যাদবপুর ছাত্রী খুন মামলায় লালবাজারের জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত

যাদবপুর ছাত্রী খুন মামলায় লালবাজারের জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী অনামিকা মণ্ডলের রহস্যময় মৃত্যু: লালবাজারের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু

আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কলকাতা: লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অনামিকা মণ্ডলের খুনের মামলায় তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই ১৩ জন ছাত্র-ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে অনামিকার শেষ সময়ে যাঁদের সঙ্গে ছিলেন তাঁদেরও সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সাত জন ছাত্রের সঙ্গে আলাদা আলাদা কথা বলা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ২০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নম্বর গেটের অদূরে ইউনিয়ন রুম সংলগ্ন একটি পুকুর থেকে অচৈতন্য অবস্থায় অনামিকা উদ্ধার হন। হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রামা ক্লাবের একটি অনুষ্ঠানের দিন ঘটে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুর

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুর যেখানে অনামিকা উদ্ধার হন

বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের সামনে মোট তিনটি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। তদন্তকারীরা সব ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন। তবে, যেই স্থানে ঘটনা ঘটে, সেখানে কোনও ক্যামেরা না থাকার কারণে সেখানকার সরাসরি ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যায়নি। লালবাজারের একটি সূত্র জানায়, যাঁদের ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে তাঁদের বয়ানও নেওয়া হবে। এছাড়াও গার্ড এবং শিক্ষককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

মঙ্গলবার জল থেকে যে জুতো পাওয়া গিয়েছিল, পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানায়, সেটি অনামিকার। শুক্রবার আদালতে তাঁর বাবা সেই জুতো শনাক্ত করবেন। ম‍্যাজিস্ট্রেটের সামনে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনা বা আত্মহত্যা নয়, অনামিকাকে পুকুরে ঠেলে খুন করা হয়েছে বলে তাঁর বাবা অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতেই লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ ও হোমিসাইড শাখা মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।

অনামিকা ওইদিন একাই পুকুরের অদূরে শৌচাগারের দিকে গিয়েছিলেন। তদন্তের জন্য তাঁর মস্তিষ্কের ভিসেরা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রামা ক্লাবের অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিল, তারপরই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।

তদন্তের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যামেরা ফুটেজ ও উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীর সাক্ষ্য। পুলিশ সূত্রের খবর, অনামিকার শেষ সময়ে যাঁদের সঙ্গে দেখা গিয়েছে, তাঁদের বয়ান নেওয়া হবে। গার্ড এবং শিক্ষকরা পুলিশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পারেন। পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিটি সম্ভাব্য সূত্র খুঁটিয়ে যাচাই করা হচ্ছে।

তদন্তের আওতায় যে ধাপগুলো নেওয়া হচ্ছে তা হলো: প্রথমে ১৩ জন ছাত্র-ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ, এরপর সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, এবং তারপর জলের জুতো শনাক্তকরণ। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, প্রতিটি প্রমাণ সংগ্রহের মাধ্যমে হত্যার পদ্ধতি ও দায়ীদের চিহ্নিত করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় ও স্থানীয় সূত্র জানাচ্ছে, অনামিকার সঙ্গে শেষ সময়ে দেখা ছাত্রদের নামও জিজ্ঞাসাবাদের আওতায়। পুলিশ সেই সময়কার ঘটনার সঠিক সময়সীমা, উপস্থিতি এবং আচরণ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছে।

📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন

📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।

👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে

তদন্ত এখনও চলছে এবং পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, অচিরেই মামলার পরবর্তী ধাপের তথ্য সাংবাদিকদের জানানো হবে। তদন্তের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ প্রতিটি প্রমাণ ও সাক্ষ্য প্রাথমিকভাবে যাচাই করছে।

এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থার পুনর্মূল্যায়ন ও ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। সকল প্রমাণ এবং সাক্ষ্য সংগ্রহের পরে হত্যার প্রকৃত দিক উন্মোচিত হবে।

No comments:

আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন

Featured post

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারা অনুপ্রাণিত শোভন চট্টোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে স্বীকৃতি অভিষেক বন্দ্...

Search This Blog

Powered by Blogger.