তামান্না হত্যা: তদন্তে অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট, পুলিশকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ

তামান্না হত্যা: তদন্তে অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট, পুলিশকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ

তামান্না মৃত্যুর তদন্তে অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট, পুলিশকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ

আপডেট: আদালত আদেশ ও পরিবারের অভিযোগ — 28 অক্টোবর পুনরায় শুনানি।

কলকাতার হাইকোর্ট তামান্না খাতুনের মৃত্যুকাণ্ডে পুলিশের তদন্ত সম্পর্কে গভীর অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষর নির্দেশে বলা হয়, ১৪ জন নাম উল্লেখ করা অভিযুক্ত সম্পর্কে কীভাবে তদন্ত করা হয়েছে—তার বিস্তারিত রিপোর্ট রাজ্যের পুলিশকে আদালতে জমা দিতে হবে। বিচারপতির তাগিদে তদন্তের অগ্রগতি ও প্রাপ্ত সনদ-প্রমাণ সম্পর্কে আদালত ২৮ অক্টোবর ফের শুনানিতে আপডেট চাইবে।

আদালতের নির্দেশের মূলবিন্দু
  • ১৪ জন এফআইআরে নাম থাকা অভিযুক্তদের বিষয়ে তদন্তকার্যের রিপোর্ট আদালতে দিতে হবে।
  • মামলাকারী পরিবার বা সাক্ষীরা যদি আতঙ্ক-আক্রমণের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা দেখেন, তাহলে নিম্ন আদালতে আবেদন করা যাবে।
  • রাজ্য তাঁদের আবেদন পেলে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা করবে বলে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
  • ২৮ অক্টোবর রাজ্য পুলিশকে তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট আদালতে দাখিল করতে হবে।

পরিবারের দাবি ও পটভূমি

নদীয়ার কালীগঞ্জে হওয়া বিস্ফোরণে নিহত হলে প্রায় দশ বছর বয়সী তামান্না খাতুন। পুলিশের তদন্তে অসন্তুষ্ট থেকে গত সপ্তাহে পরিবারের পক্ষ থেকে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। পরিবার দাবি করেছেন—পুলিশ ৩৪০ পাতার চার্জশিট সৃতি দিলেও সংশ্লিষ্টদের সবাই গ্রেফতার করা হয়নি এবং তাদের বিরুদ্ধেই হুমকি-ভীতি প্রদর্শিত হচ্ছে। ফলে পরিবার ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হন।

আদালতের অনুরোধ ও নিরাপত্তা নিশ্চয়তা

বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নির্দেশ দিয়েছেন যে, যদি মামলাকারী পরিবারের কেউ বা মামলা সংক্রান্ত সাক্ষীরা অভিযোগ করেন যে তাদের বিরুদ্ধে কোনো আক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে—তাহলে তারা নিম্ন আদালতে আবেদন করতে পারবেন। আদালত ওই আবেদন পেলে রাজ্য পর্যায়ে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নির্দেশে স্পষ্ট করা হয়েছে যে, প্রত্যেক শিশুর মৃত্যুর মতো সংবেদনশীল ঘটনার তদন্তে স্বচ্ছতা ও দ্রুততা জরুরি।

মুল ঘটনা (সংক্ষেপ): ২৩ জুন কালীগঞ্জ বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনার দিন এক বিস্ফোরণে নিহত হন তামান্না। এরপর পরিবারের অভিযোগ উঠেছে—পর্যাপ্ত গ্রেফতার ইত্যাদি হয়নি এবং তদন্তে অনিয়ম রয়ে গেছে—যার ভিত্তিতে তারা হাইকোর্টে গিয়েছেন।

পুলিশি তদন্ত ও আদালতের তলে তাগিদ

আদালত স্পষ্ট করে বলেছে, তদন্তে অগ্রগতি ও প্রমাণ-প্রসূত প্রক্রিয়া আদালতে জানানো জরুরি। ১৪ জন অভিযুক্তের ক্ষেত্রে কী ধাপ নেওয়া হয়েছে—সেই সব তথ্য আরজি হিসেবে আদালতে পেশ করতে হবে। এছাড়া তদন্তে যদি বাড়তি সহায়তা বা নিরপেক্ষ সংস্থার অংশগ্রহণ প্রয়োজন হয়, আদালত সেই দিকটিও খতিয়ে দেখতে পারে।

“অস্পষ্টতা ও ঊর্ধ্বতন বিকল্প ছাড়া শিশুর মৃত্যুর মতো ঘটনায় জনগণের আস্থা বজায় রাখা যায় না”—হাইকোর্টের সমালোচনামূলক বক্তব্যের সারমর্ম।

পরবর্তী ধাপ ও শুনানি

হাইকোর্ট ২৮ অক্টোবর পুনরায় মামলার শুনানি করবেন এবং ততক্ষণে রাজ্য পুলিশকে তদন্তের অগ্রগতি ও জমা করা রিপোর্ট আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালত পরিবারের নিরাপত্তা সংক্রান্ত যে কোনও আবেদনকে দ্রুততার সঙ্গে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও তদন্তকারী সংস্থার প্রতিটি পদক্ষেপ এখন কড়া নজরদারির মধ্যে থাকবে। পরিবার ও নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে নিরপেক্ষ ও ত্বরিত তদন্তের অনুরোধ হচ্ছে—বিচারপ্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আদালতও তা সংবিধানমূলকভাবে তদারকি করছেন।

হ্যাশট্যাগ:
#তামান্নাখাতুন #কলকাতাহাইকোর্ট #তীর্থঙ্করঘোষ #তদন্ত #কালীগঞ্জ #নিরাপত্তা #বিচার

📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন

📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।

👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে

No comments:

আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন

Featured post

দুর্গাপুর গণধর্ষণ: সিবিআই তদন্ত দাবি পরিবারের, পুনর্নির্মাণে পুলিশের নজর দুর্গাপুর গণধর...

Search This Blog

Powered by Blogger.