আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: নিহত পাইলটের বাবার বিস্ফোরক দাবি
আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: নিহত পাইলটের বাবার বিস্ফোরক দাবি

Y বাংলা ডিজিটাল ব্যুরো: ভয়াবহ আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৭৫ জন যাত্রী ও কর্মী। এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ড্রিমলাইনার (ফ্লাইট AI 171) টেক অফের কয়েক সেকেন্ড পরেই ভেঙে পড়ে। তদন্তে উঠে এসেছে এক বিস্ফোরক তথ্য—ইঞ্জিনের ফুয়েল সুইচ হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায়। আর সেই ঘটনার পর থেকে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে বিমান চালনার সময় দুই পাইলটের কথোপকথন নিয়ে।
দুই পাইলটের কথোপকথন
AAIB-এর (Aircraft Accident Investigation Bureau) প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, দুর্ঘটনার আগে দুই পাইলটের কথোপকথন ধরা পড়ে ব্ল্যাক বক্সে। সেখানে শোনা যায়, একজন অপরজনকে প্রশ্ন করছেন—তুমি সুইচ বন্ধ করলে কেন?
। এরপরেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
আত্মহত্যার তত্ত্ব নিয়ে বিতর্ক
তদন্তকারীরা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন, প্রধান পাইলট ক্যাপ্টেন সুমিত সাভারওয়াল (৫৬) হয়তো প্রচণ্ড মানসিক চাপের কারণে আত্মঘাতী পদক্ষেপ নেন। তবে এই তত্ত্ব নিয়ে উঠেছে প্রবল বিতর্ক। বিমান বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন অভিজ্ঞ পাইলটের এভাবে হঠাৎ মানসিক ভেঙে পড়া স্বাভাবিক নয়।
বাবার বিস্ফোরক চিঠি
নিহত ক্যাপ্টেন সাভারওয়ালের ৯১ বছরের বাবা পুষ্করাজ সাভারওয়াল এক চিঠিতে এই আত্মহত্যার তত্ত্বকে অস্বীকার করেছেন। তিনি বেসামরিক বিমান চলাচল সচিব ও AAIB ডিরেক্টরকে উদ্দেশ করে লিখেছেন—এভাবে মিথ্যে অভিযোগ তুলে আমার ছেলের সুনাম নষ্ট করা হচ্ছে।
বিবাহবিচ্ছেদ ও মায়ের মৃত্যু প্রসঙ্গ
প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছিল, বিবাহবিচ্ছেদ ও মায়ের মৃত্যুর কারণে মানসিক চাপে ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত। কিন্তু পুষ্করাজ লিখেছেন, সুমিতের বিবাহবিচ্ছেদ ১৫ বছর আগেই হয়েছিল। আর তাঁর মা মারা গিয়েছেন ৩ বছর আগে। সেই সময়ের পরেও সুমিত সফলভাবে ১০০-র বেশি ফ্লাইট চালিয়েছেন।
অভিজ্ঞতার প্রমাণ
পুষ্করাজ আরও জানান, তাঁর ছেলে ২৫ বছরের অভিজ্ঞ পাইলট ছিলেন। তাঁর বিমান চালনার অভিজ্ঞতা ছিল প্রায় ১৫,৬৩৮ ঘণ্টা, যার মধ্যে ৮,৫৯৬ ঘণ্টা কেটেছে বোয়িং ৭৮৭-৮ বিমানে। এছাড়া তিনি DGCA অনুমোদিত লাইন ট্রেনিং ক্যাপ্টেন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এত দক্ষ পাইলট কখনোই ইচ্ছাকৃতভাবে বিমান ভেঙে ফেলতে পারেন না বলে দাবি করেন তিনি।
তদন্তের দাবি
চিঠিতে পুষ্করাজ দাবি করেছেন, বিমান দুর্ঘটনা ও ঘটনা তদন্ত আইন অনুসারে কেন্দ্রীয় সরকার যেন আনুষ্ঠানিক তদন্তের নির্দেশ দেয়। তাঁর মতে, শুধুমাত্র অনুমাননির্ভর তথ্য দিয়ে কোনও পাইলটের সুনাম ক্ষুণ্ণ করা ঠিক নয়।
রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাপ
তদন্ত নিয়ে এখন নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলেও। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই দুর্ঘটনার পর এয়ার ইন্ডিয়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থা, বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ ও পাইলটদের কাজের পরিবেশ নিয়ে খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখা জরুরি।
শেষ কথা
আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। তবে নিহত পাইলটের পরিবার দাবি করেছে, তড়িঘড়ি করে আত্মহত্যার তত্ত্ব প্রচার না করে সত্য উদঘাটন করতে হবে। এখন দেখার বিষয়, কেন্দ্রীয় সরকার কীভাবে এই তদন্তকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন
📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।
👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে
No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন