পঞ্চায়েতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব: বৈকুন্ঠপুর-১ উপপ্রধান সহ ৬ জনকে তিন বছরের জন্য সাসপেন্ড
পূর্ব বর্ধমানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব: বৈকুন্ঠপুর-১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধানসহ ৬ জনকে তিন বছরের জন্য সাসপেন্ড
পূর্ব বর্ধমানের বৈকুন্ঠপুর-১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জয়দেব বন্দ্যোপাধ্যায়সহ ছয় জন তৃণমূল নেতাকে দলবিরোধী কার্যকলাপ ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তিন বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বর্ধমান-২ ব্লক তৃণমূল।
ব্লক সভাপতি পরমেশ্বর কোঙার জানিয়েছেন যে—জয়দেব বন্দ্যোপাধ্যায়, লবকুমার দাস, সব্যসাচী চৌধুরী, তুষার সামন্ত, অম্বিকা দাস ও জরু আলমকে ব্লক কমিটির সিদ্ধান্তে তিন বছরের মত সাসপেন্ড করা হয়েছে এবং বিষয়টি জেলা সভাপতিকে জানানো হয়েছে। ব্লক সভাপতির অভিযোগ, ওই নেতারা দল ও প্রশাসনকে টার্গেট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুল ও মিথ্যা প্রচার চালিয়েছেন এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙেছেন। 0

- উপপ্রধানসহ ছয় নেতা তিন বছরের জন্য সাসপেন্ড। 1
- ব্লক সভাপতির অভিযোগে শৃঙ্খলা ভঙ্গ, মিথ্যা প্রচার ও দুর্নীতির ইঙ্গিত। 2
- সাসপেন্ড প্রতিপক্ষের অভিযোগ অনুযায়ী 'বর্ধমান-২ ব্লকের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রকাশ' হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে সাসপেন্ড করা উপপ্রধান জয়দেব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ব্লক সভাপতি তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুললে প্রমাণ দেখান; শুধু মুখে অভিযোগ করে কাউকে সাসপেন্ড করা ঠিক নয়। তিনি আরও প্রশ্ন তুলেছেন—তিনি জেলা কমিটির সদস্য; তাহলে ব্লক সভাপতি কীভাবে জেলা কমিটির সদস্যকে সাসপেন্ডের নির্দেশ দিতে পারেন? জয়দেব অভিযোগ করেছে যে দলবিরোধী কাজের প্রমাণ ছাড়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে শোকজ করা উচিত ছিল।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, রাজ্য নির্বাচন (২০২৬)কে সামনে রেখে ব্লক ও পঞ্চায়েতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তীব্র হতে পারে এবং এখান থেকে জেলা রাজনীতিতে তার প্রভাব পড়বে। বহুক্ষেত্রে স্থানীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা, ক্ষমতার দৌরাত্ম্য ও উন্নয়ন সংক্রান্ত বিচ্ছিন্নতা এই ধরনের বিস্ফোরক পরিস্থিতির সূত্রপাত করে। এই ঘটনা সেই প্রেক্ষাপটেই পড়েছে বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা দেখছেন।
স্থানীয় মহলে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে—কোন পন্থা অবলম্বন করে বিরোধ মিটবে, কোন পন্থায় দল শৃঙ্খলা বজায় রাখবে ও অভিযোগের যথোপযুক্ত তদন্ত কবে করা হবে—এসব প্রশ্ন উঠে এসেছে। জেলার নেতারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং জেলা স্তরে বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে ব্লক সভাপতি জানান। সূত্রে জানা যায়, জেলা কমিটির পর্যবেক্ষণে এই বিষয়টি পুনর্বিবেচনার সম্ভাবনাও রয়েছে।
কেন্দ্রীয় বার্তা: রাজনৈতিক ও организаționalভাবে অভ্যন্তরীণ বিরোধ দুর্বলতার ইঙ্গিত করে এবং তা দ্রুত মোকাবিলা না করলে নির্বাচন-প্রসঙ্গে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে — এই সতর্কবার্তা অনেকেই দিচ্ছেন। তৃণমূলের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের মন্তব্য এ এবং জেলা নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের পর পরবর্তী পদক্ষেপ জানা যাবে।
📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন
📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।
👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে
No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন