের ব্যর্থতা বিদ্যমান। তৃণমূল নেতা ও মুখপাত্ররা সতর্ক করেছেন, বাংলায় গান্ধীবাদের নীতি অনুসরণ করে হলেও, উস্কানির ধারাবাহিকতা থাকলে তা নেতাজির পথেও রূপান্তরিত হতে পারে।
অরূপ চক্রবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। রাজনৈতিক সহিংসতা এবং প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে রাজ্যের সাধারণ মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। এই ঘটনার পর ত্রিপুরায় আইনশৃঙ্খলা এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর সর্তক দৃষ্টি রাখতে হবে।
📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন
📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।
👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে
No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন