জুবিনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রায় ৬০টি এফআইআর, গুয়াহাটিতে সঞ্জীব নারায়ণের বিরুদ্ধে অভিযোগ শোকে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩
জুবিনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রায় ৬০টি এফআইআর রুজু, গুয়াহাটির উদ্যোগপতি সঞ্জীব নারায়ণের নামও যুক্ত

স্থানীয় সংবাদ সম্মেলনে গুয়াহাটির বহুমুখী উদ্যোগপতি সঞ্জীব নারায়ণ জানান, তিনি ১৯ সেপ্টেম্বর নিজ খরচে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন। সঞ্জীব দাবি করেন, ঘটনার দিন বিকেল প্রায় ৩টায় শ্যামকানু নামের এক পরিচিত ব্যক্তি ফোন করে জানান যে জুবিন একটি দুর্ঘটনায় পড়েছেন। পরে তিনি নিজ উদ্যোগে বন্দরে পৌঁছে যান এবং তখন জুবিনকে অ্যাম্বুল্যান্সে সিপিআর দেওয়া হচ্ছিল—সঞ্জীবই জোর করে হাসপাতালে পাঠিয়েছিলেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়।
সঞ্জীব ম্যানেজার সিদ্ধার্থকে দোষারোপ করে বলেন যে, ডাক্তাররা বারবার নির্দেশ দিয়েছিলেন জুবিনকে আগুন ও জল থেকে দূরে রাখতে এবং কোনও শারীরিক অত্যাচার না করতে—তবুও শেষ সময় সিদ্ধার্থ সেই নির্দেশগুলো মেনে চলেননি বলে তাঁর অভিযোগ। সূত্রে বলা হয়েছে, বেলা শেষে গৌহাটি হাই কোর্টে এই ঘটনার সংজ্ঞায়িত জনস্বার্থ মামলা (Public Interest Litigation) দায়ের করা হয়েছে।
● ঘটনাস্থল: সিঙ্গাপুর (প্রতিবেদনী তথ্য অনুযায়ী) • ● তারিখ: 19 সেপ্টেম্বর 2025 (প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখিত) • ● এফআইআরের সংখ্যা: প্রায় ৬০টি • ● আইনি পদক্ষেপ: গৌহাটি হাই কোর্টে PIL, পুলিশ ও CID/বিশেষ তদন্ত কমিটি নজরে।
এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনও সক্রিয় হয়েছে; বিভিন্ন সূত্রে বলা হয়েছে তদন্তের পরবর্তী ধাপ নেওয়া হবে এবং প্রয়োজনীয় দিকগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিবার ও অনুরাগীদের মধ্যে শোক এখনও গভীর—সমাজের প্রতিক্রিয়া ও অনলাইন সরব প্রত্যক্ষভাবে দেখা যাচ্ছে।
এখনকার পরিস্থিতি: স্থানীয় থানায় এফআইআর ধারাবাহিকভাবে দায়ের হচ্ছে এবং কয়েকটি অভিযোগে আয়োজনকারী সংস্থা ও ম্যানেজমেন্টকে দায়ী করা হয়েছে। প্রশাসনিক বা আইনি নোটিশ/তদন্ত সংক্রান্ত যে আপডেট আসবে, তা সঙ্গে সঙ্গে রিপোর্ট করা হবে।
জুবিনের রহস্যমৃত্যু তদন্তে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রীকে স্মারকলিপি অখিল গগৈয়ের
অখিল গগৈ জানান, ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত শ্যামকানু মহন্তর পরিবার অত্যন্ত প্রভাবশালী। তাঁর মেজদা ননীগোপাল মহন্ত বর্তমানে গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, আর বড়দা ভাস্করজ্যোতি মহন্ত প্রাক্তন ডিজিপি। অভিযোগ অনুযায়ী, মহন্ত পরিবারের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার পরিবারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ফলে রাজ্যের সিআইডি তদন্ত পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারে বলে দাবি করেন তিনি।
এ ছাড়া, সিঙ্গাপুরে ঘটনার সময়ে জুবিনের সঙ্গে উপস্থিত যে সব অসমিয়া ছিলেন, তাঁদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিও জানান অখিল। তিনি বলেন, "আন্তর্জাতিক স্তরে সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত ছাড়া এই মৃত্যুর রহস্য ভেদ করা সম্ভব নয়।"
● সিআইডি তদন্ত নিরপেক্ষ নয় — অখিল গগৈ ● মহন্ত পরিবারের প্রভাবশালী অবস্থান ● সিঙ্গাপুরে উপস্থিত অসমিয়াদের গ্রেফতার দাবি ● হাই কোর্ট পর্যবেক্ষণ ও সম্ভাব্য জনস্বার্থ মামলা
এদিকে, অসম তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি দুলু আহমেদ আরও বিস্ফোরক দাবি করেন। তাঁর বক্তব্য, জুবিনের দেহ আনার সময়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে দিল্লিতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী পবিত্র মার্গারিটা। তারপরও অভিযুক্তরা আইন এড়িয়ে উধাও হয়ে যান। দুলুর অভিযোগ, "বিদেশ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পলাতক অভিযুক্তদের ফেরানোর দায়িত্ব তাঁরই। যদি সেটা তিনি না-ই নিতে পারেন, তবে পদত্যাগ করা উচিত।"
প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একাধিক এফআইআর রুজু হয়েছে এবং গৌহাটি হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরিবার, শিল্পী সমাজ এবং রাজনৈতিক মহল থেকে একযোগে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জোরদার হচ্ছে।
জুবিন গর্গের শোকে মৃতের সংখ্যা বেড়ে তিন; অনুরাগী ও পরিচিত ব্যবসায়ীসহ দোহাই প্রতিবেদন: সিঙ্গাপুরে ঘটেছে জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গের রহস্যময় মৃত্যু—ঘটনাটির পর থেকে শোক ও উদ্বেগের অন্ত নেই। ঘটনার প্রভাব পড়ছে দূর-দূরান্তের অনুরাগী ও নিকটজনদের ওপরও: এই শোকে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন। প্রথমে আকাশ ডেকা নামে এক তরুণ বাক্সার আত্মহত্যা করেন; পরবর্তীতে জুবিন-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী পার্থ বরকটকি অন্ত্যেষ্টি সহ্য করতে না পেরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। আরেক অনুরাগী মকবুল হুসেন জুবিনকে শেষ বিদায় জানিয়ে ফেরার পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান। পরিবার, সহশিল্পী ও অনুরাগীদের মধ্যে গমগম করে শোক বিরাজ করছে এবং স্থানীয় সংগঠনগুলোতে স্মৃতিচারণ ও প্রার্থনার ধারা চলছে। একই সঙ্গে আইনগত ও প্রশাসনিক তদন্তের দাবি জোরদার হয়েছে—কী কারণে এই শোকে অতিরিক্ত প্রাণহানি ঘটল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। হাসপাতাল সূত্র ও স্থানীয় নেতারা মৃতদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ রেখে প্রাথমিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন; প্রয়োজনীয় সমর্থন ও মানসিক সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন