1B ভিসা আবেদনের ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্তে ভারতীয় প্রযুক্তিবিদদের উদ্বেগ
মার্কিন H-1B ভিসার ফি ১০০,০০০ ডলার: ভারতীয় প্রযুক্তিবিদদের উদ্বেগ বৃদ্ধি
আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ছবি ক্যাপশন: H-1B ভিসার ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন ভারতীয় প্রযুক্তিবিদরা।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি H-1B ভিসার আবেদনের বার্ষিক ফি ১,০০০–৫,০০০ মার্কিন ডলার থেকে একলাফে ১০০,০০০ মার্কিন ডলারে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই পদক্ষেপের ফলে আমেরিকায় কর্মরত ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ ও তাঁদের পরিবারের উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
ভারতীয় প্রযুক্তিবিদদের উদ্বেগ
এইচ-১বি ভিসা ভারতীয় প্রযুক্তিবিদদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই ভিসার মাধ্যমে তাঁরা আমেরিকায় গিয়ে ভারতীয় সংস্থা বা মার্কিন কোম্পানিতে কাজ করতে পারেন। ন্যাসকমের ভাইস-প্রেসিডেন্ট শিবেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, প্রতি বছরে যে সংখ্যক এইচ-১বি ভিসা প্রদান করা হয়, তার ৭০ শতাংশের বেশি ভারতীয়রা পান।
ফি বৃদ্ধির ফলে ভারতীয় প্রযুক্তিবিদদের জন্য ভিসা আবেদন কঠিন হয়ে যাবে। এতে তাঁদের পরিবার এবং পেশাগত জীবনের ওপর চাপ পড়বে।
আমেরিকান সংস্থাগুলোর প্রভাব
এই পদক্ষেপের ফলে শুধুমাত্র ভারতীয়দের নয়, আমেরিকান সংস্থাগুলোরও চাপ বৃদ্ধি পাবে। মার্কিন সংস্থাগুলি দক্ষ ভারতীয় কর্মী খুঁজে তাদের নিয়োগ করে, যাদের কর্মদক্ষতা ও গুণগত মানের কারণে নিয়োগ করা হয়।
এইচ-১বি ভিসার শীর্ষে রয়েছে অ্যামাজন, টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (টিসিএস), মাইক্রোসফট, মেটা, অ্যাপেল, কগনিজ্যান্ট, জেপি মর্গ্যান চেজের মতো কোম্পানি। এরা ভারতীয় ট্যালেন্টের ওপর নির্ভরশীল। ফলে ফি বৃদ্ধির প্রভাব সরাসরি তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পড়বে।
ভারতের প্রতিক্রিয়া
ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারত ও আমেরিকার উভয় দেশের শিল্পের উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতায় আগ্রহ রয়েছে। দক্ষ কর্মীদের আদান-প্রদানের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতে প্রযুক্তি উন্নয়ন, উদ্ভাবন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রতিযোগিতা ও সম্পদ সৃষ্টিতে বড় অবদান রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে নীতিনির্ধারকরা পদক্ষেপের মূল্যায়ন পারস্পরিক সুবিধাগুলো বিবেচনা করে করবেন, যাতে দুই দেশের মধ্যে দৃঢ় নাগরিক সম্পর্ক বজায় থাকে।
ন্যাসকমের মতামত
ন্যাসকমের মতে, ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে ভারতীয় প্রযুক্তি পরিষেবা সেক্টরের পাশাপাশি আমেরিকান অর্থনীতি ও প্রযুক্তি খাতের উপরও বড় প্রভাব পড়বে। সংস্থা ও কর্মী উভয় পক্ষের জন্যই নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে।
উপসংহার
সাম্প্রতিক এই পদক্ষেপ ভারতীয় প্রযুক্তিবিদদের জন্য উদ্বেগের কারণ হলেও, দু’দেশের মধ্যে টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদি সমঝোতার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পথ বের করা সম্ভব। দক্ষ মানবসম্পদ বিনিময় বজায় রেখে উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখা দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।
📊 H-1B ভিসা ফি বৃদ্ধির অর্থনৈতিক প্রভাব ও ভারতীয় কোম্পানির পদক্ষেপ
- ভারতের প্রযুক্তি খাত: ফি বৃদ্ধি ভারতীয় প্রযুক্তিবিদদের আমেরিকায় অবস্থানকে প্রভাবিত করবে। বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি IT সংস্থাগুলো যা H-1B কর্মী নিয়োগের উপর নির্ভরশীল।
- আমেরিকান সংস্থা: অ্যামাজন, মাইক্রোসফট, মেটা, অ্যাপেল, জেপি মর্গ্যান চেজের মতো কোম্পানিগুলোর জন্য দক্ষ ভারতীয় কর্মী খুঁজে পাওয়া কঠিন হতে পারে। ফলে প্রকল্প সময়মতো শেষ করা ও খরচ বৃদ্ধি হতে পারে।
- পরিবারিক প্রভাব: H-1B ভিসা প্রাপ্তদের পরিবারের জন্যও চাপ বাড়বে। সন্তানদের শিক্ষা, পরিবারের পুনর্মিলন ও আবাসন পরিকল্পনা প্রভাবিত হতে পারে।
- ভারতীয় কোম্পানির পদক্ষেপ: টিসিএস, ইনফোসিস, HCL, Wipro-এর মতো বড় সংস্থা এখন বিকল্প কর্মী পরিকল্পনা ও স্থানীয় মার্কিন বাজারে নিয়োগ বাড়ানোর পথ খুঁজতে পারে।
- অর্থনৈতিক প্রভাব: দক্ষ ভারতীয় কর্মীর অভাবের কারণে আমেরিকান কোম্পানির প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে, ভারতীয় IT রপ্তানি ও প্রফেশনাল সার্ভিসেও প্রভাব পড়তে পারে।
- দীর্ঘমেয়াদি সমাধান: দুই দেশের সরকার ও শিল্পপতি পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে H-1B ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং সমঝোতার পথ বের করতে পারেন।
📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন
📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।
👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে
No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন