“কেউ অপমান করেনি, কেউ বাধা দেয়নি— তবু ভিনরাজ্যের প্রার্থীদের প্রসঙ্গে হেনস্থার স্মৃতি তুললেন কুণাল”
কুণাল ঘোষ: “কেউ অপমান করেনি, কেউ বাধা দেয়নি” — ভিনরাজ্যের পরীক্ষার্থীদের নিয়ে বিতর্ক
কী বললেন কুণাল?
সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে কুণাল ঘোষ লিখেছেন — “বাংলার এসএসসি পরীক্ষা দিতে আজ হাজির যোগীরাজ্যসহ ভিন রাজ্য, ডবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্যের কর্মপ্রার্থীরা। অনেকে বলছেন ওখানে চাকরি নেই। ঠিকমতো পরীক্ষা হয় না। বারবার স্থগিত হয়েছে। ইত্যাদি। তাঁরা এখানে পরীক্ষা দিতে এসেছেন।”
কুর্নিশের পাশাপাশি তিনি রাজনৈতিক মন্তব্যও করেন—ভিনরাজ্যের কয়েকটি কেন্দ্রশাসিত রাজ্য থেকে মানুষের আসায় কেন প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও আলোচনা করেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, যদিও কেউ অপমান বা বাধা দেয়নি, তবু অতীতের কিছু ঘটনার স্মৃতি এই বিতর্ককে উস্কে দিয়েছে।
পরিসংখ্যান ও স্থানীয় পরিস্থিতি
এসএসসি সূত্রে জানা গেছে, এবারের পরীক্ষায় ভিন রাজ্য থেকে প্রায় ৩১,০০০ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। বিশেষত উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও রাজস্থান থেকে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা বড় সংখ্যায় এসেছেন। মণীন্দ্রনাথ কলেজ সহ বিভিন্ন কেন্দ্রগুলোতেও ভিনরাজ্যের পরীক্ষার্থীদের সিট দেখা গেছে।
“এখানে কেউ কিন্তু বলেনি বাংলার চাকরির পরীক্ষা কেবল বঙ্গবাসী দিতে পারবে। কেউ হয়রানি করেনি। কেউ অপমান করেনি। বাধা দেয়নি।” — কুণাল ঘোষ
তবে কুণালের মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে দরকারি প্রশ্নও উঠেছে—ভিন রাজ্যের পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতি কি স্থানীয়দের চাকরির সুযোগে প্রভাব ফেলবে? নাকি এটি কেবলভাবে কাজের সন্ধানে মানুষ কেন বিদেশে যায় তারই ফল?
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
বিরোধীরা দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলছে — ২০১৬ সালের ঘটনা থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হওয়া পর্যন্ত ইস্যুগুলো নির্বাচনকালীন রাজনীতির বড় অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। এখন যখন নয় বছর পর আবার পরীক্ষা হচ্ছে, ভিন রাজ্যের পরীক্ষার্থীদের ভীড় রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে নতুন উদ্দীপনা জাগিয়েছে।
কুণাল তার পোস্টে স্পষ্ট করেছেন, তিনি কোনও সংকীর্ণতা প্রচার করছেন না, বরং প্রশ্ন তুলছেন কেন বহু মানুষ অন্য রাজ্য থেকে পরীক্ষায় আসছেন—এ বিষয়টির সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণগুলোও খতিয়ে দেখা দরকার।
বিশ্লেষণ: কর্মসংস্থান বনাম রাজনীতি
বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ মনে করান, ভিন রাজ্য থেকে মানুষ আসার পেছনে বহু কারণ থাকতে পারে—অবকাঠামোগত দুর্বলতা, পরীক্ষার অনিয়ম, চাকরির সুযোগের অভাব বা মানুষের প্রাপ্য সুযোগের সন্ধান। আইনজীবী ও অর্থনীতিবিদরা মন্তব্য করেন যে—বেকারত্বের সমাধান বিধানসভা পস্তান বা রাজ্য সরকারের কর্মসংস্থান প্রোগ্রামের উপর নির্ভর করে; অন্যদিকে এগুলো রাজনৈতিক বার্তাবাহক হিসেবেও কাজে লাগতে পারে।
আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “কেন্দ্রীয় স্তরে বড়-বড় প্রতিশ্রুতি থাকলেও বাস্তবে বেকারত্ব ও কর্মসংস্থানের চাহিদা দেশজুড়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। যে যেখানে সুযোগ পায়, সেখানে যাচ্ছেন। এটাও একটি বাস্তবতা।”
পরীক্ষার্থীদের দিক থেকে
অন্যদিকে সাধারণ পরীক্ষার্থীরা বলছেন—পরীক্ষার স্বচ্ছতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। একটা সুযোগ যদি খারাপভাবে ব্যবহৃত হয় বা অনিয়ম থাকে, তাহলে মেধাবী ও যোগ্য প্রার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কেউ বলেন, “প্রশ্ন ফাঁস কিংবা অনিয়মের কারণে মানুষ দূরে থেকে পরীক্ষা দিতে আগায়—এমন অবস্থাও সৃষ্টি করতে পারে।”
📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন
📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।
👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে


No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন