অসমে সম্প্রতি ৩৭ জনকে 'অনুপ্রবেশকারী' আখ্যা দিয়ে বিতাড়ন
অসমে বিতাড়ন বিতর্ক: সাম্প্রদায়িক আচরণ ও মানবাধিকার প্রশ্ন
সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের চূড়ান্ত সীমা পার করে’। অসমের মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রদায়িক নীতির বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা তুঙ্গে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি নির্বাচিত ও কার্যনিরত নেতাদের নির্দেশে বেছে বেছে মসজিদ ও মুসলিম বসতবাড়ি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বাইরেই ধ্বংস করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাল্যবিবাহের নামে শুরু করা অভিযানে বহু পরিবারের সদস্যকে গ্রেফতার করা ও কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে—তাদের মধ্যে অনেকে স্থানীয়দের স্থায়ী বাসিন্দা বলেও দাবি করা হয়।
আরও খবর পড়ুন ছয়টি কামরা লাইনচ্যুত, বহু যাত্রী আহত ও নিহত
অপরাধ ও 'জবর দখল' অভিযোগ তুলে বিশেষ করে বাঙালি মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর চালানো উচ্ছেদ কর্মসূচি স্থানীয়দের মধ্যে ভয়, অনিশ্চয়তা এবং মানবিক সংকট সৃষ্টি করেছে। স্বাধীনতা পরবর্তী প্রজন্ম থেকে এই অঞ্চলে অনবরত বসবাস করছে এমন পরিবারগুলোকেও 'অনুপ্রবেশকারী' বলে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের বিতাড়নের আদেশ জারি করা হয়েছে। রাজ্য সরকার সাম্প্রতিককালে ৩৭ জনকে রাজ্য ছাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে—এই ঘটনার তথ্য মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী এক পোস্টে লিখেছেন, 'অনুপ্রবেশকারীদের বিদায়। অসমে তোমাদের সময় শেষ' এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ছবি ঝাপসা করে পোস্ট করা হয়েছে। ওই ছবিতে পুরুষ, মহিলা ও শিশুদের উপস্থিতি স্পষ্ট। সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী এই ৩৭ জন 'অবৈধ বাংলাদেশি' হিসেবে চিহ্নিত ও বিতাড়িত হয়েছে, কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, সার্বিক প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নেই এবং অনেক অভিযোগ ভিত্তিহীন।
নির্বাচিত এই কঠোর পদক্ষেপ ও রাজ্য কর্তৃপক্ষের ঘোষিত নীতির বিরুদ্ধে মানবাধিকার সংগঠন ও কিছু রাজনৈতিক দল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, সাংবাদিকতা, আইনশৃঙ্খলা ও আদালতের পর্যবেক্ষণের বাইরে বিতাড়ন ও গ্রেপ্তার যদি চলে, তাহলে তা জনবৃন্দের মৌলিক অধিকার ও সংবিধানিক নিরাপত্তাকে ধাক্কা দেবে।
আরও খবর পড়ুন আবারও হাই কোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার।
অন্যদিকে সরকারি পক্ষ বলছে, সীমান্ত সুরক্ষা ও বেআইনি অনুপ্রবেশ রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে। তবে সমালোচকরা প্রশ্ন তুলছেন—কেন একই নিয়ম সবার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হচ্ছে না এবং কেন কিছু গোষ্ঠীকে বিশেষভাবে নিশানা করা হচ্ছে।
এই বিতর্ক সমাজে বিভাজন বাড়াচ্ছে ও স্থানীয় শান্তিচর্চাকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে। বিতাড়িতদের কেয়ার, পুনর্বাসন ও আইনি সহায়তা কিভাবে নিশ্চিত করা হবে, তা নিয়ে বড় প্রশ্ন রয়ে গেছে। আন্তর্জাতিকভাবে ও দেশের ভেতরে নজর পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে আরও তপ্ত হয়ে উঠছে।
সম্প্রসারিতভাবে বলতে গেলে—ভিন্ন মত ও ধর্মীয় পার্থক্য যদি নাগরিক অধিকার ও মানবিকতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, তাহলে তা গভীর উদ্বেগের বিষয়। দ্রুত স্বচ্ছতা, ন্যায়বিচার ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চিত না হলে সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে।
📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন
📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।
👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে
No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন