সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের লিখিত বক্তব্য: কোন রাজ্যে CPI মেনে ডিএ পাওয়া হয় না — শুনানি শেষে রায় স্থগিত

সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের লিখিত বক্তব্য: কোন রাজ্যে CPI মেনে ডিএ পাওয়া হয় না — শুনানি শেষে রায় স্থগিত
আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের লিখিত বক্তব্য: প্রায় ১০টি রাজ্যে CPI মেনে ডিএ দেওয়া হয় না — শুনানি শেষে রায় স্থগিত

রিপোর্ট: Y বাংলা ডিজিটাল ব্যুরো • প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ • বিভাগ: বিচারবিভাগ

বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) নিয়ে দায়ের হওয়া মামলায় রাজ্য সোমবার সুপ্রিম কোর্টে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছে। রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে — প্রায় ১০টি রাজ্যে ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) মেনে ডিএ দেওয়া হয় না। শুনানিতে তা আদালত জানতে চেয়েছিল এবং রাজ্যের লিখিত প্রস্তাবনাতেও এ তথ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

সংক্ষিপ্ত হাইলাইট
আদেশ (আন্তর্বর্তী)
ডিএ-র ২৫% বকেয়া পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
সভা ও শুনানি
শুনানি শেষ: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ — রায় স্থগিত
রাজ্য দাবি
অর্থনৈতিক সঙ্কট ও বাজেটে বরাদ্দ না থাকার কারণে আরও সময় প্রয়োজন।

গত ৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে মামলার শোনানি শেষ হয়েছে। বেঞ্চ রায় ঘোষণার সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে এবং বিভিন্ন পক্ষ লিখিত বক্তব্য দাখিলের সুযোগ দিয়েছিল। রাজ্য তার লিখিত জবাব আদালতে জমা দিয়েছে। মামলাকারী সরকারি কর্মচারীদের একাংশের আইনজীবী করুণা নন্দী আদালতে পাল্টা লিখিত বক্তব্য জমা দিতে চান; বেঞ্চ এক সপ্তাহ আগে সেই সময়সীমা জানিয়ে দিয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট পূর্বে রাজ্যকে বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল এবং এটি পূরণের জন্য ছয় সপ্তাহ সময়ও দিয়েছিল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রাজ্য সেই পরিমাণ পরিশোধ করতে পারেনি এবং অতিরিক্ত ছয় মাস সময় চেয়ে আবেদন জানায়। আদালতে ওই আবেদন দেখেই বেঞ্চ আগস্ট মাসে শুনানি শুরু করে এবং পরে রায় পিছিয়ে যায়।

ঘটনার সময়রেখা (সংক্ষেপে)
  • ২০২২: কলকাতা হাই কোর্ট সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে রায় দেয় — কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার দাবি মানা হয়।
  • ২০২৩-২০24: স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (এসএটি) ও উচ্চ আদালতের বিবেচনা।
  • ২০২৫ (অগাস্ট-সেপ্টেম্বর): সুপ্রিম কোর্টে শুনানি; ৪–৭ অগাস্টে ধারাবাহিক শুনানি; ৮ সেপ্টেম্বর শুনানি শেষ; রায় স্থগিত।

রাজ্যের যুক্তি ছিল যে মহার্ঘ (ডিএ) বাধ্যতামূলক নয় এবং এটি কর্মীদের মৌলিক অধিকার বলে গণ্য করা যায় না; কেন্দ্র-রাজ্য আর্থিক কাঠামোও ভিন্ন — তাই কেন্দ্রীয় হারের সঙ্গে তুলনা করা যুক্তিযুক্ত নয়। মামলাকারী পক্ষের বক্তব্য ছিল যে ডিএ নির্দিষ্ট সময়মতো দিতে হবে, এটি সরকারের নীতির অংশ; বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে ডিএ কার্যকারিতা বজায় রাখা প্রয়োজন এবং প্রয়োজনে বকেয়া কিস্তিতে দেওয়া হোক।

মামলাটি স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল, কলকাতা হাই কোর্ট হয়ে সুপ্রিম কোর্টে গড়ায়। কলকাতা হাই কোর্ট ২০২২ সালে সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে রায় জানিয়েছিল। রাজ্য সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে গেলে সুপ্রিম কোর্ট গত কয়েক মাসে বিষয়টি শুনেছে ও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছেন।

উৎস: মামলার আদালতি নথি, মামলাকারী ও রাজ্যপক্ষের লিখিত বক্তব্য এবং আদালত সূত্র।

আপনি যদি এই প্রতিবেদন প্রচার করবেন, অনুগ্রহ করে উৎস হিসেবে Y বাংলা ডিজিটাল ব্যুরো উল্লেখ করুন।
সম্পাদকীয় নীতি: এই রিপোর্ট কপিরাইট-মুক্ত নয়; ব্যবহার ও প্রকাশের ক্ষেত্রে আমাদের অনুমতি নিন অথবা কপিরাইট নীতিমালা অনুসরণ করুন।

No comments:

আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন

Featured post

দুর্গাপুর গণধর্ষণ: সিবিআই তদন্ত দাবি পরিবারের, পুনর্নির্মাণে পুলিশের নজর দুর্গাপুর গণধর...

Search This Blog

Powered by Blogger.