ভারত সুপার ওভারে জয়ী — ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা
ভারত সুপার ওভারে জয়ী — ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা
- অভিষেক: ৬১
- তিলক: ৪৯* (নট আউট)
- থিকসানা: ৩৬/১ (অবদান)
- নিসঙ্কা: ১০৭
- কুশল: ৫৮
- হার্দিক: ৭/১
এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সুপার ওভারে ভারতের জয়

খাতায়-কলমে এশিয়া কাপের নিয়মরক্ষার ম্যাচ হলেও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভারতের জয়টা কিন্তু সহজ হয়নি। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত রুদ্ধশ্বাস লড়াই, ম্যাচ গড়াল সুপার ওভারে। অভিজ্ঞতার জোরে সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল শেষ পর্যন্ত জয় ছিনিয়ে নিলেও সামনে উঠে এল একগুচ্ছ প্রশ্ন। বিশেষ করে হর্ষিত রানার বোলিং পারফরম্যান্সকে ঘিরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে ক্রিকেট মহলে।
অভিষেক শর্মার ঝড়ো ইনিংস
ভারতের ইনিংসে একাই ছন্দ এনে দেন অভিষেক শর্মা। শুভমান গিল মাত্র ৪ রান করে আউট হয়ে গেলে চাপ পড়ে ভারতের ওপর। অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব (১২) আবারও ব্যর্থ হন। কিন্তু অভিষেক দেখালেন তার ক্লাস। ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় মাত্র ৩১ বলে ৬১ রান করেন তিনি। তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ১৯৬.৭৭, যা দলকে ভরসা জোগায়।
অভিষেকের আউটের পর দায়িত্ব নেন সঞ্জু স্যামসন ও তিলক বর্মা। সঞ্জু খেললেন ৩৯ রানের ইনিংস, তিলক অপরাজিত থাকলেন ৪৯ রানে। অক্ষর প্যাটেলও শেষদিকে দ্রুত ২১ রান যোগ করেন। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ভারত ৫ উইকেটে তোলে ২০২ রান, যা এবারের এশিয়া কাপে সর্বোচ্চ দলীয় রান।
নিসঙ্কার দুর্দান্ত সেঞ্চুরি
অপ্রতিরোধ্য নিসঙ্কা একাই ভারতকে চাপে ফেলে দেন। ওপেনিংয়ে নেমে তিনি ছক্কা-চারে রীতিমতো দাপট দেখান। কুলদীপ যাদব ও বরুণ চক্রবর্তীকে সামলে তুলে নেন সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত তিনি ১০৭ রান করেন। তাঁর সঙ্গে কুশল পেরেরা যোগ করেন ৫৮ রান। এই জুটিই ভারতের জন্য বিপদ ডেকে আনে।
তবে ভারতের স্পিনাররা সঠিক সময়ে জ্বলে ওঠেন। কুশলকে বরুণ ফেরান। শেষদিকে নিসঙ্কাকে থামান হর্ষিত রানা, যিনি আগের ওভারগুলোতে প্রচুর রান বিলিয়েছিলেন। নিসঙ্কার উইকেটেই ম্যাচ সুপার ওভারে গড়ায়।
হর্ষিত রানা নিয়ে বিতর্ক
গৌতম গম্ভীরের আস্থাভাজন হর্ষিত রানা এদিন একেবারেই তাল হারিয়ে ফেলেন। লাইন-লেংথের কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না। তাঁর কোনটা বাউন্সার, কোনটা শর্টপিচ হবে—তা ব্যাটাররা আগেই বুঝে ফেলছিলেন। ফলে প্রথম তিন ওভারেই দেন ৪৪ রান। অর্শদীপ সিংকে বসিয়ে রেখে তাঁকে খেলানো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে প্রবলভাবে।
তবে শেষ ওভারে নাটকীয়ভাবে হিরো হয়ে ওঠেন হর্ষিত। শ্রীলঙ্কার জেতার জন্য প্রয়োজন ছিল ১২ রান। প্রথম বলেই ফেরান সেঞ্চুরিয়ান নিসঙ্কাকে। এরপর শ্রীলঙ্কা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ম্যাচ সুপার ওভারে গড়ায়।
সুপার ওভারের রোমাঞ্চ
সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু মাত্র ২ রানেই সীমাবদ্ধ থেকে যায় তারা। ভারতীয় বোলাররা সঠিক জায়গায় বল করে চাপ সৃষ্টি করেন। আম্পায়ারের এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েও হইচই পড়ে যায়। দাসুন শনাকা প্রথমে ক্যাচ আউট হন, পরে রান আউট। রিভিউতে দেখা যায় ক্যাচ হয়নি। যেহেতু বল ‘ডেড’ ঘোষণা হয়েছিল, তাই রান আউটও দেওয়া হয়নি।
তবুও ভারতের নিয়ন্ত্রণে চলে যায় ম্যাচ। অর্শদীপ সিং তুলে নেন দুটি উইকেট। এরপর ভারতীয় ব্যাটাররা প্রথম বলেই প্রয়োজনীয় রান তুলে জয় নিশ্চিত করে।
শ্রীলঙ্কা ২০২/৫ (নিসঙ্কা ১০৭, কুশল ৫৮)
সুপার ওভার: শ্রীলঙ্কা ২/২ | ভারত ৩/০
জয়ী: ভারত 🇮🇳
ফাইনালের আগে শিক্ষা
ভারত ইতিমধ্যেই ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে। প্রতিপক্ষ পাকিস্তান, যাদের আগের দুই ম্যাচেই হারিয়েছে সূর্যরা। তবে এই ম্যাচ টিম ইন্ডিয়ার জন্য স্পষ্ট বার্তা দিয়ে গেল—আত্মবিশ্বাস যেন আত্মতুষ্টিতে না বদলায়। ক্যাচ মিস, ফিল্ডিং ত্রুটি ও বোলিংয়ের দুর্বলতা আবারও ধরা পড়েছে। বুমরাহ ও শিবম দুবে ছাড়া বোলিং আক্রমণ অনেকটাই দুর্বল মনে হয়েছে।
গম্ভীরের টিম ম্যানেজমেন্ট এখন বুঝে গেছে, শুধু ব্যাটিং নয়, বোলিং ও ফিল্ডিংয়েও সমান মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। না হলে ফাইনালে পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন
📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।
👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে
No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন