ত্রিপুরায় আটক ৬ বাংলাদেশি, এক শিশুসহ সীমান্ত পারের অভিযোগ
ত্রিপুরায় আটক ৬ বাংলাদেশি, এক শিশুসহ সীমান্ত পারের অভিযোগ
Y বাংলা ডিজিটাল ব্যুরো | আমবাসা (ত্রিপুরা) | আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৫
- ত্রিপুরার আমবাসা রেলস্টেশন থেকে এক শিশু-সহ ৬ বাংলাদেশি নাগরিক আটক।
- অভিযোগ, তাঁরা অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন।
- পুলিশ জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি ছিল তাঁদের চূড়ান্ত গন্তব্য।
গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে ত্রিপুরা পুলিশের এক বিশেষ দল আমবাসা রেলস্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক শিশু-সহ ৬ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে। প্রাথমিক জেরায় জানা গিয়েছে, তাঁরা অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন এবং কাজের সন্ধানেই ত্রিপুরা হয়ে পশ্চিমবঙ্গে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন।
কীভাবে এলেন তাঁরা ভারতে?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের দাবি—তাঁরা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা। দালালচক্রের সাহায্যে তাঁরা টাকার বিনিময়ে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছিলেন। প্রথমে তাঁদের ত্রিপুরার কৈলাসহর হয়ে আগরতলায় পৌঁছনোর কথা ছিল, সেখান থেকে রেলযোগে জলপাইগুড়িতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
কাদের আটক করা হয়েছে?
ধৃতদের মধ্যে পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্ক এবং একজন শিশু রয়েছে। প্রাপ্তবয়স্কদের বয়স ২০ থেকে ৩৮ বছরের মধ্যে। পুলিশের সন্দেহ, এই দলটি বৃহত্তর মানব পাচার বা অবৈধ শ্রমিক সরবরাহ চক্রের অংশ হতে পারে।
পুলিশ কী বলছে?
আমবাসা থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন — “গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে আমরা স্টেশনে তল্লাশি চালাই। ছয়জনকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। জেরায় তাঁরা স্বীকার করেন যে, সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন।”
তিনি আরও জানান, “ধৃতদের বিরুদ্ধে বিদেশি নাগরিক আইন (Foreigners Act)-এর অধীনে মামলা রুজু করা হয়েছে। পাশাপাশি, তাঁদের ভারতে প্রবেশে জড়িত দালালদের খোঁজে তদন্ত শুরু হয়েছে।”
দালালচক্রের সন্ধানে পুলিশ
তদন্তে উঠে এসেছে, বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পার করিয়ে দেওয়ার জন্য প্রতি জনের কাছ থেকে কয়েক হাজার টাকা নেওয়া হয়েছিল। দালালচক্রটি সম্ভবত আগরতলা ও ধলাই জেলাজুড়ে সক্রিয়। রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থাও তদন্তে নেমেছে। পুলিশের ধারণা, এই চক্রের মাধ্যমে আরও অনেক বাংলাদেশি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করছে।
চূড়ান্ত গন্তব্য জলপাইগুড়ি
জেরায় ধৃতরা জানিয়েছেন, তাঁদের গন্তব্য ছিল পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলা। সেখানেই তাঁরা দিনমজুরির কাজ পেতেন বলে দালালচক্র তাঁদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। পুলিশের সন্দেহ, পশ্চিমবঙ্গের শ্রমবাজারে অবৈধভাবে কাজ করা বিদেশি নাগরিকদের এক অংশ এই চক্রের মাধ্যমেই প্রবেশ করছে।
আইনগত প্রক্রিয়া শুরু
ধৃতদের আপাতত আমবাসা থানায় রাখা হয়েছে। স্থানীয় আদালতে পেশ করার পর তাঁদের বিদেশি নাগরিক আইন অনুযায়ী ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হতে পারে। পাশাপাশি, সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী (BSF)-এর সঙ্গেও তথ্য ভাগ করা হচ্ছে যাতে সীমান্তে নজরদারি আরও জোরদার করা যায়।
📍 স্থান: আমবাসা রেলস্টেশন, ত্রিপুরা
👥 আটক: ৬ বাংলাদেশি (এক শিশু-সহ)
🚫 অভিযোগ: অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ
🎯 গন্তব্য: পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি
👮 তদন্তকারী সংস্থা: ত্রিপুরা পুলিশ
স্থানীয় প্রতিক্রিয়া
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানিয়েছেন, সম্প্রতি রেলস্টেশন এলাকায় বিদেশি নাগরিকদের চলাফেরা নিয়ে সন্দেহজনক ঘটনা বেড়েছে। তাঁরা প্রশাসনের কাছ থেকে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।
উপসংহার
ত্রিপুরা-বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর অবৈধ অনুপ্রবেশ দীর্ঘদিনের সমস্যা। প্রশাসনের দাবি, সীমান্তে প্রযুক্তিগত নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তবুও দালালচক্রের সক্রিয়তা রুখতে আরও কঠোর পদক্ষেপের প্রয়োজন বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
#TripuraNews #Ambassa #BangladeshiDetained #IllegalEntry #TripuraPolice #BorderSecurity #BSF #বাংলাখবর #ত্রিপুরাখবর #বাংলাদেশসীমান্ত #YBanglaDigital #BanglaNews #IndiaBangladeshBorder #Jalpaiguri #IllegalMigration #HumanTrafficking #SecurityAlert #AmbassaStation #NewsUpdate #BreakingNews



No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন