মুর্শিদাবাদে ফের পরিযায়ী শ্রমিকের রহস্যমৃত্যু

মুর্শিদাবাদে ফের পরিযায়ী শ্রমিকের রহস্যমৃত্যু

মুর্শিদাবাদে ফের এক পরিযায়ী শ্রমিকের রহস্যমৃত্যু

সোমবার সকালে ফরাক্কা ব্যারেজ বাজার এলাকায় এক দোকানের সামনে থেকে উদ্ধার হয় বছর পঞ্চাশের কালু হাঁড়ি-এর ঝুলন্ত দেহ। পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক কালু কয়েক সপ্তাহ আগেই উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে ফিরে এসেছিলেন অসুস্থ অবস্থায়।

প্রসঙ্গত, মাত্র ২ দিনের ব্যবধানে ফের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। মৃতের বাড়ি ফরাক্কা ব্যারেজ আবাসনের ৯ নম্বরে। জানা গিয়েছে, গাজিয়াবাদে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন কালু হাঁড়ি। হঠাৎ শারীরিক অসুস্থতায় ভুগতে থাকায় কাজ বন্ধ করে মাস দেড়েক আগে মুর্শিদাবাদে ফিরে আসেন। মামার বাড়িতে থাকছিলেন তিনি।

সোমবার সকালে স্থানীয়রা দেখতে পান, ব্যারেজ বাজার এলাকায় একটি দোকানের সামনে গাছের ডালে ঝুলছে কালুর নিথর দেহ। খবর পেয়ে ফরাক্কা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

কালুর ভাই রাজু হাঁড়ি বলেন, “দাদা অনেক বছর ধরে গাজিয়াবাদে কাজ করতেন। ওখানে হঠাৎ শরীর খারাপ হয়। আমাদের জানানো হয়, কিছু খাচ্ছে না। তারপর ফিরিয়ে আনা হয়। যক্ষ্মা ধরা পড়ে। কিন্তু আত্মহত্যা না অন্য কিছু, আমরা কিছু বলতে পারছি না।”

তবে পরপর দু’জন পরিযায়ী শ্রমিকের এমন মৃত্যু ঘিরে প্রশ্ন উঠছে। মাত্র ২ দিন আগেই ভগবানগোলার রামকান্তপুরে তামিলনাড়ু ফেরত এক যুবক, ওয়াহিদ শেখ-এর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, কর্মস্থলে তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছিল। বাড়ি ফেরার ২ দিনের মাথায় মৃত্যু হয় তাঁর।

পুলিশ সূত্রে খবর, দুটি ক্ষেত্রেই অপমৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে একাধিক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে স্থানীয়দের মনে—শুধুই কি শারীরিক অসুস্থতা, নাকি পরিযায়ী শ্রমিকদের অজানা মানসিক চাপই মৃত্যুর কারণ?

📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন

📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।

👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে

No comments:

আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন

Featured post

দুর্গাপুর গণধর্ষণ: সিবিআই তদন্ত দাবি পরিবারের, পুনর্নির্মাণে পুলিশের নজর দুর্গাপুর গণধর...

Search This Blog

Powered by Blogger.