রামপুরহাট ছাত্রী হত্যা: পুলিশ কর্মকর্তার গাফিলতি, পরিবারের সিবিআই তদন্তের দাবি

রামপুরহাট ছাত্রী হত্যা: পুলিশ কর্মকর্তার গাফিলতি, পরিবারের সিবিআই তদন্তের দাবি | Y বাংলা ডিজিটাল ব্যুরো

রামপুরহাট ছাত্রী হত্যা: পুলিশ কর্মকর্তার গাফিলতি, পরিবারের সিবিআই তদন্তের দাবি

আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | রিপোর্ট: Y বাংলা ডিজিটাল ব্যুরো
রামপুরহাট ছাত্রী হত্যা
রামপুরহাটে ছাত্রী হত্যার ঘটনায় সাসপেন্ড করা মহিলা পুলিশ অফিসার (ছবি: ফাইল)

বীরভূমের রামপুরহাটে ঘটেছে এক নাবালিকা ছাত্রী হত্যার কাণ্ড। তদন্তে গাফিলতির দায়ে **জুলি সাহা**, রামপুরহাট থানার মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর পদে কর্মরত, **সাসপেন্ড করা হয়েছে।** প্রাথমিক তদন্তে তিনি নিখোঁজ ছাত্রীর দায়িত্বশীল তদন্তকারী ছিলেন।

পরিবারের দাবিতে পুনরায় সিবিআই তদন্তের দাবি উঠেছে। বিশেষ করে নিখোঁজ দেহাংশ উদ্ধার ও ফরেনসিক ময়না তদন্তের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, শিক্ষককে পুলিশ আটক করলে **তৃণমূলের রামপুরহাট ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য পান্থ দাস** তাকে ছেড়ে দিয়েছিলেন।

📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন

📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।

👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে

এদিন গ্রামে যান কংগ্রেস নেতা **অধীর রঞ্জন চৌধুরী**, রামপুরহাট বিধায়ক ও ডেপুটি স্পিকার **আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়**, রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন **অনন্যা চট্টোপাধ্যায়** এবং **অভয়া মঞ্চ**ের প্রতিনিধিরা। তারা পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তদন্তের অগ্রগতি ও সিবিআই তদন্তের দাবি সমর্থন করেছেন।

অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “পরিবার চাইলে আমরা হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই তদন্তের ব্যবস্থা করব। তবে স্থানীয় প্রশাসনকে বলব, ঘটনার সঙ্গে কারা যুক্ত, তা খুঁজে বের করতে।” তিনি অভিযোগ করেছেন, ছোট্ট এক মেয়েকে হত্যা করার পর পুলিশ এখনও সম্পূর্ণ দেহ উদ্ধার করতে পারেনি। স্কুল কর্তৃপক্ষও পরিবারের পাশে দাঁড়ায়নি।

আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তদন্তকারী অফিসার জুলি সাহা বাড়ি থেকে কোন প্রমাণ পাননি। পরে সেই বাড়ি থেকে সেক্সের জিনিপত্র উদ্ধার হয়। বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপারকে জানালে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ফরেনসিক রিপোর্ট চলছে, দেহের অবশিষ্ট অংশ খুঁজে আনা হবে।”

পরিবারের পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়েছে, স্কুলের প্রধান শিক্ষকও অভিযুক্ত শিক্ষকের অশালীন আচরণ জানতেন, কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেননি। অনন্যা চট্টোপাধ্যায় জানান, পকসো আইনে তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশেষ সরকারি আইনজীবী নিয়ে মামলার দ্রুত কার্যক্রম চলছে।

জেলা পুলিশ সুপার **আমনদীপ** জানিয়েছেন, “মহকুমা পুলিশ আধিকারিককে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আশা করছি মাসখানেকের মধ্যে তদন্ত শেষ করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।”

মূল বিষয়াবলি:
  • মহিলা পুলিশ অফিসার সাসপেন্ড
  • পরিবারের সিবিআই তদন্তের দাবি
  • তৃণমূল নেতা পান্থ দাসের হস্তক্ষেপের অভিযোগ
  • ফরেনসিক রিপোর্ট এবং দেহাংশ উদ্ধার প্রক্রিয়া চলছে
  • বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায় খুঁজে দেখা হচ্ছে
রামপুরহাট ছাত্রী হত্যা জুলি সাহা সিবিআই তদন্ত তৃণমূল অধীর রঞ্জন চৌধুরী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় অনন্যা চট্টোপাধ্যায় অভয়া মঞ্চ বীরভূম

No comments:

আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন

Featured post

দুর্গাপুর গণধর্ষণ: সিবিআই তদন্ত দাবি পরিবারের, পুনর্নির্মাণে পুলিশের নজর দুর্গাপুর গণধর...

Search This Blog

Powered by Blogger.