বীরভূম এর বিজেপির তাবড় নেতার স্ত্রী এর নাম রয়েছে দাগি দের লিস্টে ।
বীরভূমের বিজেপি নেতার স্ত্রীর নাম অযোগ্য শিক্ষকের তালিকায়, শীর্ষ নেতা মুখ খুললেন
বীরভূমের বিজেপি নেতার স্ত্রীর নামও রয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রকাশিত অযোগ্য শিক্ষকদের তালিকায়। জানা গিয়েছে, তালিকায় ৬৫৩ নম্বরে নাম (রোল নম্বর - ১২২২১৬২৭০০০১১৫) রয়েছে বিজেপির বীরভূম জেলার কোষাধ্যক্ষ সুরজিৎ সরকারের স্ত্রী লক্ষ্মী বিশ্বাসের। লক্ষ্মী বিশ্বাস ছিলেন রামপুরহাটের কুশুম্বা হাইস্কুলের শিক্ষিকা।
এই ইস্যুতে সুরজিৎ সরকার জানিয়েছেন, তাঁরা ইতিমধ্যেই সিবিআই-এর দ্বারস্থ হয়েছেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর স্ত্রীর প্রাপ্ত নম্বর ৮৩.৬৭ হলেও যোগ্যদের তালিকায় স্থান দেওয়া হয়নি, অথচ মেরিট পয়েন্ট ৭৭ পাওয়া শিক্ষকের নাম যোগ্যদের তালিকায় রয়েছে।
৩০ জুলাই ১৮০৬ জনের অযোগ্য শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। তালিকায় শাসক তৃণমূলের অনেকের নামও রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এতে মন্ত্রীর মেয়ে, কাউন্সিলর, দাপুটে নেতা, জেলা পরিষদের সদস্য এবং অঞ্চল সভাপতিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নাম উঠে এসেছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর নাম রয়েছে। এছাড়া রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর কুহেলি ঘোষ, তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষের পুত্রবধূ শম্পা ঘোষ, হামিদুর রহমানের মেয়ে রোশনারা বেগম এবং কবিতা বর্মণও তালিকায় আছেন।
অন্যদের মধ্যে অজয় মাঝি (জলচকের তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি), হুগলির খানাকুলের তৃণমূল নেতা বিভাস মালিক এবং তাঁর স্ত্রীও রয়েছে। হিঙ্গলগঞ্জের তৃণমূল সভানেত্রীর মেয়ে প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল এবং বালুরঘাটের কাউন্সিলর দীপান্বিতা দেব সিংহও অযোগ্যদের তালিকায় থাকেন।
খানাকুলের তৃণমূল নেতা নইমুল হকের স্ত্রী নমিতা আদক, হুগলির জেলা পরিষদের সদস্য সাহিনা সুলতানাও তালিকায় আছেন। এছাড়া বারাসাত ১ ব্লক সভাপতি মহম্মদ ইশা হক সর্দারের ছেলে মহম্মদ নাজিবুল্লার নামও রয়েছে।
অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশের পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। শাসক দলের সাথে যুক্ত অনেক পরিচিত নেতাদের নাম তালিকায় থাকায় বিতর্ক আরও জোরদার হয়েছে।
বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতা সুরজিৎ সরকার। তিনি সাংবাদিকদের জানান, কিছু ব্যক্তিরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যোগ্যদের তালিকায় স্থান পেতে বাধা দিচ্ছে।
এসএসসি-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তালিকা যাচাইয়ের সময় সকল তথ্য নথিভুক্ত করা হচ্ছে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অযোগ্যদের তালিকা ঘিরে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাপের মধ্যে শিক্ষকদের ভবিষ্যত নিয়ে নানা প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। প্রতিটি অনিয়ম এবং বেআইনি পদক্ষেপকে খতিয়ে দেখা হবে, এমনটাই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
📢 সবার আগে নিউজ আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন
📰 রাজনীতি | ⚽ খেলা | 🎬 বিনোদন | 🌍 আন্তর্জাতিক খবর 👉 সবকিছু এক ক্লিকেই পান আপনার হাতে।
👍 ফলো করুন Facebook 💬 Join করুন WhatsApp গ্রুপে
No comments:
আপনার মতামত এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 👇
👉 যদি মনে হয় বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, পোস্টটি শেয়ার করুন 🔄নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন