গরবা অনুষ্ঠানে অ-হিন্দুদের অংশগ্রহণ নিয়ে বিতর্ক, ভোপালের বিজেপি সাংসদের হুঁশিয়ারি

গরবা অনুষ্ঠানে অ-হিন্দুদের অংশগ্রহণ নিয়ে বিতর্ক, ভোপালের বিজেপি সাংসদের হুঁশিয়ারি

গরবা অনুষ্ঠানে অ-হিন্দুদের অংশগ্রহণ নিয়ে বিতর্ক, ভোপালের বিজেপি সাংসদের হুঁশিয়ারি

🗓️ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গরবা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা
গরবা উৎসবকে ঘিরে ভোপালে তীব্র বিতর্ক

Y বাংলা ডিজিটাল ব্যুরো: নবরাত্রির সময়ে গুজরাতি লোকনৃত্য গরবা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক উৎসব হিসেবে পালিত হয়। কিন্তু এ বছর ভোপালে গরবা মঞ্চকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে বড়সড় রাজনৈতিক বিতর্ক। বিজেপি সাংসদ অলোক শর্মা প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন, “যাঁরা হিন্দু নন, তাঁদের গরবা মঞ্চে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া উচিত নয়।”

অলোক শর্মার বিতর্কিত মন্তব্য

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অলোক শর্মা বলেন, “গরবা হলো এক পবিত্র সনাতন ঐতিহ্য। এখানে প্রতারণা করে যারা প্রবেশ করবে, যেমন গেরুয়া উত্তরীয়, তিলক বা হার পরে নিজেদের হিন্দু পরিচয় দিতে চাইবে, তাঁদের রেহাই দেওয়া হবে না।” এমনকি তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এই ধরনের লোক ধরা পড়লে তাঁদের বাড়িঘর ভেঙে দেওয়া হবে।”

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া

বিজেপি সাংসদের মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। বিরোধী দল কংগ্রেসের দাবি, এটি সংবিধানের মৌলিক অধিকারবিরোধী এবং ধর্মীয় বিভাজন তৈরি করার চেষ্টা। অন্যদিকে বিজেপির একাংশ সাংসদের পাশে দাঁড়িয়ে বলেছে, গরবা আসলেই হিন্দু ধর্মীয় উৎসব, সেখানে অন্য ধর্মের লোকদের প্রবেশে সতর্কতা প্রয়োজন।

আয়োজকদের অবস্থান

ভোপালের বিভিন্ন গরবা আয়োজকরা বিষয়টি নিয়ে বিভক্ত। কেউ কেউ জানিয়েছেন, তাঁরা আয়োজনে সবার প্রবেশকে স্বাগত জানাতে চান, আবার কেউ কেউ সাংসদের বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। ফলে উৎসবের আগে প্রশাসনের উপর চাপ ক্রমশ বাড়ছে।

ধর্মীয় সম্প্রীতি বনাম সাংস্কৃতিক সীমারেখা

ভারত বহুধর্মী একটি দেশ। সেখানে গরবা শুধু হিন্দুদের নয়, বরং একাধিক সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে এই উৎসব উপভোগ করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, গরবা যদি কেবল একটি ধর্মের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা হয়, তবে তা ভারতীয় সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে সংকীর্ণ করে তুলবে।

জনমতের প্রতিক্রিয়া

সমাজমাধ্যমে এই মন্তব্য ঘিরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন—“উৎসব কি ধর্মের বেড়া-দেওয়ালে বাঁধা যাবে?” আবার কেউ কেউ সাংসদের বক্তব্যকে সমর্থন করে বলছেন, “পবিত্র ধর্মীয় আচার মানলে সীমারেখা থাকা জরুরি।”

আইন ও সংবিধানের দিক

আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, কারও ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে তাঁকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রবেশে বাধা দেওয়া সংবিধানের সমান অধিকারের নীতি-র পরিপন্থী। তবে যদি ধর্মীয় অনুষ্ঠান হিসেবে গরবাকে দেখা হয়, তবে আয়োজকদের নিজের নিয়ম ঠিক করার স্বাধীনতাও রয়েছে।

আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ

নবরাত্রি শুরু হতে আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। এই অবস্থায় ভোপালে প্রশাসন ও আয়োজক কমিটিগুলিকে দ্বিধায় ফেলেছে সাংসদের বক্তব্য। এখন দেখার বিষয়, উৎসব কি আবারও বিভাজনের রাজনীতির শিকার হয়, নাকি মিলেমিশে সবাই গরবার তালে মেতে ওঠে।

📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন

📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।

👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে

No comments:

আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন

Featured post

IND vs AUS: কামাল করে দিলেন হর্ষিত রানা, অজিদের উড়িয়ে দিল ভারত IND vs AUS: কামাল, কামাল, কামাল করে দিলে...

Search This Blog

Powered by Blogger.