“শেষ বয়সে একটু খেয়েপরে বাঁচতে চাই” — শতবর্ষী স্বাধীনতা সংগ্রামীর আবেদনে আবেগঘন কলকাতা হাইকোর্ট
পূর্ব মেদিনীপুরের ভীমচরণ রাণা, বয়স এখন ১০৩ বছর। ১৯৪২ সালের ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ছয় মাস জেল খেটেছিলেন বলে দাবি তাঁর। স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রায় আট দশক পরে আজ তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ, একটাই আর্জি— “শেষ জীবনটা যেন খেয়েপরে বাঁচতে পারি।”
বুধবার আদালতে ভীমচরণের হয়ে আইনজীবী অর্ধেন্দু নাগ জানান, ১৯৮১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামী পেনশন প্রকল্পে আবেদন করলেও তাঁর নাম বিবেচনা করা হয়নি। ২০১৪ সালে ফের আবেদন করলেও তা খারিজ করে দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বর্তমানে আর্থিক অনটনে ভুগছেন শতবর্ষী এই প্রবীণ স্বাধীনতা সংগ্রামী।
আদালতের পর্যবেক্ষণ
বিচারপতি অমৃতা সিনহা রাজ্যের কারা দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন, ১৯৪২-৪৩ সালের তমলুক জেলের নথি ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে।
বিচারপতি বলেন, “একজন দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়েছেন, অথচ এখন কর্তৃপক্ষ তাঁর কাছে প্রমাণ চাইছে।”
তিনি আরও মন্তব্য করেন, “বৃদ্ধার বয়স এখন ১০৩। প্রত্যেকটি দিন তাঁর কাছে অমূল্য। তাই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।”
রাজ্য ও কেন্দ্রের অবস্থান
রাজ্যের আইনজীবীর দাবি, ভীমচরণ স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন— এ নিয়ে যথেষ্ট প্রমাণ নেই।
কেন্দ্রীয় আইনজীবীর বক্তব্য, আগের আবেদন খারিজ হওয়ার পর তিনি পুনরায় যথাযথ প্রমাণপত্র দিয়ে আবেদন করেননি।
প্রেক্ষাপট
১৯৪২ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৪৩ সালের জুন পর্যন্ত ভীমচরণ রাণা তৎকালীন তমলুক জেলে বন্দি ছিলেন বলে দাবি। বর্তমানে নিঃসঙ্গ এই শতবর্ষী স্বাধীনতা সংগ্রামী আশা করছেন— আদালতের হস্তক্ষেপে অন্তত জীবনের শেষ পর্বে সামান্য আর্থিক স্বস্তি মিলবে।
পেনশন মজ্ঞুর করা হোক যে কোন পদ্ধতিতে।জয় হিন্দ
ReplyDelete