রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালদের বিল আটকে রাখা: সুপ্রিম কোর্ট বনাম কেন্দ্রীয় সরকারে সংঘাত চরমে


নয়া করে জটিলতা তৈরি হল রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালদের ক্ষমতা নিয়ে। আইনসভায় পাশ হওয়া বিল রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতি কতদিন আটকে রাখতে পারবেন, সেই প্রশ্নেই ফের সংঘাতে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিচারবিভাগ।

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা স্পষ্ট জানান, “রাজ্যপাল কোনও বিল আটকে রাখলে তার সমাধান আদালতের নয়, রাজনৈতিকভাবে করতে হবে। দেশের সব সমস্যার সমাধান সুপ্রিম কোর্টে নেই।” তাঁর মতে, মুখ্যমন্ত্রীরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতিকে জানাতে পারেন, আলোচনায় বসতে পারেন। কিন্তু আদালত রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপালকে সময়সীমা বেঁধে দিতে পারে না।

অন্যদিকে, প্রধান বিচারপতি বিআর গভাই পাল্টা প্রশ্ন তোলেন— “কোনও সাংবিধানিক পদাধিকারী যদি নিজের দায়িত্বই পালন না করেন, তাহলে কি আদালতের হাত-পা বাঁধাই থাকবে?”

📌 সুপ্রিম কোর্টের রায় কী ছিল?

আইনসভায় পাশ হওয়া বিল অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখা যাবে না।

সর্বাধিক তিন মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

আদালত সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদ ব্যবহার করে ‘সুবিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে’ এই বিশেষ রায় দিয়েছিল।


📌 কেন্দ্রের আপত্তি

সুপ্রিম কোর্ট সংবিধান সংশোধন করতে পারে না।

রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালের পদমর্যাদা বিচারব্যবস্থা কমিয়ে দিতে পারে না।

সমস্যার সমাধান হবে সাংবিধানিক বা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায়, আদালতের হস্তক্ষেপে নয়।


📌 রাজ্যগুলির অভিযোগ

তামিলনাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গ দাবি করেছে, তাদের বিধানসভায় পাশ হওয়া একাধিক বিল রাজ্যপাল ইচ্ছাকৃতভাবে আটকে রেখেছেন।

তামিলনাড়ু সরকার এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায়।


📌 বিতর্কের মূল কেন্দ্র
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং একাধিক বিজেপি নেতা ইতিমধ্যেই আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তাঁদের মতে, আদালত যদি রাষ্ট্রপতির মতো সাংবিধানিক পদাধিকারীর উপর সরাসরি নির্দেশ চাপিয়ে দেন, তবে তা গণতান্ত্রিক ভারসাম্য নষ্ট করবে এবং সাংবিধানিক সংকট ডেকে আনবে।

➡️ সবমিলিয়ে, রাজ্যপাল–রাষ্ট্রপতির বিল আটকে রাখার ক্ষমতা ও বিচারবিভাগের হস্তক্ষেপের সীমা নিয়ে দেশজুড়ে সাংবিধানিক বিতর্ক এখন তুঙ্গে।

No comments:

আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন

Featured post

দুর্গাপুর গণধর্ষণ: সিবিআই তদন্ত দাবি পরিবারের, পুনর্নির্মাণে পুলিশের নজর দুর্গাপুর গণধর...

Search This Blog

Powered by Blogger.