পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য নয়া প্রকল্প ‘শ্রমশ্রী’, মাসে ৫,০০০ টাকা সহায়তা
ভিন্রাজ্যে বাংলাভাষী শ্রমিকদের উপর আক্রমণের আবহে নতুন প্রকল্প ঘোষণা করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। পোশাকি নাম ‘শ্রমশ্রী’। এই প্রকল্পে বলা হয়েছে, বাইরে থেকে পরিযায়ী শ্রমিকেরা রাজ্যে ফিরলে তাঁদের এককালীন মাসে ৫,০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। নতুন কাজ না-পাওয়া পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১২ মাস পর্যন্ত এই ভাতা মিলবে। অনেকেই একে রাজ্যের ‘নতুন বেকার ভাতা’ বলছেন।
রাজ্যে ইতিমধ্যেই ‘যুবশ্রী’ নামে একটি প্রকল্প চালু রয়েছে, যেখানে বেকারদের মাসে ১,৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়। তবে ‘শ্রমশ্রী’ আলাদা। রাজ্য সরকারের প্রকাশিত গেজেট বিজ্ঞপ্তিতেও ‘জবলেস’ এবং ‘আনএমপ্লয়মেন্ট’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। তাই সরকার একে আনুষ্ঠানিকভাবে বেকার ভাতা না বললেও, অনেকের মতে এটি আসলে বেকারদের জন্যই নতুন সহায়তা।
দেশের অন্যান্য রাজ্যেও বেকার ভাতার প্রচলন আছে। বেশির ভাগ রাজ্যে মাসে ১,০০০–১,৫০০ টাকা দেওয়া হলেও, রাজস্থানে পুরুষদের জন্য ভাতা ৪,০০০ টাকা এবং মহিলাদের জন্য ৪,৫০০ টাকা।
রাজ্য শ্রম দফতর সূত্রে খবর, ‘শ্রমশ্রী পোর্টাল’ তৈরির কাজ প্রায় শেষ। খুব শীঘ্রই তা চালু হবে। সেখানে নাম নথিভুক্ত করলেই পরিযায়ী শ্রমিকরা ভাতা পাবেন। তবে ভুয়ো আবেদন ঠেকাতে কড়া নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আইনজীবীদের মতে, সামাজিক সুরক্ষার অংশ হিসেবেই সরকার এই ভাতা ঘোষণা করতে পারে। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “সমাজের নির্দিষ্ট অংশের জন্য সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প চালু করার অধিকার সরকারের রয়েছে।” বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি এবং বামপন্থী আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ও মনে করেন, প্রকল্প ঘোষণা করা সরকারের এখতিয়ার। তবে এর যৌক্তিক ব্যাখ্যা থাকা দরকার, না হলে আদালতে প্রশ্ন উঠতে পারে।
অন্যদিকে, রাজ্য পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ বোর্ডের চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল সাংসদ সামিরুল ইসলাম বলেন, “এটা কোনও বেকার ভাতা নয়। এটা পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি রাজ্যের সম্মান প্রঅদশন
No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন