দুর্গাপুরে হঠাৎ সিএএ শিবির, রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে

দুর্গাপুরে হঠাৎ সিএএ শিবির, রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে

দুর্গাপুরে হঠাৎ সিএএ শিবির: পুজোর আগে রাজনৈতিক উত্তেজনা

আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দুর্গাপুরে সিএএ শিবির

ছবি ক্যাপশন: দুর্গাপুরে বিজেপি কার্যালয়ে আচমকাই আয়োজিত সিএএ শিবির।

পুজোর আগে হাতে গোনা মাত্র কয়েকটা দিন বাকি, সেই সময় দুর্গাপুরে আচমকাই আয়োজিত হল সিএএ শিবির। তাও আবার বিজেপির কার্যালয়ে। এই শিবিরকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, সরকারি নিয়ম ভেঙে এসব আয়োজনের মাধ্যমে উদ্বাস্তুদের মন পেতে চাইছে বিজেপি।

শিবিরের আয়োজন ও কার্যক্রম

শনিবার সকাল থেকে দুর্গাপুরের 31 নম্বর বিদ্যাসাগর অ্যাভিনিউয়ের বিজেপি কার্যালয়ে এই ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। সকাল থেকেই মানুষের আনাগোনা লেগেছিল। একের পর এক আবেদনপত্র জমা পড়ছে। বিজেপির কর্মীরা ব্যস্ত হয়ে আবেদনপত্র খতিয়ে দেখার পাশাপাশি সংরক্ষণও করছেন। কার্যক্রম দেখে মনে হয় যেন সরকারি দফতরে কাজ চলছে।

শিবিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই, জেলা সহসভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়সহ অন্যান্য বিজেপি নেতা।

বিধায়কের বক্তব্য

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অসীম সরকার বলেন, “যাঁরা উদ্বাস্তু আছেন, তাঁদের ভারত সরকার নাগরিকত্ব দিতে চায়। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই উদ্যোগের বিরোধিতা করছেন। বহুদিন ধরে ওপার বাংলা থেকে এপারে এসে বসবাস করা মানুষদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্যই এই শিবির। পৃথিবীতে একমাত্র ভারতবর্ষেই এইভাবে নাগরিকত্ব দেওয়া হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস কী বলল তা আমাদের কিছু আসে যায় না।”

তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়া

রাজ্যের শাসকদলের মুখপাত্র উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় জানান, “ভারত সরকারের কর্মসূচি সরকারি দফতরে হওয়া উচিত। বিজেপি কার্যালয়ে ক্যাম্প মানে ভোটের আগে উদ্বাস্তুদের মন পাকা করার খেলা। আমরা এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাব।”

রাজনীতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পুজোর মুখে হঠাৎ করে এই শিবির আয়োজন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রচার কৌশলের অংশ হতে পারে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষণ

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, সিএএ শিবিরের মাধ্যমে বিজেপি দলীয় কার্যালয়ে জনগণের মন জয় করতে চাচ্ছে। এটি কেবল নাগরিকত্ব প্রদান নয়, নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ অনুযায়ী, এটি সরকারি নিয়মের পরিপন্থী।

উপসংহার

পুজোর আগে হঠাৎ সিএএ শিবির আয়োজন ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া রাজ্যের রাজনৈতিক পরিবেশে উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছে। ভবিষ্যতে এই প্রক্রিয়া নির্বাচনী প্রেক্ষাপটে কিভাবে প্রভাব ফেলবে, তা নজরদারির বিষয়।

📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন

📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।

👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে

No comments:

আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন

Featured post

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারা অনুপ্রাণিত শোভন চট্টোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে স্বীকৃতি অভিষেক বন্দ্...

Search This Blog

Powered by Blogger.