লাদাখে রাজ্যত্ব দাবিতে তীব্র বহিঃপ্রকাশ — লেহে সংঘর্ষ, পুলিশ ভ্যান-দফতরে আগুন
লাদাখে রাজ্যত্ব দাবিতে তীব্র বহিঃপ্রকাশ — লেহে সংঘর্ষ, পুলিশ ভ্যান ও বিজেপি কার্যালয়ে আগুন
২০১৯ সালে কেন্দ্রের সক্রিয়তায় আর্টিকেল ৩৭০ বিলোপ ও জম্মু-কাশ্মীরের পুনর্গঠন—এবং লাদাখকে নিবাসী কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা—এর পর থেকেই লাদাখে রাজ্যের মর্যাদা ফেরানো নিয়ে অনড় অনিক্ষোভ ও দাবি বাড়ছে; বৃহস্পতিবার সেই উত্তেজনা জমে ওঠে সশস্ত্র বিক্ষোভে। 0
বসতি ও সাংস্কৃতিক নিরাপত্তার দাবিতে দীর্ঘ অনশন-অভিযান ও যুবদলের উদ্যোগের মধ্যেই লেহে মঙ্গলবার থেকে অবশ্যই উত্তেজনা দেখা দেয়। স্থানীয় যুবকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ইটবৃষ্টি শুরু হয়; একই সঙ্গে ঘটেছে অগ্নিসংযোগ—একটি পুলিশ ভ্যান ও স্থানীয় এক রাজনৈতিক দলের (বিএজেপি) কার্যালয়ে আগুন লাগানো হয়েছে বলে সংবাদে জানা গেছে। এই ঘটনার সময় নিরাপত্তা বাহিনীকে অতিরিক্ত নম্বর মোতায়েন করতে হয়েছে ও এলাকা কন্ট্রোল করা চলছে।
আরও খবর পড়ুন, কলকাতা হাইকোর্টে 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস' সিনেমা প্রদর্শনী নিয়ে নির্দেশ
অবস্হা আরও তীব্র হয়েছে কেন—ঠিক এখানেই এলাকাভিত্তিক বিক্ষোভের পটভূমি স্পষ্ট হয়: লাদাখের অনেক বাসিন্দা মনে করেন কেন্দ্র যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল (রাজ্য মর্যাদা বা সাংবিধানিক সুরক্ষা), তা সময়মতো পূরণ হয়নি। পরিবেশ-সংরক্ষণ ও স্থানীয় অটোনমি নিশ্চিত করতে ছুটোছুটো দাবিগুলো দিন-দিন জোরালো হচ্ছে। পরিবেশকর্মী ও নেতা-সমাজকর্মীরা অনশন ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি শুরু করলে তা প্রতিরোধের অভাব হলে যুবসমাজ রাস্তায় নামছে—এবং তাতে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। Sonam Wangchuk-এর অনশনের খবর ও পরে তিনি যখন শান্তির আহ্বান করেন, তখনও উত্তেজনা থামেনি।
আরও খবর পড়ুন, রাহুল গান্ধীর অভিযোগ: ভোটচুরি ও বেকারির বিরুদ্ধে যুবসমাজের লড়াই
একমাত্র শান্তিপূর্ণ আলোচনাই সমস্যার স্থায়ী সমাধান ঘোষনা করতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। কেন্দ্র ও স্থানীয় শাসকগোষ্ঠীর মধ্যে কথোপকথন ছাড়া বিভিন্ন দাবি—সিক্সথ শিডিউল, সাংবিধানিক রক্ষাকবচ বা রাজ্যত্ব—কেউ স্বল্পমেয়াদে মেটাতে পারবেনা। স্থানীয় বৃহৎ সংগঠনগুলোও রাজনৈতিক প্রতিনিধি ও তাঁতীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে বলছেন। তবে এখনকার পরিস্থিতিতে অগ্নিগর্ভ বিক্ষোভগুলো যদি নিয়ন্ত্রণে না আনা যায়, তা সাম্প্রদায়িক ও সামাজিক অবনতি ঘটাতে পারে।
আরও খবর পড়ুন, শুভেন্দুর সমালোচনা: কলকাতার বৃষ্টিতে নাগরিকের মৃত্যু ও সরকারের ব্যর্থতা ।
বর্তমানে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় স্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা পুনরায় শুরু হওয়ার আহ্বান করা হচ্ছে; পরবর্তী দিনগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা, আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনার প্ল্যাটফর্ম স্থাপন এবং ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য সহায়তার পরিকল্পনা জরুরি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। একই সঙ্গে, তদন্ত ও ঘটনার ন্যায্য মূল্যায়নের প্রতিশ্রুতি ছাড়া উত্তেজনা ম্লান হওয়া কঠিন বলেই মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক।
📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন
📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।
👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে
No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন