দুর্গা পুজোর আগে কুড়মি আন্দোলন: ২০ সেপ্টেম্বর রেল-রোকো ও রাস্তা অবরোধের হুঁশিয়ারি
দুর্গা পুজোর মুখে ফের মাথা তুলছে কুড়মি আন্দোলন — ২০ সেপ্টেম্বর রেল-রোকো ও রাস্তা অবরোধের হুঁশিয়ারি

Y বাংলা ডিজিটাল ব্যুরো: দুর্গাপুজোর ঠিক আগে বাংলা, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায় বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিল আদিবাসী কুড়মি সমাজ। সংগঠনের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল ও রাস্তা অবরোধ করা হবে। তারা দাবী করছে— কুড়মি সম্প্রদায়কে আদিবাসী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হোক।
কী বলা হয়েছে ঘোষণা- বিবরণ
সংগঠনের নির্দেশে মোট তিনটি রাজ্য জুড়ে প্রায় ১০০টি স্থানে রেল রোকো ও রাস্তা অবরোধের কর্মসূচি নেওয়া হবে। প্রতিটি জেলায় চলছে প্রস্তুতি বৈঠক। দেওয়াল লিখন, পোস্টার সাঁটানো ও স্থানীয় স্তরে জনসমাবেশের কাজ ত্বরান্বিত করা হয়েছে। কুড়মি সমাজের নেতারা বলছেন, “আমাদের দাবিগুলো অনেক দিন ধরে অনস্বীকৃতি পাচ্ছে— তাই এই বাধ্যতামূলক রাজনৈতিক পথে নামতে বাধ্য হব।”
আন্দোলনের পটভূমি
কুড়মি সম্প্রদায় বহু বছর ধরেই আদিবাসী তালিকাভুক্তির দাবি জানিয়ে আসছে। তাদের যুক্তি— ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে তা ন্যায্য। অতীতেও একাধিকবার রেল-রোকো ও রাস্তা অবরোধের মাধ্যমে এই দাবির দাবি তোলা হয়েছে। তবে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি স্তর থেকে ততটা নজর বা কার্যকর প্রতিকার তারা পাননি বলে তারা দাবি করেন।
“আমরা আগেই বিষয়টি জানিয়েছি। তা সত্ত্বেও আমাদের সঙ্গে বসার প্রয়োজন কেউ মনে করেনি। কুড়মিরা কি এতটাই অচ্ছুত? দেশের পশু-নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইন আছে, কুড়মিদের বাঁচাতে কেন আইন নেই? অত্যাচারী শেষ কথা বলে না — শেষ কথা বলে জনগণ।”
প্রশাসনিক চিন্তা ও সম্ভাব্য প্রস্তুতি
প্রশাসন ইতিমধ্যেই সতর্ক হয়ে উঠেছে। রেল ও সড়ক অবরোধ দুর্গা পুজোর সোনালী সময়ে ট্রেন সেবা ও পণ্যচলাচলে বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে। রেল কর্তৃপক্ষ বিকল্প রুট, অতিরিক্ত টিকারিং ব্যবস্থা ও জরুরি পরিষেবার জন্য ব্যাকআপ প্ল্যান তৈরি করতে শুরু করেছে। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা বিভাগও অতিরিক্ত পোস্টিং ও নজরদারি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
আন্দোলনের সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব
দুর্গাপুজোকে সামনে রেখে এমন ধরনের অবরোধ ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটন ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। স্থানীয় বাজার ও পরিবহন খাত ব্যাহত হলে সাধারণ মানুষের জীবনে সরাসরি প্রভাব পড়বে। তাছাড়া, দীর্ঘস্থায়ী অবরোধে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা ও ক্ষেতে কৃষকদের উৎপাদন বিপর্যস্ত হওয়ার আশঙ্কাও রইল।
রাজনৈতিক সংবেদনশীলতা
তিন রাজ্য জুড়ে সমন্বিত আন্দোলন হওয়ার ফলে রাজনৈতিক চাপ বেড়ে যাবে। এটি কেবল একটি সামাজিক দাবি নয় — রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক স্তরে বড় ধাক্কা দিতে পারে। রাজ্য ও কেন্দ্রের নেতারা এখন কিভাবে সংলাপ শুরু করবেন তা দেখার বিষয়। রাজনৈতিক দলগুলোও এই ইস্যুকে ভোটীয় প্রেক্ষাপটে ব্যবহার করতে চাইবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
কুড়মি সমাজের আগের আন্দোলন — সংক্ষিপ্ত টাইমলাইন
• গত কয়েক বছরে একাধিকবার কুড়মি সম্প্রদায় রেল-রোকো ও সড়ক অবরোধ করেছে।
• স্থানীয় দাবি, তারা নিয়মিত উন্নয়ন প্রকল্প থেকে বঞ্চিত।
• সরকারকে নানা সময় নোটিশ দিয়ে আন্দোলন ও আলোচনার চেষ্টা চালিয়েছেন নেতারা; ফল তেমন হয়নি।
কীভাবে সমাধান সম্ভব?
বিশ্লেষকরা বলছেন, স্থায়ী সমাধানের জন্য সরকারকে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নিতে হবে—
- স্বতন্ত্র ও তাত্ক্ষণিক সংলাপের ব্যবস্থা করে কুড়মি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসা।
- আইনি, সাংবিধানিক দিক থেকে দাবি খতিয়ে নিয়ে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নেয়া।
- অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রকল্পে দ্রুত প্রকল্প বরাদ্দ।
- মধ্যস্থতাকারী ও ন্যায়সংস্থান করে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নির্ধারণ।
জনমত ও গ্রামে অনুভূতি
স্থানীয়রা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন — কেউ সাপোর্ট করছেন কারণ তাঁদের মতে দীর্ঘ সময় ধরে অবহেলা আছে; আবার অনেকে বলছেন ধর্মীয় ও উৎসবকালীন জনজীবনে বিরূপ প্রভাব পড়বে। বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ চান— শান্তিপূর্ণ সমাধান যেন দ্রুত হয়।
#কুড়মি_আন্দোলন #রেল_রোকো #রাস্তা_অবরোধ #আদিবাসী_তালিকা #WestBengal #Jharkhand #Odisha #KurmiDemand
📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন
📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।
👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে
No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন