বিহারে রাহুল গান্ধীর যাত্রা শেষে মহাজোটে আসন ভাগাভাগি নিয়ে চাপানউতোর
বিহারে রাহুল গান্ধীর যাত্রা শেষে মহাজোটে আসন ভাগাভাগি নিয়ে চাপানউতোর
নয়াদিল্লি: বিহারে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর "ভোটার অধিকার যাত্রা" ছিল বিরোধী ঐক্যের এক জোরালো প্রদর্শন। যাত্রাপথে রাহুল গান্ধী ও আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব একসঙ্গে বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তবে, ঐক্যের এই আবহ শেষ হতেই সামনে এসেছে বাস্তব রাজনীতির জটিল সমীকরণ—আসন ভাগাভাগি নিয়ে জোটের মিত্রদের মধ্যে শুরু হয়েছে চাপানউতোর।
ঐক্যের বার্তা, নেতৃত্বের প্রশ্ন
যাত্রাকালে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, “আমরা একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, জোট সুসংগতভাবে চলছে এবং ফলাফল ভালো হবে।” কিন্তু কংগ্রেস স্পষ্ট করে দেয় যে তারা তেজস্বী যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে সমর্থন করবে না। যদিও তেজস্বী প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলেন, বিরোধী জোট ক্ষমতায় এলে রাহুল প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য উপযুক্ত মুখ। এখানেই দুই শিবিরের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
২০২০ সালের নির্বাচনী অঙ্ক
২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আরজেডি ১৪৪টি আসনে লড়ে ৭৫টিতে জিতেছিল। অন্যদিকে কংগ্রেস ৭০টিতে লড়ে মাত্র ১৯টিতে সাফল্য পায়, যা ছিল সবচেয়ে দুর্বল স্ট্রাইক রেট। বাম দলগুলির পারফরম্যান্স তুলনামূলকভাবে ভালো ছিল—সিপিআইএমএল ১৯টির মধ্যে ১২টি, সিপিএম ৪টির মধ্যে ২টি এবং সিপিআই ৬টির মধ্যে ২টি আসনে জয় পায়।
নতুন মিত্র, নতুন সমীকরণ
এবার মহাজোটে যোগ দিচ্ছে আরও তিনটি দল—মুকেশ সাহানির বিকাশশীল ইনসান পার্টি (ভিআইপি), ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) এবং চিরাগ পাশওয়ানের কাকার নেতৃত্বাধীন এলজেপির একটি অংশ। ভিআইপি এবার ৬০টি আসনের দাবি করেছে এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদও চাইছে। ফলে আসন বণ্টন আরও জটিল হচ্ছে।
ভিআইপি প্রধান মুকেশ সাহানি: “আমাদের দল অন্তত ৬০টি আসনে লড়বে। প্রতিটি জোটসঙ্গীকে সমানভাবে ভালো ও কঠিন আসন পেতে হবে, শুধু এক দলের জন্য সুবিধাজনক আসন বরাদ্দ হলে চলবে না।”
সিপিআই নেতা ডি রাজা: “আমাদের দলের বিহারে দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তাই ন্যায্যভাবে আসন ভাগাভাগি হলে আমরা আরও আসন চাইব।”
চাপের মুখে আরজেডি ও কংগ্রেস
সবচেয়ে বেশি চাপ এখন আরজেডির উপর, কারণ দলটি জোটের প্রধান শক্তি। তেজস্বী ইতিমধ্যেই আলাদা যাত্রা শুরু করে নিজের আধিপত্য জানান দিচ্ছেন। কংগ্রেসও রাহুলের যাত্রার সাফল্যকে সামনে রেখে বাড়তি আসনের আশা করছে। কিন্তু ২০২০ সালের দুর্বল ফলাফল তাদের বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
আগামী পথ কঠিন
মহাজোটের ঐক্যের বার্তা দিল্লি থেকে পাটনা পর্যন্ত ছড়ালেও, আসন ভাগাভাগি নিয়ে দরকষাকষি সহজ হবে না। প্রতিটি দলের নিজেদের শক্তি এবং ইতিহাস তুলে ধরে বাড়তি আসনের দাবি করার ফলে আলোচনার টেবিলে অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে। সুতরাং বলা যায়, যাত্রার সৌহার্দ্য পেরিয়ে মহাজোটের সামনে এখন কঠিন এক রাজনৈতিক পথ অপেক্ষা করছে।

বিহারে রাহুল গান্ধী ও তেজস্বী যাদবের যৌথ যাত্রা — ঐক্যের ছবি, কিন্তু বাস্তব রাজনীতিতে আসন ভাগাভাগির জটিলতা
- ২০২০ সালে আরজেডি: ১৪৪ আসনে লড়ে ৭৫টি জয়
- কংগ্রেস: ৭০ আসনে লড়ে ১৯টি জয়
- সিপিআইএমএল: ১৯ আসনে লড়ে ১২টি জয়
- ভিআইপি এবার দাবি করছে ৬০ আসন ও উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদ
🕒 আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন
📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।
👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে
No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন